Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া – পর্ব – ২ কারা আত্মপ্রত্যয়ী

Share on Facebook

‘চারপাশটা কেন জানি নেতিবাচক মানুষে ভরে গেছে’, এমনটাই আক্ষেপ করছিলেন একটি পাঁচ তারকা হোটেলের একজন কর্মকর্তা। তাঁর মতে, ‘নেতিবাচক মানুষের ভিড়ে যাঁরা ইতিবাচক, তাঁদের খুঁজে পাওয়া এখন মুশকিল একটি কাজ। যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী ও ইতিবাচক মনের মানুষ, তাঁদের সঙ্গে কাজ করলে অনেক কিছু যেমন শেখা যায়, তেমনি জীবনকে নতুন করে জানা যায়।’

নেপালের বিখ্যাত অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা রজত আচারিয়া প্রশ্নোত্তরের ওয়েবসাইট কোরাতে যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা দেখতে কেমন তা নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। হীরা দেখলেই যেমন টের পাওয়া যায় তার ঝলক, তেমনি আপনি দূর থেকেই আত্মপ্রত্যয়ী ও ইতিবাচক মনের মানুষকে চিনতে পারবেন।

তাঁদের চোখ উদ্দীপ্ত ও কৌতূহলী

আপনি যদি খেয়াল করেন, যাঁরা আত্মবিশ্বাসী মানুষ, তাঁরা কৌতূহলী হন। নতুনকে চেনার ইচ্ছা, পুরোনোকে নতুন করে জানতে তাঁরা আগ্রহী। সেই সব ইতিবাচক মানুষের চোখের দিকে তাকালে আপনি আত্মপ্রত্যয়ের ঝলক দেখতে পারবেন।

তাঁরা দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেন

যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁদের কথায় আপনি কখনোই ‘যদিও’, ‘কিংবা’ ও ‘কিন্তু’ এমন শব্দের উপস্থিতি টের পাবেন না। এমনকি তাঁদের শারীরিক ভাষাতেও কখনো দ্বিধার অস্তিত্ব পাবেন না আপনি। তাঁরা যা বলেন, বুঝে বলেন। নিজের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবহার করেন। এমনকি কখনো দ্বিধা বা সংকোচে পড়লে সেই সব প্রত্যয়ী মানুষ তা মস্তিষ্কের জোরে সমাধান করেন। তাঁরা যা করেন, তা দায়িত্ব নিয়ে করেন, অন্যকে দোষারোপ কিংবা কটু কথা কখনোই তাঁরা বলেন না। সমালোচনার ক্ষেত্রে তাঁরা ইতিবাচকভাবে গঠনমূলক কথা বলেন।

তাঁদের উপস্থিতি দূর থেকেই টের পাওয়া যায়

আপনি হয়তো অফিসের মিটিংয়ে প্রতিদিনই থাকেন অথচ কেউই আপনার উপস্থিতি টের পায় না। আবার সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে আপনাকে কেউ যেন দেখেও দেখে না। অথচ যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা যে অনুষ্ঠান বা অফিস মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেন না কেন তাঁদের উপস্থিতি দূর থেকেই টের পাওয়া যায়। তাঁরা নিজের চারপাশে প্রভাব তৈরি করতে পারেন। সেই সব মানুষ অন্যদের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেন দ্রুত। পরিস্থিতি ও পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁরা নিজেকে উপস্থাপন করেন।

তাঁদের ভয় নেই

ঊর্ধ্বতন কর্তাকে কী কথা বলব না বলব, বললে কী হয় না হয়—এমন জড়তা আমাদের মধ্যে বেশির ভাগেরই কাজ করে। যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা ইতিবাচকভাবে সামনে পা রাখতে ভয় পান না। তাঁরা অন্যকে ভয় পেয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেন না, যা সঠিক এবং ইতিবাচক তা-ই গ্রহণ করে নিজের অবস্থান তৈরি করেন। সাহস, আত্মপ্রত্যয়ী ও ইতিবাচক মানুষের পেশাজীবন ও ব্যক্তিজীবনে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অস্ত্র।

নিজেকে নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট

আপনি যদি নিজেকে নিয়ে দ্বিধায় থাকেন, তাহলে নিজেকে নিয়ে কখনোই সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন না। যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা নিজেকে নিয়ে সব সময় সন্তুষ্ট। আবার নিজেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ছাপিয়ে যান তাঁরা। আপনি দুর্বল প্রত্যয়ের মানুষ হলে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। যাঁরা ইতিবাচক ও আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা সব সময়ই নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ায় অনন্য হন।

তাঁরা প্রশ্ন করেন

আপনি কতটা সফল হবেন তা নির্ভর করছে আপনি কেমন প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা নিজেকে নিয়ে দ্বিধায় থাকি বলে প্রশ্ন রাখতে ভয় পাই, কিন্তু যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা যেকোনো মুহূর্তেই প্রশ্ন করতে পারেন। যেকোনো গল্প-আড্ডাতেও তাঁরা প্রশ্নকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে চারপাশের পরিবেশই বদলে দেন। তাঁদের কৌতূহল মনের বিস্তৃতি প্রশ্ন থেকেই টের পাওয়া যায়। কোনো রকমের দ্বিধা ছাড়াই প্রশ্ন করতে পারেন তাঁরা।

তাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সিদ্ধহস্ত

আমাদের চারপাশে আমরা অনেক মানুষকেই দেখি, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেন। আবার অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। যাঁরা প্রত্যয়ী, তাঁদের প্রতিদিনকার জীবনধারাই তাঁদের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা তৈরি করে। খেলার মাঠ থেকে শুরু করে অফিসের বোর্ড মিটিংয়ে তাঁদের ত্বরিত সিদ্ধান্ত আমাদের চমকে দেয়। নিখুঁত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতায় আমাদের চমকে দেন আত্মপ্রত্যয়ীরা।

তাঁদের লক্ষ্য অনেক দূরে

আমরা প্রতিদিন কখন ছুটির দিন আসবে, কখন বাড়ি ফিরব—এমন সব ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে কাটিয়ে যাই। কিংবা আগামী বছর কোথায় ঘুরতে যাব, কোন মডেলের গাড়ি কিনব তা ঠিক করে নিজের জীবনের গণ্ডি ছোট করে ফেলি। যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা বয়স ৩০ হলে কী করবেন, বয়স ৪০ হলে কী করবেন তা এখনই জানেন। তাঁরা নিজের পেশাজীবনে আগামী ৪০ বছর পরে কোথায় দেখবেন তা এখনই ঠিক করে রেখেছেন। তাঁরা যা করেন তা ভেবেচিন্তে-বুঝে করেন।

তাঁরা অন্যদের চেনেন

আপনার জীবনসঙ্গী বা প্রেমিকা কী চান সেটাই আপনি হয়তো জানেন না। আপনার বস আসলে কী রকমের কাজ পছন্দ করেন তা-ও হয়তো বুঝতে পারেন না। যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা অন্যদের চেনেন।

তাঁরা সব সময়ই সৎ

যাঁরা আত্মপ্রত্যয়ী, তাঁরা সব সময় পরিস্থিতি-বাস্তবতা ও নিজের সঙ্গে সততার সঙ্গে আচরণ করেন। নিজের ভুলত্রুটি খুব সহজেই যেমন তাঁরা স্বীকার করেন, তেমনি অন্যদের ভুলত্রুটি মুখের ওপরই বলে দেন তাঁরা। নিরপেক্ষতা তাঁরা পরিহার করে চলেন। যা সত্য, যা ইতিবাচক, যা রঙিন—তাই সব সময় বলেন আত্মপ্রত্যয়ী মানুষেরা।

সূত্র: কোরা, প্রথম আলো, জুন ২০১৮

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ