লেখক: এএফপি, দ্য হেগ।
যদি প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষটি কে? গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য বলবে, তিনি তুরস্কের নাগরিক সুলতান কোসেন। আর যদি প্রশ্ন করা হয়, এযাবৎকালের সবচেয়ে লম্বা মানুষটি কে? গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলবে প্রয়াত মার্কিন নাগরিক রবার্ট ওয়াডলোর কথা। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, গড় উচ্চতায় বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষের দেশ কোনটি? জবাব আসবে, নেদারল্যান্ডস। অর্থাৎ গড় উচ্চতায় ডাচরা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জাতি। কিন্তু তাদের এ খ্যাতিতে কিছুটা টান পড়েছে। কারণ, সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, নেদারল্যান্ডসের মানুষ দিন দিন বেঁটে হয়ে যাচ্ছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ সুলতান কোসেনের উচ্চতা ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি। আর এযাবৎকালের সবচেয়ে লম্বা মানুষ রবার্ট ওয়াডলোর উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ১১ ইঞ্চির কিছু বেশি।
নেদারল্যান্ডসের পরিসংখ্যান দপ্তর গত শুক্রবার জানিয়েছে, তাদের বর্তমান প্রজন্ম আগের প্রজন্ম থেকে বেঁটে হয়ে যাচ্ছে। ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া ডাচদের চেয়ে ২০০১ সালে জন্ম নেওয়া ডাচরা গড় উচ্চতায় খাটো। বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী ডাচ তরুণদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট, আর তরুণীদের উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরা তারুণ্যে পা দেওয়ার পর যে উচ্চতার অধিকারী হয়েছিলেন, তাঁদের তুলনায় ২০০১ সালে জন্ম নেওয়া তরুণেরা গড়ে শূন্য দশমিক ৩৪ ইঞ্চি বেঁটে। মেয়েদের ক্ষেত্রে উচ্চতার এই পার্থক্য শূন্য দশমিক ৫৫ ইঞ্চির মতো। এই গবেষণায় নেদারল্যান্ডসের ১৯ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ লাখ ১৯ হাজার ব্যক্তির তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান দপ্তরের ওই তথ্যে আরও বলা হয়, নেদারল্যান্ডসের নাগরিকদের গড় উচ্চতা গত শতাব্দীতে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। কিন্তু ১৯৮০ সালে এসে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০০০ সালের পর থেকে, অর্থাৎ নতুন শতাব্দীতে এসে দেশটিতে মানুষের গড় উচ্চতা কমতে শুরু করেছে। এই অবস্থার জন্য গবেষকেরা অভিবাসন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করেছেন।
তবে নেদারল্যান্ডসের পরিসংখ্যান দপ্তর বলেছে, নিজেদের গড় উচ্চতা কমে গেলেও এখনো বিশ্বের লম্বা জাতির খ্যাতি তাদেরই রয়েছে।
এই ‘খারাপ’ সংবাদের মধ্যেও এখনো বিশ্বের মানুষের কাছে রহস্যের বিষয়, কেন ডাচরা এত লম্বা। জনপ্রিয় একটি প্রচলিত কথা রয়েছে, পনিরপ্রেমী ডাচরা বেশি বেশি দুগ্ধজাতীয় খাবার খায় বলেই তাদের দৈহিক বৃদ্ধি বেশি। অবশ্য বিজ্ঞানীরা এতে একমত নন। তবে বংশগত কারণ ও পরিবেশের একটি প্রভাব তো রয়েছেই।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ১৯, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,