Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

এবার জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (২০২১)

Share on Facebook

সরকারের একেক দপ্তর নিজেদের মতো করে জনগণের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। এ ক্ষেত্রে রয়েছে সমন্বয়ের অভাব। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের স্বচ্ছ ডেটাবেইস করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের। অন্যদিকে একজন মানুষের জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, তালাক, দত্তকসহ বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাত ঘুরে এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। দেশে মোট জনসংখ্যা কত, সেটি জানতে এখন চলছে জনশুমারির প্রস্তুতি। সব ছাপিয়ে এবার আসছে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর)।

দেশজুড়ে এনপিআর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সরকারি সংস্থাটি বলছে, এনপিআর তথ্যভান্ডারে শূন্য থেকে শুরু করে প্রত্যেক বয়সী মানুষের তথ্য থাকবে। এতে একজন মানুষের তথ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। দেশের সব মানুষের জনতাত্ত্বিক ও বায়োমেট্রিক তথ্যসহ একটি বিশদ তথ্যভান্ডার থাকবে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনে। একজন মানুষের বয়স, রক্তের গ্রুপ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পেশা, ধর্ম, বর্ণ, পরিবারের সব তথ্য থাকবে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনে। সেখানে সব নাগরিকের তথ্য থাকবে।

গতকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এনপিআর নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করে বিবিএস। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমসহ অন্যরা।

তবে গতকালের কর্মশালায় পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী দুজনেই একই তথ্য একেক সংস্থা তাদের মতো যেভাবে সংগ্রহ করছে, তা নিয়ে সমালোচনা করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তথ্য সংগ্রহের দ্বৈততা সবচেয়ে বড় সমস্যা। একই ধরনের তথ্য সরকারের একেক সংস্থা সংরক্ষণ করছে। এতে সময় ও জনগণের অর্থের অপচয় হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, এভাবে আলাদা আলাদা করে মানুষের তথ্য সংগ্রহ না করে সমন্বয় করলে একদিকে যেমন খরচ ও সময় কমবে, একই সঙ্গে তথ্য ব্যবহার উপযোগীও হবে। তাঁর মতে, খণ্ডিত তথ্য সংগ্রহ না করে জাতীয় ডেটাবেইস প্রয়োজন। তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তথ্যের দ্বৈতকরণ। কেউ এনআইডি তথ্য সংরক্ষণ করছে, কেউ সিভিল রেজিস্ট্রেশন, কেউ খানা জরিপ, কেউ জনশুমারি করছে। অথচ তথ্যের দিক থেকে সবকিছু কাছাকাছি।

দেশে জনসংখ্যা কত, তা জানতে বিবিএস এখন জনশুমারির কাজে হাত দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। আলাদা একটি জরিপের মাধ্যমে ৭২৭ কোটি টাকা খরচ করে দেশের প্রতিটি খানার তথ্য এরই মধ্যে সংগ্রহ করেছে বিবিএস। এর মধ্যেই নতুন করে এনপিআর করতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থাটি। এটি বাস্তবায়নে কত টাকা খরচ হতে পারে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, স্বাধীনতার পর এত বড় প্রকল্প নেওয়া হয়নি বিবিএসে। যেটা এনপিআর বাস্তবায়নে খরচ হবে।

এনপিআর যদি করতেই হয়, তাহলে জনশুমারি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনশুমারি যদি হয় একটি ফাইল, তাহলে এনপিআর হবে একটা আলমারি। তবে এনপিআর হয়ে গেলে ভবিষ্যতে আর জনশুমারি করতে হবে না বলে জানান তিনি।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ২০, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ