Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

রাশিয়া–ইউক্রেন – যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি, চীন যা করতে পারে – বিশিষ্ট চিন্তাবিদ হু ওয়েই (২০২২)

Share on Facebook

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য ফলাফল কী হতে পারে, এই যুদ্ধ কীভাবে বিশ্বব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে পারে, তা বিশ্লেষণ করেছেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ হু ওয়েই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়ংকর ভূরাজনৈতিক সংঘাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধ ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার চেয়ে বিশ্বে অনেক বেশি প্রভাব ফেলবে। এই অভিমত চীনা নীতিবিষয়ক নেতৃস্থানীয় চিন্তাবিদ হু ওয়েইর।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য ফলাফল কী হতে পারে, এই যুদ্ধ কীভাবে বিশ্বব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে পারে, তা বিশ্লেষণ করেছেন হু ওয়েই। তাঁর এই বিশ্লেষণ গত ১৩ মার্চ প্রকাশ করেছে ‘ইউএস-চায়না পারসেপশন মনিটর’ নামের একটি ওয়েবসাইট। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার পরিচালিত এই ওয়েবসাইট দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয়ের ওপর মন্তব্য, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার, জরিপসহ বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করে।

বর্তমান সংকটময় সময়ে চীনের করণীয় সম্পর্কেও মত দিয়েছেন হু ওয়েই। তাঁর মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান চীনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দেশটিতে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বেইজিংকে এই যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এর সম্ভাব্য প্রভাব সঠিকভাবে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে চীনকে নমনীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। চীনকে তার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কৌশলগত বিকল্প বেছে নিতে হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে হু ওয়েইর বিশ্লেষণ:
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী

১.

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হতে পারেন, যা রাশিয়াকে আরও কঠিন অবস্থার মধ্যে ফেলতে পারে।

পুতিনের হামলার লক্ষ্য হলো ইউক্রেন সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করা। ইউক্রেনকে পরাজিত করে, কিয়েভে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে, রুশপন্থী সরকার গঠন করে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া।

রাশিয়া যদি একটি পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে তা দেশটিকে পুরো বিশ্বের বিপরীত দিকে নিয়ে যাবে। আর এই যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য হবে অজেয়।

রাশিয়ার জন্য দেশ-বিদেশের পরিস্থিতি ক্রমে প্রতিকূল হয়ে উঠছে। রাশিয়ার বাহিনী যদি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলও করে আর সেখানে চড়া মূল্যের বিনিময়ে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করে, তার অর্থ মস্কোর জন্য চূড়ান্ত বিজয় হবে না।

তাই এ মুহূর্তে পুতিনের জন্য সর্বোত্তম বিকল্প হলো শান্তি আলোচনার মাধ্যমে ভালোয় ভালোয় যুদ্ধ শেষ করা, যার জন্য অবশ্য ইউক্রেনকে যথেষ্ট ছাড় দিতে হবে।

২.

চলমান সংঘাত আরও বাড়তে পারে। যুদ্ধে পশ্চিমাদের চূড়ান্ত অংশগ্রহণকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যুদ্ধ অনেক বিস্তৃত ও চড়া মূল্যের হতে পারে। তেমনটি হওয়ার জোর আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুতিন তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। তিনি সহজে হাল ছেড়ে দেবেন না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউক্রেনের সীমা ছাড়িয়ে বাইরে চলে যেতে পারে। এমনকি পারমাণবিক হামলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তেমন কিছু ঘটলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এই সংঘাত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে না। এভাবে একটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা একটি পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে।

যুদ্ধের ফলাফল মানবতার জন্য হবে বিপর্যয়কর। আর এই যুদ্ধ হবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি ক্ষেত্র। এই সংঘাত পুতিনের জন্য আরও খারাপ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

৩.

রাশিয়া যদি এই জুয়া খেলার মধ্য দিয়ে ইউক্রেন দখল করতে সক্ষম হয়, তাহলেও ইস্যুটি একটি উত্তপ্ত রাজনৈতিক বিষয় হয়ে থাকবে। কিয়েভ দখলের পর রাশিয়াকে একটি ভারী বোঝা বইতে হবে। এই বোঝা বইতে গিয়ে রাশিয়াকে ভারাবনত হতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেঁচে থাকুন বা না থাকুন, ইউক্রেন সম্ভবত দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়াকে মোকাবিলার জন্য একটি নির্বাসিত সরকার গঠন করবে। রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ইউক্রেনের ভূখণ্ডের মধ্যে বিদ্রোহের মুখোমুখি হতে পারে।

৪.

পশ্চিমাদের হাতে রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে কিংবা ভেঙে যেতে পারে। পুতিনের আগ্রাসী নীতি ব্যর্থ হলে রাশিয়ার জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছেছে।

যেহেতু জনগণের জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই যুদ্ধবিরোধী ও পুতিনবিরোধী শক্তি জড়ো হচ্ছে। এ অবস্থায় রাশিয়ায় রাজনৈতিক বিদ্রোহের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

গৃহযুদ্ধ, অভ্যুত্থান বা অন্য যেকোনো কারণে পুতিন ক্ষমতা থেকে উৎখাত হলে পশ্চিমাদের মোকাবিলা করার সক্ষমতা আরও কমে যাবে রাশিয়ার।

এমনটা হলে একটি পরাশক্তিধর দেশ হিসেবে রাশিয়ার মর্যাদার অবসান ঘটবে।

আন্তর্জাতিক পরিসরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব

১.

পশ্চিমা বিশ্বের নেতৃত্বে ফিরে আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমারা আরও ঐক্যবদ্ধ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ আরও ঘনিষ্ঠ হবে।

স্বাধীন কূটনীতি ও আত্মরক্ষার সক্ষমতা অর্জনের ক্ষেত্রে ইউরোপের যে স্বপ্ন, তা শেষ হয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর ইউরোপের নির্ভরতা অনিবার্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

২.

পশ্চিমারা গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারী রাষ্ট্রের মধ্যে সুস্পষ্ট রেখা টেনে দেবে। রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধকে গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যকার লড়াই হিসেবে তারা সংজ্ঞায়িত করবে।

পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্য অন্যান্য দেশের ওপরও প্রভাব ফেলবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশল আরও দৃঢ় হবে। জাপানের মতো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আরও কাছাকাছি আসবে।

৩.

পশ্চিমাদের শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। ন্যাটো প্রসারিত হতে থাকবে। পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বে পশ্চিমাবিরোধী শক্তি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর যে দৃশ্যের অবতারণা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তৃতীয় বিশ্বের আরও অনেক দেশ পশ্চিমাদের কাছাকাছি আসতে পারে।

সামরিক শক্তির পাশাপাশি মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানগতভাবে বিশ্বে পশ্চিমারা আরও ‘আধিপত্যের’ অধিকারী হবে।

৪.

প্রতিষ্ঠিত কাঠামোর অধীনে চীন আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। চীন যদি প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্রিয় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের দিক থেকে বেইজিং আরও নিয়ন্ত্রণের মুখোমুখি হবে। একবার পুতিনের পতন হলে যুক্তরাষ্ট্রকে আর দুটি কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হতে হবে না। তাদের কেবল চীনকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণে আটকাতে হবে।

ইউরোপ চীন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করবে। জাপান চীনবিরোধী দলের অগ্রগামী হয়ে উঠবে। দক্ষিণ কোরিয়া আরও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যাবে। তাইওয়ান চীনবিরোধী কোরাসে যোগ দেবে। আর বাকি বিশ্বকে এই গোষ্ঠীগত মানসিকতার অধীনে পক্ষ বেছে নিতে হবে।

চীন শুধু সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো, কোয়াড, অকাস দ্বারাই বেষ্টিত হবে না, বরং পশ্চিমা মূল্যবোধ ও ব্যবস্থা দ্বারাও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।

চীনের কৌশলগত বিকল্প

১.

চীনকে পুতিনের সঙ্গে যুক্ত রাখা যাবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচ্ছিন্ন করা দরকার। রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যকার বিরোধ বৃদ্ধি যদি চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ সরাতে সাহায্য করে, তাহলে চীনের উচিত উচ্ছ্বসিত হওয়া। এমনকি পুতিনকে সমর্থন করা। কিন্তু সেটা শুধু যদি রাশিয়ার পতন না হয়, তখনই। পুতিন যদি ক্ষমতা হারান, তাহলে তাঁর সঙ্গে একই নৌকায় থাকা চীনকে তা প্রভাবিত করবে।

২.

চীনের উচিত একই নৌকায় থেকে উভয় পক্ষের খেলা এড়ানো। নিরপেক্ষ থাকা পরিহার করা। বিশ্বের মূলধারার অবস্থান বেছে নেওয়া। বর্তমানে চীন উভয় পক্ষকে অসন্তুষ্ট না করার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোট থেকে বিরত থাকাসহ তার আন্তর্জাতিক বিবৃতি ও বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা মধ্যপথে হাঁটছে।

কিন্তু চীনের এই অবস্থান রাশিয়ার চাহিদা পূরণ করছে না। আবার এটি ইউক্রেন ও তার সমর্থকদের পাশাপাশি সহানুভূতিশীলদের ক্ষুব্ধ করছে। বিশ্বের বেশির ভাগ অংশ চীনকে ভুল দিকে ফেলছে। কিছু ক্ষেত্রে আপাতত নিরপেক্ষতা একটি বুদ্ধিদীপ্ত বিকল্প। কিন্তু এই যুদ্ধের ক্ষেত্রে এই অবস্থান প্রযোজ্য নয়, যেখানে চীনের লাভের কিছু নেই।

৩.

চীনের উচিত সর্বাধিক সম্ভাব্য কৌশলগত অগ্রগতি অর্জন করা। পশ্চিমাদের দ্বারা চীনের আরও বিচ্ছিন্ন হওয়া উচিত নয়। পুতিনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া, নিরপেক্ষতা ত্যাগ করা, চীনের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক সহজ করতে সাহায্য করবে। যদিও কাজটি কঠিন, আর এই কাজের জন্য বড় ধরনের প্রজ্ঞার প্রয়োজন। তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য সেরা বিকল্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো চীনকে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হওয়া থেকে ঠেকানো। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো, অবস্থা অনুযায়ী যথাযথ কৌশলগত সমন্বয় করা। চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী মনোভাব পরিবর্তন করা। নিজেকে বিচ্ছিন্নতা থেকে বাঁচানো।

৩.

চীনের উচিত সর্বাধিক সম্ভাব্য কৌশলগত অগ্রগতি অর্জন করা। পশ্চিমাদের দ্বারা চীনের আরও বিচ্ছিন্ন হওয়া উচিত নয়। পুতিনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া, নিরপেক্ষতা ত্যাগ করা, চীনের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক সহজ করতে সাহায্য করবে। যদিও কাজটি কঠিন, আর এই কাজের জন্য বড় ধরনের প্রজ্ঞার প্রয়োজন। তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য সেরা বিকল্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো চীনকে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হওয়া থেকে ঠেকানো। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো, অবস্থা অনুযায়ী যথাযথ কৌশলগত সমন্বয় করা। চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী মনোভাব পরিবর্তন করা। নিজেকে বিচ্ছিন্নতা থেকে বাঁচানো।

৪.

চীনের উচিত বিশ্বযুদ্ধ ও পারমাণবিক যুদ্ধের আবির্ভাব রোধ করা। বিশ্বশান্তিতে অপরিবর্তনীয় অবদান রাখা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। একটি ন্যায়সংগত বিষয়ে অনেকের সমর্থন থাকে। একটি অন্যায়ের প্রতি খুব কমই সমর্থন মেলে। রাশিয়া যদি একটি বিশ্বযুদ্ধ, এমনকি একটি পারমাণবিক যুদ্ধের প্ররোচনা দেয়, তবে তা অবশ্যই বিশ্বকে একটি অস্থিরতার ঝুঁকিতে ফেলবে।

একটি দায়িত্বশীল বড় শক্তিধর দেশ হিসেবে চীন শুধু পুতিনের পাশে থাকতে পারে না, পুতিনের সম্ভাব্য দুঃসাহসিক কাজ ঠেকাতেও তাকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। চীনই বিশ্বের একমাত্র দেশ, যার এই ক্ষমতা আছে। এই অনন্য সুবিধাটি চীনকে অবশ্যই পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।

পুতিনের প্রতি চীনের সমর্থন প্রত্যাহার সম্ভবত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। কিংবা অন্তত তিনি আর যুদ্ধ বাড়ানোর সাহস করবেন না। ফলে বিশ্বশান্তি বজায় রাখার জন্য চীন ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক প্রশংসা অর্জন করবে, যা চীনকে বিচ্ছিন্নতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক উন্নত করার সুযোগ পেতে পারে।

**** কিছুটা সংক্ষেপিত অনুবাদ: সাইফুল সামিন।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ মার্চ ১৬, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ