Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

আরিয়ান কি আসলেই দোষী, নাকি শাহরুখের ছেলে বলে আক্রোশের শিকার (২০২১)

Share on Facebook

মাদক–কাণ্ডে শাহরুখ খানের ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনেকেই বলা শুরু করেছেন, আরিয়ান রাজনীতির শিকার। আবার কারও কারও মতে, বলিউডের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই কে বা কারা আরিয়ানকে নিশানা বানিয়েছে। আবার অনেকে এ–ও মনে করেন যে বলিউডের অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে মাদক। এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি ২ অক্টোবর রাতে প্রমোদতরির পার্টিতে মাদক নিয়েছিলেন আরিয়ান। তাঁর দুই বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাসহ আরও আটজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। আদালত আরিয়ান, মুনমুন আর আরবাজকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আরিয়ানের রক্ত পরীক্ষা হয়নি
শুরুতে শোনা গিয়েছিল, আরিয়ানের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনকার খবর, মাদক সেবনের দায়ে অভিযুক্ত শাহরুখপুত্রের রক্ত বা প্রস্রাব পরীক্ষা করা হয়নি। সাধারণত এ ধরনের মামলায় সবার আগে রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এমনকি এ খবরও শোনা যাচ্ছে, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনো মাদকদ্রব্য পায়নি এনসিবি। কেবল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রমোদতরি থেকে আরিয়ান, মুনমুন আর আরবাজকে সবার প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শোনা গেছে, এনসিবির অভিযানের সময় আরিয়ান নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন। আর তাই তাঁর প্রতি এনসিবির কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। ওই প্রমোদতরিতে সেই রাতে ছিলেন আরও বেশ কজন। কিন্তু অন্যদের বাদ দিয়ে শুধু আরিয়ান আর তাঁর বন্ধুদের কেন আটক করা হলো!

সিসিটিভি ফুটেজের আবেদন
আরবাজ মার্চেন্টের বক্তব্য, এনসিবি তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তিনি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে প্রমোদতরিতে এনসিবির ওই অভিযানের ফুটেজ দাবি করেছেন। আরবাজের আইনজীবী আবেদন করেছেন যে ২ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মুম্বাই পোর্ট ট্রাস্টের আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সবুজ ফটকের সিসিটিভির ফুটেজ যেন সংগ্রহ করা হয়। তাতে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। আরবাজ অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, এটা দেখলে পরিষ্কার হয়ে যাবে, তাঁদের কাছে কোনো ‘অবৈধ পণ্য’ ছিল না। তাঁদের বিরুদ্ধে এটা এনসিবির সাজানো অভিযোগ। এনসিবির কর্মকর্তা সমীর বানখেড় জানিয়েছেন, এর জবাব তিনি আদালতে দেবেন। আরবাজ আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন, তাঁর কাছ থেকে মাত্র ছয় গ্রাম চরস উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, এনসিবি রিমান্ড কপিতে এর পরিমাণ বাড়িয়ে লিখেছে।

রাজনীতির রং
ধারণা করা হচ্ছে, আরিয়ান খানের মাদক মামলার পেছনে রাজনৈতিক চাল আছে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা ও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের অভিযোগ, এই পুরো মামলাই বানোয়াট। তাঁর বক্তব্য, এনসিবির এই অভিযান কেবল শাহরুখ খানকে নিশানা করে করা হয়েছে। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এক মাস আগেই ক্রাইম সাংবাদিকদের কাছে খবর ছিল, মুম্বাইতে শাহরুখ খান পরবর্তী নিশানা হতে যাচ্ছেন। বিজেপি আর এনসিবি মিলে এই পরিকল্পনা করেছে।

নবাব মালিক বলেছেন, এসব বলিউড ও মুম্বাইয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা। কারণ, প্রমোদতরি থেকে এনসিবি কোনো মাদক উদ্ধার করেনি। যেসব ছবি ভাইরাল হয়েছে, তা এনসিবির দপ্তরের, প্রমোদতরির কোনো ছবি সেখানে নেই। এনসিবির এক কর্মকর্তার সঙ্গে আরিয়ানের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তবে এনসিপির বক্তব্য, এই ব্যক্তি এনসিবির কেউ নন। নবাব মালিকের প্রশ্ন, তাহলে এনসিবি দপ্তরে ওই ব্যক্তি কী করছেন? তিনি ওই ব্যক্তির পরিচয় ফাঁস করে জানিয়েছেন, আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তোলা ব্যক্তিটি বিজেপির এক নেতা। মালিক বলেছেন, এনসিবি দপ্তর থেকে যতগুলো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে মনীষ ভানুশালী নামের এক বিজেপি কর্মকর্তাকে দেখা গেছে।
এখন দেখার বিষয়, আসলেই কি শাহরুখের ছেলে হওয়ার মাশুল দিচ্ছেন আরিয়ান, নাকি সত্যি সত্যি তিনি মাদক সেবন করছিলেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ অক্টোবর ০৮, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

এপ্রিল ২৫, ২০২৪,বৃহস্পতিবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ