Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

ঐতিহাসিক মুজিবনগরে ভারত-বাংলাদেশের নতুন দরজা (২০২২)

Share on Facebook

লেখক: অগ্নি রায় নয়াদিল্লি ২৭ মে ২০২২ ০৫:২৭

নরেন্দ্র মোদীর গত বছরের ঢাকা সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে স্থির হয়েছিল, চাপড়া থেকে মুজিবনগর পর্যন্ত রাস্তাটির নাম ‘স্বাধীনতা সড়ক’ করা হবে।

সেই উত্তাল একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের তরফে কলকাতার কিছু সাংবাদিককে বলে রাখা হয়েছিল, ১৭ এপ্রিল ভোরে প্রেস ক্লাবে উপস্থিত থাকতে। ভারতের কৃষ্ণনগর, চাপড়া, হৃদয়পুর হয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্ত পেরিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভূখণ্ড আমবাগান ঘেরা বৈদ্যনাথ তলায়। সেখানে তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার (মুজিবনগর সরকার)। সাংবাদিক বৈঠকও হয়। এর পরে ওই পথেই কলকাতায় ফিরে আসেন সাংবাদিকরা।

সেই স্মৃতি বিজড়িত সীমান্ত এলাকা বৈদ্যনাথ তলার নাম সেই দিনই দেওয়া হয় মুজিবনগর। এই সীমান্তবর্তী এলাকাকে স্মরণীয় করে রাখতে সেখানে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের নতুন দরজা (দু’দেশের এন্ট্রি-এগজ়িট পয়েন্ট) তৈরির জন্য উদ্যোগী হল দিল্লি ও ঢাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গত বছরের ঢাকা সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে স্থির হয়েছিল, চাপড়া থেকে হৃদয়পুর হয়ে মুজিবনগর পর্যন্ত ওই ঐতিহাসিক রাস্তাটির নামকরণ করা হবে ‘স্বাধীনতা সড়ক’।

নামে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ হলেও সেখানে ভিসা ইমিগ্রেশনের বন্দোবস্ত না-থাকায় মানুষের যাতায়াত ছিল না। এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরে যাতে স্বাধীনতা সড়ক বরাবর নতুন ইমিগ্রেশন পয়েন্ট ঘোষণা করা যায়, সে জন্য উঠে পড়ে লেগেছে দুই সরকার। বিষয় হল, সেখানে এগজ়িট এবং এন্ট্রির জন্য ছশো মিটার রাস্তা পাকা করতে হবে এবং সেটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হতে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে বলেছে। সেখানে ভিসা ইমিগ্রেশন পয়েন্ট খোলা হলে দুদেশেরই দু’প্রান্তেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ ইমরান সম্প্রতি নদিয়ার হৃদয়পুর সীমান্ত ঘুরে দেখে এসেছেন। ইতিমধ্যেই সেখানে ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের পোস্ট রয়েছে। বাংলাদেশের দিকে কাস্টমস আর ভিসা ইমিগ্রশন পয়েন্ট তৈরির জন্য পরিকাঠামো গড়ার কাজ প্রায় শেষ। ভারতের দিকে পরিকাঠামো যাতে হয়, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে। এর পর রাস্তা পাকা করার কাজ বাকি থাকবে। গত বছর প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘মুজিবনগর থেকে নদিয়া পর্যন্ত ঐতিহাসিক রাস্তাকে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ নাম দিতে ঢাকার প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।’ ইমরান জানিয়েছেন, সেখানকার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনে হয়েছে নতুন চেক পোস্ট-এর বিষয়ে সবাই আগ্রহী।

অন্য দিকে ভারত বাংলাদেশ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিটির (জেসিসি) বৈঠক দিল্লিতে হবে আগামী ৩০মে। বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লি আসবেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি দিল্লি আসার আগে ২৮-২৯ মে গুয়াহাটিতে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী গোষ্ঠী আয়োজিত নদী সম্মেলনে যোগ দিয়ে দিল্লি আসবেন। সূত্রের খবর, গুয়াহাটির অনুষ্ঠানে ভারতে নিযুক্ত দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদূত গেলেও, আমন্ত্রণ পেয়ে না-ও যেতে পারেন মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেওয়া নিয়ে মায়ানমারের গয়ংগচ্ছ মনোভাব এই সিদ্ধান্তের পিছনে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
তারিখ : মে ২৭, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ