Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

জ্ঞানবাপী মসজিদ কি আরেক বাবরি মসজিদ হতে যাচ্ছে (২০২২)

Share on Facebook

বারানসির কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিও জরিপের কাজ নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ার পর দেশের নজর এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। আগামীকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পি এস নরসিংহের বেঞ্চ ঠিক করবেন, ভিডিও জরিপের কাজ আইন লঙ্ঘনকারী কি না এবং সেখানে বছরভর পূজা করার অধিকার হিন্দুরা পাবেন কি না।

ভারতীয় হিন্দুদের প্রধান তিনটি উপাসনাস্থল বিতর্কিত। অযোধ্যায় রামের জন্মভূমি, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি। বিতর্কের কারণ, তিন উপাসনাস্থলে তিনটি মসজিদের অবস্থান। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তিনটি উপাসনাস্থলের চরিত্র বদল করে প্রাচীনকালে মুসলমান শাসকেরা সেখানে মসজিদ তৈরি করেছিলেন। অযোধ্যায় রামের জন্মস্থলে বাবরি মসজিদ, কাশীতে বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানে শাহি ঈদগাহ মসজিদ।

আশির দশকের শেষে বিজেপির সঙ্গে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন অযোধ্যার ‘মুক্তি আন্দোলন’ শুরুর সময় থেকেই বলে এসেছে, এই তিন উপাসনাস্থলকে ‘মসজিদমুক্ত’ করা তাদের মূল লক্ষ্য। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আগে তাই স্লোগান উঠেছিল, ‘আভি সির্ফ অযোধ্যা হ্যায়, কাশী–মথুরা বাকি হ্যায়।’ অর্থাৎ এখন অযোধ্যা মুক্ত হচ্ছে। পরে মুক্ত হবে কাশী ও মথুরা। জ্ঞানবাপী মসজিদের জরিপ সেই প্রচেষ্টারই একটা ধাপ।

এই জরিপের নির্দেশ, যা বারানসির দেওয়ানি আদালতের দেওয়া, তা পরিষ্কারভাবে ১৯৯১ সালের কেন্দ্রীয় উপাসনালয় আইনের পরিপন্থী বলে মসজিদ কমিটির আইনজীবী হুজেফা আহমদি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। জরিপ রুখতে ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণের এজলাসে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে জরিপ রোখা উচিত। কারণ, তা ১৯৯১ সালের উপাসনালয় আইন লঙ্ঘন করছে।

উপাসনালয় আইনটি এনেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও, অযোধ্যা অন্দোলনের প্রেক্ষাপটে। ১৯৯১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আনা এই আইনের নির্যাস, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, ভারতের স্বাধীন হওয়ার দিন দেশের সব উপাসনালয়ের চরিত্র যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। কোনো রকম পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ মন্দির ভেঙে মসজিদ অথবা মসজিদ ভেঙে মন্দির, উপাসনালয়ের চরিত্র ওই দিন যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। একমাত্র ব্যতিক্রম অযোধ্যা। জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির দাবি, বারানসি আদালতের নির্দেশ ওই কেন্দ্রীয় আইন ভঙ্গ করছে। প্রধান বিচারপতি ওই আরজি গ্রহণ করলেও মামলার গতিবিধি জানা না থাকায় জরিপের নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিতে চাননি। কিন্তু মামলাটি শুনানির জন্য পাঠান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি নরসিংহের এজলাসে। আগামীকাল সেই শুনানি। যদিও তার আগে মসজিদ জরিপের কাজ শেষ।

বারানসির দেওয়ানি আদালতে পাঁচ হিন্দু নারী আবেদন জানিয়েছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদের পশ্চিমের দেয়ালের বাইরের দিকে যে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি রয়েছে, সেখানে বছরভর পূজা করার অধিকার দেওয়া হোক। পূজার সেই অধিকার এখন রয়েছে বছরে মাত্র এক দিন—চৈত্র মাসে নবরাত্রি চলাকালীন। বছরভর অধিকার দেওয়া যায় কি না, তা বিবেচনার জন্যই মসজিদ চত্বরে ভিডিও জরিপের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারও আগে এই একই দাবিতে আদালতে গিয়েছিল এক কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন ‘স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর’। তাদের আরজি, ১৬৬৪ সালে মোগল সম্রাট আরঙ্গজেব কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে এই মসজিদ তৈরি করেছিলেন। মসজিদের পশ্চিম প্রান্তের দেয়ালে তার প্রমাণ রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষাতেও তা প্রমাণিত হবে। সে ক্ষেত্রে ওই মসজিদ হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। মসজিদ কমিটির আপত্তি এই সব দাবি ঘিরে। জরিপের বিরুদ্ধে আবেদনও জানানো হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে দিলে মসজিদ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

আজ সোমবার সকাল থেকেই বারানসি সরগরম। রটে গেছে, মসজিদ চত্বরে অজু করার পুকুরে নাকি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে অবশ্য তা স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়নি। দেওয়ানি আদালত পুকুর ঘিরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে।

সরকারি আইনজীবী মহেন্দ্র প্রসাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, মসজিদের অভ্যন্তরের দুটি গম্বুজ, ভূগর্ভস্থ অংশ, অজু করার পুকুর, পশ্চিমের দেয়াল—সর্বত্র জরিপ শেষ হয়েছে নির্বিঘ্নে। আজ সেমবারই রিপোর্ট তৈরি করে ফেলার কথা। আদালত নিযুক্ত কমিশনার সেই রিপোর্ট আজ সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবেন।

প্রচলিত আইন রক্ষা, নাকি জরিপকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত, কোনটা গুরুত্ব পাবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে? দলগতভাবে বিজেপি অথবা কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে এখনো চুপ। কেন্দ্রীয় আইন রক্ষা অথবা হিন্দুত্ববাদীদের পূজার অধিকার দাবি, কোনো বিষয়েই সরকার মন্তব্য করেনি।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: মে ১৬, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ