Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

তালেবানের বিধিনিষেধ চুপচাপ মেনে নেবেন না আফগান নারীরা (২০২১)

Share on Facebook

আফগনিস্তানে নারীপরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান সরকার। নারীদের ঘরে থাকতে বলছে তারা। পুরুষদের সঙ্গে একত্রে কাজ করা যাবে না বলে বিধিনিষেধ দিচ্ছে। এ অবস্থায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে খোলেনি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ কারণে ফুঁসে উঠছেন আফগান নারীরা। এরইমধ্যে একজন নারী উদ্যোক্তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, আমরা তালেবানের এসব বিধিনিষেধ চুপচাপ মেনে নেব না। কথাটি আসলে একজনের নয়; দেশটিতে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে নারীদের বিভিন্ন বিধিনিষেধের আওতায় আনা হচ্ছে, তাতে যেভাবে ফুঁসছেন নারীরা, মূলত সবাই প্রতিবাদ করবেন। খবর এনডিটিভির

গত আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকে কট্টর তালেবান নারীদের স্কুল-কলেজ ও কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক নারী উদ্যোক্তা তালেবানের ভয়ে দেশ ছেড়েছেন কিংবা আত্মগোপন করেছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবান শাসনে নারীদের যে অবস্থা হয়েছিল, বর্তমানে নারীরা সে অবস্থার পুনরাবৃত্তির ভয় করছেন। আফগান নারীদের এখন একা বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। বাইরে বের হতে হলে সঙ্গে একজন হলেও পুরুষ সঙ্গী বা অভিভাবক থাকতে হবে।

হেরাতে ২০০৭ সালে জাফরানের ব্যবসা শুরু করেছিলেন সাফিকেহ আত্তায়ি নামে একজন নারী। তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তিনি। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা বাড়িতে বসে থাকতে পারব না। কারণ আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমরা চুপ থাকতে পারব না। আমরা চাই, আমাদের কথা তারা শুনুক।

আত্তায়ির কোম্পানির নাম পাশতন জারঘন উইমেনস। বিশ্বের সবচেয়ে দামি জাফরান উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং ও রপ্তানি করে থাকে এটি। কোম্পানিটিতে প্রায় সবাই নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী। ইরানের সীমান্তবর্তী হেরাত প্রদেশের পাশতন জারঘন জেলায় কোম্পানির ৬০ একর জমিতে জাফরান চাষ করা হয়।

৪০ বছর বয়সী আত্তায়ি বলেন, আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। কেউ এটা আমাকে করে দেয়নি। আমি নারীদের নিয়োগ করেছি, কারণ তাদের রোজগার করতে হয়, তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে হয়।

তিনি বলেন, আমি আমার ব্যবসার জন্য উদ্বিগ্ন নই। আমি ভাবছি, খেটে খাওয়া আফগান নারীদের জন্য। তাদের চাকরি নেই, শিক্ষাদীক্ষা নেই, এমনকি সরকারে তাদের কোনো প্রতিনিধিও নেই। আর এখন ইসলামিক সরকার নামধারীরা আমাদের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। আমাদের ঘরের বাইরে যেতে দিচ্ছে না। আমি জানি না, ভবিষ্যতে আমাদের নারীদের ভাগ্যে কী আছে?

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০ বছর ধরে নিজেদের তুলে ধরার জন্য যে পরিশ্রম করেছি, তা স্রেফ বিফলে যাবে।

কাবুলের চেম্বার অব কমার্সের প্রধান ইউনুস কাজিজাদা অবশ্য আশাবাদী এ ব্যাপারে। তার বিশ্বাস, তালেবান সরকার বাস্তবতা বুঝতে পারবে এবং নারীদের তাদের কাজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেবে।

সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ২৮, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ