Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

এলিভেন মিনিটস-পাওলো কোয়েলহো-পর্ব- সতেরো।

Share on Facebook

অনুবাদে: ইললু।

থাম,থাম এ অযথা চিন্তা থামিয়ে দাও।
দুপুর দুটা-সে আটকে আছে ঐ সময়টায়।নিজের শরীরটা যেন তার কাছে অচেনা,আবিষ্কার
করেছে কুমারীত্ব আবার,নবজন্মটা বেশ দূর্বল,হারিয়ে যাবে হয়তো চিরতরে।সে অনুভব করেছে স্বর্গের আকাশ,অনুভব করেছে নরকের যন্ত্রনা,কিন্ত সেই অভিযান শেষ হয়ে আসছে আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে।

কিন্ত সে অপেক্ষা করতে চায় না,দু সপ্তাহ,কি দশটা দিন,এমন কি একটা সপ্তাহ-এখনই
চলে যাওয়া দরকার তার।বুঝতে পেরেছে তার মানসিক দুঃখের কারণটা,ফুলের ঘড়ির
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পরিবারটাকে দেখে,সংসারের অজানা আনন্দটা দেখে।
এটা একটা কারণঃসে ফিরে যেতে চায় না।
ফিরে না যাওয়ার কারণটা রালফ হার্ট না,সুইজারল্যান্ড বা তার জীবন অভিযানও না,
টাকাপয়সা তো হতেই পারে না।
টাকা!একটা বিশেষ ধরণের কাগজে,রং এর আকাশে কিছু ছবি ছড়ানো,সবাই বিশ্বাস
করে যার কিছু একটা দাম আছে।সুইস ব্যাঙ্কে যেয়ে জিজ্ঞাসা করলেই বোঝা যাবে,
“আমি ফিরে পেতে পারি আমার জীবনের কিছুটা অংশ”।
“না,আমরা জীবন বিক্রি করি না,কিনে নেই জীবন শুধু”,মারিয়ার স্বপ্নভঙ্গ হলো গাড়ীর
ব্রেকের শব্দে।এক ভদ্রলোক গাড়ী থামিয়ে চীৎকার করে বললো,রাস্তার মাঝের থেকে সরে যাওয়ার জন্যে।
“যদিও এটা আকাশ ভেঙ্গে দেওয়া কোন আবিষ্কার কিছু নয়,তবে আমি চাই এটা যেন সবাই
জানুক”।

কিন্ত কেউ জানে নি,না-কেউ জানে না,জানার চেষ্টাও করে না।সবাই ছুটে যাচ্ছে,কেউ ছুটছে কাজে মাথা নীচু করে,কেউ ছুটছে স্কুলে,কেউ যাচ্ছে রু ডে বার্নে,মনে মনে বলছে সবাই, “আর অপেক্ষা করা সম্ভব নয়,স্বপ্ন অপেক্ষা করতে পারে,তা ছাড়া আমার কিছু টাকাপয়সা উপার্জন করা দরকার”।

অনেকেই মারিয়ার পেশাটাকে খুব নোংরা ভাবে,কিন্ত পতিতাবৃত্তিও তো একটা ব্যাবসা,সময় বিক্রি করা,অন্যান্য যে কোন পেশার মত,কিছু দেয়া কিছু নেয়া।সবাই করে যাচ্ছে তাদের কাজ,সেটা পচ্ছন্দের হোক-আর অপচ্ছন্দের হোক,তবে এ ক্ষেত্রে এত হিসেব কেন?

মাঝে মাঝে জঘন্য চরিত্রের লোকজনের সাথেও কথাবার্তা,লেনদেনও হয়,মারিয়ার।তবুও হতাশ হয় না সে,সৌন্দর্য,মন সাজিয়ে রাখে অজানা এক ভবিষৎ এর আশায়।আর দশজনের মত তারও প্রয়োজনীয়তা মেটেনি আজও,আর একটু দরকার,আরও কটা টাকা দরকার।অনেক খদ্দের অপেক্ষা করে আছে,কেউ দেবে ৩৫০ ফ্রাঙ্ক,কেউ ১০০০।জীবনে প্রথমবারের মত কিনে নিতে পারবে পচ্ছন্দের জিনিষপত্র-এমনও হতে পারে তাকে হয়তো আরেকটা বছর কাজ করতে হবে।মারিয়া অপেক্ষা করছিল রাস্তার আলোটা বদলানোর অপেক্ষায়,মনে পড়ছিল তার নগ্ন শরীরে রালফের-ছোঁয়া,চাওয়ার অগ্নিসুর,স্তন,যোনীতে আদর,ভিজে গেল তার যৌনাঙ্গ আবার,কোন ছোঁয়া নেই,কোন দেহযোগ নেই,তবুও খুঁজে পেল যৌনসুখের চরম,হেঁটে যাওয়া একগাদা লোকের মাঝে।তবে কেই বা খেয়াল করে,সবাই ব্যাস্ত নিজেকে নিয়ে।

০০০০০০০

নায়া,কাজের একমাত্র বন্ধু,ডেকে তার টেবিলে নিয়ে গেল।একজন চীনের ভদ্রলোকের সাথে নায়া টেবিলে বসে ছিল তখন,হাসতে হাসতে বললো, “দেখ মারিয়া,জানি না কি করতে চাচ্ছে লোকটা আমার সাথে”।
চীনা ভদ্রলোক একটা চুরুটের বাক্স খুলে দেখাল।মিলান দূর থেকে সবকিছু দেখে
যাচ্ছিল,ভাবছিল কোন নেশা করার সিরিঞ্জ বা ড্রাগ আছে নাকি?খেয়াল করলো তেমন কিছু না,কি করবে লোকটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না,মিলান।

“দেখে মনে হচ্ছে এটা বোধ হয় গত শতাব্দীর”!মারিয়া বললো।
“ঠিক,১০০ বছরেরও বেশী বয়স হবে,বেশ মুল্যবান,কিন্ত”,বললো চীনা ভদ্রলোক।
মারিয়া দেখলো,কটা ভালভ,ব্যাটারী দিয়ে তৈরী একটা কিছু,হয়তো পুরোনো কোন রেডিও বা তেমন কিছু একটা হবে,খুব একটা মুল্যবান হওয়ার কথা না।
কি ভাবে কাজ করে ওটা?
মারিয়ার প্রশ্নটা পচ্ছন্দ হয়নি,নায়ার।যদিও মারিয়াকে পচ্ছন্দ করে সে,কিন্ত মানুষ তো বদলায়।
“লোকটা তো বুঝিয়ে বললোই,ওটা বেগুনী লাঠি”।
তারপর চীনা ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে বললো,যাওয়ার জন্যে প্রস্ততি নিতে,কিন্ত
চীনা ভদ্রলোক তখন লাঠিটার বর্ননা দেওয়ায় ব্যাস্ত,
“সালটা মনে হয় আনুমানিক ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দ হবে,প্রথম ব্যাটারী যখন আবিষ্কার হলো,
বিশেষজ্ঞরা গবেষনা করা আরম্ভ করলো মানসিক চিকিৎসায় ব্যাটারীর ব্যাবহার।অনেকের গবেষনা হলো শরীরের দাগ সরানো,কারও গবেষনা ছিল শরীরের বিশেষ কোন অঙ্গের উত্তেজনা,উদ্দীপনার জন্যে।এই যে দুটো দিক দেখছ,সেগুলো এখানে লাগানো হতো এভাবে”,কপালের দুদিকে হাত দিয়ে সে বললো, “এক ধরণের বিদুৎ প্রবাহ হয় তখন শরীরে,তড়িৎ(স্ট্যাটিক) প্রবাহ,সুইজারল্যান্ডের গরমকালে প্রায়ই যা অনুভব করা যায়”।

স্থির বিদুৎ প্রবাহের ধাক্কাটা ব্রাজিলে তেমন একটা যে দেখা যায় না তা না,মারিয়া ট্যাক্সির দরজা খুলতে গিয়ে বেশ ধাক্কা খেয়েছিল একবার,সেখান থেকেই জানা তার স্থির বিদুৎ প্রবাহের কথা।ক সপ্তাহ পরে,বাজারে গিয়ে একই রকম ধাক্কা পেয়েছিল তার হাতের চুড়িতে।
“ওটা তো বেশ নোংরামী”,লোকটার দিকে তাকিয়ে সে বললো।
মনে মনে বেশ রেগে উঠছিল নায়া,তবে একমাত্র বন্ধু মারিয়াকে হারাতে চায় না,তাই চীনা
ভদ্রলোককে জড়িয়ে ধরে তাকে চুমুতে আদর করায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো,কোন না কোন ভাবে খদ্দেরকে সরিয়ে নেয়া ছাড়া আর উপায় কি।
“নির্ভর করে,কোথায় ব্যাবহার করছো,তুমি”?,লোকটা বললো।
সে,হাতল ঘুরিয়ে দেখাল কিভাবে পরিবর্তন আসে,লাঠিটায়।মেয়েদের হাতে ধরিয়ে দেখাল,বিদুৎ
প্রবাহের ধাক্কা।মিলান এসে অনুরোধ জানালো, “এটা ক্লাবে ব্যাবহার না করলেই ভাল”।
লোকটা বাক্সে রেখে দিল,যন্ত্রটা।নায়া প্রস্তাব করলো সোজা হোটেলে যাওয়ার জন্যে।কিছুটা
হতাশ হলো,চীনা ভদ্রলোক কেন না তার যথেষ্ট ঔৎসুক্য ছিল লাঠিটার ব্যাবহার করার জন্যে।সুটকেসে সবকিছু ঢুকিয়ে নিয়ে সে মন্তব্য করলো, “আবার তৈরী হচ্ছে এগুলো,মানুষ ব্যাবহার করছে বিশেষ আনন্দ খোঁজায়।তবে এ ধরণের পুরোনো জিনিষ শুধু খুঁজে পাবে,
মিউজিয়ামে,বিশেষ দোকানে”।

মিলান,মারিয়া দুজনেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল।
“দেখেছ এটা কোনদিন আগে”?
না এ রকম দেখেনি সে,তবে লোকটা তো তেল কোম্পানীর বড় কর্মকর্তা,সম্ভব তার পক্ষে
কেনা।
“কি ভাবে ব্যাবহার করা যায় ওটা”?
“পুরুষ তার শরীরের মধ্যে ঢুকিয়ে…সঙ্গী মেয়েকে হাতল চালাতে বলতে হবে।একটা বিদুৎ প্রবাহের ধাক্কা নিয়ে আসবে শরীরে অজানা উত্তেজনা”।
“পুরুষ কি নিজে নিজে করতে পারে না,সেটা”?
“যৌনক্রিয়া,যৌনখেলা অনেক সময় মানুষ যদিও একা একাই করতে পারে,কিন্ত আনন্দটা বাড়ে সঙ্গীর সাথে,না হলে এই বারের ব্যাবসা,তোমাদের ব্যাবসা সবই হয়ে যাবে অচল,তোমাকেও কোন মুদির দোকানে কাজ করতে হবে”।
“হ্যা,শোন তোমার বিশেষ খদ্দের আসবে আজকে,আর কারও সাথে যেও না আবার”।
“কোন খদ্দের নেব না,আর কোন খদ্দের নেব না কোনদিন,আমি বিদায় জানাতে এসেছি”।
বিচলিত হলো না,মিলান।
“এটার কারণ কি সেই শিল্পী”?
“না,কোপাকাবানা।সব কিছুরই একটা শেষ সীমানা আছে,আজকে ঐ ফুলের ঘড়ির পাশে বসে বুঝতে পারলাম,আমি আমার শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছি,এটা আর আমার জন্যে নয়”।
“সীমানাটা কি”?
“ব্রাজিলে একটা খামারের দাম,জানি হয়তো আরও বেশ কিছু টাকা উর্পাজন করতে পারবো আরেকটা বছর কাজ করলে,তবে না,আর দরকার নেই”।
“…চিন্তা করে দেখ সেটা”?
“জানি আমি,বুঝিও আমি,হিসেব করেও দেখেছি,তবে ঐ জালে জড়াতে চাই না আর,যেমন তুমি জড়িয়ে গেছ খদ্দেরদের নিয়ে।এই যে পুরুষের দল কেউ পাইলট,কেউ অফিসের বড় কর্মকর্তা,ক্ষমতাশালী লোকজন,যাদের কাছে আমার জীবনের সময়টা বিক্রি করেছি,কিন্ত তারা কি তাদের সময়টা বিক্রি করবে আমাকে?আরেকটা দিন থাকলে,থেকে যাব আরেকটা বছর,হয়তো আরও কটা বছর”।

মিলান মাথা নেড়ে ভাব দেখালো সে বুঝেতে পেরেছে সবকিছুই,কিন্ত কোন কিছুই বোধগম্য হয়নি তার।যদিও সে আর্শীবাদ করেনি, কোন কারণ দেখিয়ে ধরেও রাখতে চায়নি মারিয়াকে।
মিলানকে ধন্যবাদ জানালো মারিয়া তার সাহায্যের জন্য,এক গ্লাস শ্যাম্পেন অর্ডার দিল, ফলের রস আর খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না তার।মিলান বললো,কোন কিছুর দরকার হলে সে যেন ইতস্তত না করে তাকে টেলিফোন করতে।দাম দিতে চাইলে মিলান মাথা নেড়ে জানালো,ওটার দরকার নেই।

মারিয়ার ডাইরী থেকে নেয়া,ঘরে ফিরেঃ

“আমার ঠিক মনে নেই কোন এক রোববারের কথা,ঠিক করলাম গীর্জায় যাব।পৌছে দেখি
ওটা প্রটেষ্টানট গীর্জা,আর আমি ক্যাথলিক।ফিরে যাব ভাবছি,দেখি পুরোহিত তার সাপ্তাহিক ধর্মোপদেশ দেয়া তখন আরম্ভ করেছে,উঠে আসাটা চরম অভদ্রতা হবে,তাই বসেই থাকলাম।পুরোহিতটা বলছিল,‘চোখ যেটা দেখেনা,মন সেটা সাজিয়ে নিয়ে দুঃখ করে না’।কিন্ত কথাটায় এক বিন্দু সত্যি নেই।
দূরের মনটাই টেনে আনে ফেলে আসা আকাশটা,ভালবাসার মানুষটার কথা মনে আসে বারে
বারে,আমরা যখন তার কাছ থেকে দূরে থাকি।ধর্মীয় শাস্ত্রের লেখাগুলো বেশীর ভাগই লেখা বিধাতা খোঁজার পর্বে,মনের অস্থিরতায়,র্নিবাসনে।আমি গিয়ে পুরোহিতকে ধন্যবাদ জানিয়ে,
বললাম, অচেনা অজানা দেশটায় একা,আমি।অনেক অচেনা অজানা দেশটায় একা,আমি।
অনেক কেদেছে আমার মন”।

০০০০০০

সুটকেস দুটো বের করে বিছানায় রাখলো মারিয়া,তারা যেন অপেক্ষা করে ছিল যাত্রার সুরে।মারিয়ার ইচ্ছা ছিল নিজেকে নিতে নতুন পোষাকে সাজিয়ে,তুষারে খেলার কিছু ছবি নেয়ার,সুখের দিনের খেলনার ঘরের স্মৃতিটা ধরে রাখার ইচ্ছা কারই বা নেই।কটা নতুন পোষাক ছিল,কটা ছবিও ছিল তুষার বেলার,তবে তার কল্পনার কোন কাছাকাছি নয়।
জেনেভায় স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল,অনেক উর্পাজন করবে,খুঁজে নিবে জীবনের রহস্য,খামার কিনবে,নিয়ে আসবে বাবা মাকে সুইজারল্যান্ডে।শুধু একটা স্বপ্ন পূরন করেই ফিরে যাচ্ছে,
নাই বা হলো সব স্বপ্নের পূরন,কিন্ত তবুও সে সুখী,জানে এটা তার থেমে যাওয়ার সময়,অনেকেই তো জানে না কখন ক্ষান্ত দিতে হয়।

জীবনের চারটা অভিযান পূর্ন করা তার হলো একটা বছরেঃকাবারের নর্তকী,ফরাসী ভাষা শেখা,দেহবৃত্তি,হতাশার প্রেম।
কজন মানুষ এক বছরে এত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।মারিয়া সুখী,লুকোনো দুঃখ নিয়ে-সে দুঃখের একটা নাম আছে,টাকাপয়সা না,দেহবৃত্তি না,রালফ হার্ট।যদিও মেনে নেয়নি, লুকোনো ইচ্ছা একদিন রালফকে বিয়ে করবে,অপেক্ষা করছে রালফ গীর্জায় প্রদর্শনীতে অপেক্ষা করছে বন্ধু বান্ধব্ নিয়ে,তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যে।

যাবে না ঠিক করেছে মারিয়া,এয়ারপোর্টের কাছে একটা হোটেল রুম ভাড়া করেছে,পরের দিন ভোর বেলায় প্লেন ছেড়ে যাবে।এখন তার সাথে কোন সময় কাটানো হবে যন্ত্রনা বাড়িয়ে নেয়া শুধু,কি বলতে পারতো,কি বলা উচিত ছিল ভেবে ভেবে।

একটা সুটকেস খুলে বের করলো রালফের দেয়া ট্রেনটা,কিছুক্ষন পর ফেলে দিল ময়লার বাক্সে।ওটার ব্রাজিল যাওয়ার যোগ্যতা নেই,আনন্দ দিতে পারেনি শিশুটাকে যার জন্যে কেনা।
গীর্জায় সে যাবে না,অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে,সরল মনে যদি সব কিছু বলে দেয়,রালফ হয়তো অনুরোধ করবে,পৃথিবীর সব ভালবাসা উজাড় করে।তাদের সম্পর্ক তো স্বাধীনতার যোগ,হয়তো তাই ভালবাসা ছড়ানো তাদের মনে,সেখানে নেই কোন প্রয়োজনীয়তা,নেই কোন সাধারণের বাঁধন।পুরুষদের কাছে অসহ্য মেয়েদের কথাটা, “আমি তোমাকে চাই”।মারিয়া ঐ ছবিটা তার মনের খাতায় সাজিয়ে নিয়ে যেতে চায় যেখানে রালফ হার্ট,মাতাল তার প্রেমে,যে কোন কিছু প্রতিদানে উৎসুক।

এখনও সময় আছে কিছুটা,ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না মারিয়া দেখা করতে যাবে কি যাবে না।অবশ্য জিনিষপত্র সুটকেসে সাজিয়ে নেয়া দরকার,এমন অনেক কিছুই যা আর নিতে চায় না।ভাবলো বাড়ীর মালিকের উপরে ছেড়ে দেবে যা করে করুক,সব কিছু তো ব্রাজিলে নেয়া সম্ভব না।যদিও অনেক কিছুই হয়তো তার মা বাবার দরকার,যে কোন সুইস ভিখারীর চেয়ে।বের হয়ে ব্যাঙ্কের একাউন্ট থেকে সব টাকাপয়সা তুলে নিল।ব্যাঙ্কের ম্যানেজার-তার পুরোনো এক খদ্দের,উপদেশ দিল এ ভাবে হুট করে সবকিছু না করলেই ভাল।কিছুক্ষন ভাবলো যদিও,টাকাগুলো দরকার খামার কেনার জন্যে,বাড়ী কিনে দেয়ার জন্যে বাবা মাকে।টাকাগুলো একটা ব্যাগে ঢুকিয়ে পোশাকের নিচের বেল্টটার সাথে বেঁধে নিল।

০০০০০০

সূত্রঃ চতুর্মাত্রিক ।
তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২০

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ