Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং

Share on Facebook

দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং পুরো বিশ্বের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ও বেস্ট সেলিং একটি সেলফ ডেভেলপমেন্ট বই। গত শতাব্দীর অন্যতম সেফল ডেভেলপমেন্ট লেখক ও বক্তা নরম্যান ভিনসেন্ট পেইল এই বইয়ের লেখক।

৩০১ পৃষ্ঠা ব্যাপ্তির পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং বইয়ে লেখক দেখিয়েছেন কিভাবে ইতিবাচক চিন্তা করার মাধ্যমে মানুষ জীবনে সফল ও সুখী হতে পারে। এর পাশাপাশি তিনি পজিটিভ চিন্তা করার উপায় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

১৯৫২ সালে প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বইটি তুমুল ভাবে আলোচিত। শুধুমাত্র নিজের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করে যে নিজের জীবনকে ইতিবাচক ও সফল করা যায় – তা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন এই বইটির মাধ্যমে। এই বইটি পড়ে অনেকের জীবনেই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

আপনিও যাতে এই বইয়ের শিক্ষা ও দর্শনগুলো কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনকে আরও সফল করতে পারেন – তাই বইটির মূল বিষয়গুলো এক করে আমরা দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং এর বুক রিভিউটি প্রস্তুত করেছি।

লেখকের বিষয়ে এক নজর:
মূল বইয়ের আলোচনায় যাওয়ার আগে চলুন সংক্ষেপে লেখক নরম্যান ভিনসেন্ট পেইল সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক।

নরম্যান ভিনসেন্ট পেইল ছিলেন একজন আমেরিকান ধর্মীয় বক্তা। পজিটিভ থিংকিং বা ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে জীবনকে সুন্দর করার ধারণাটি মূলত তাঁর মাধ্যমেই পরিচিত ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার সময়ে তিনি বুঝতে পারেন মানুষের চিন্তা ভাবনা তার জীবনের ওপর তার ধারণার চেয়েও অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। – একজন মানুষ যদি বিশ্বাস করতে না পারে, তবে সে অর্জনও করতে পারে না। বিশ্বাস থেকেই মূলত চেষ্টা আসে।

একজন খারাপ মানুষ যদি বিশ্বাস করে যে সে চাইলেও ভালো হতে পারবে না, তবে সে ভালো হওয়ার চেষ্টাও করবে না। অন্যদিকে আরও অনেক বেশি খারাপ একজন মানুষ যদি বিশ্বাস করে যে, এখনও তার পক্ষে ভালো হওয়া সম্ভব – তাহলে সে ভালো হওয়ার চেষ্টা করবে। এবং এই চেষ্টাই হয়তো একদিন তাকে ভালো মানুষে পরিনত করবে।

নরম্যান ভিনসেন্ট পেইল এর একটি বিখ্যাত উক্তি থেকে তাঁর মূল দর্শনটি বোঝা যায়:

“এটি বিশ্বজগতের সবচেয়ে বড় নিয়মগুলোর একটি। আমার আফসোস হয় আরও তরুণ বয়সে কেন এটার সন্ধান আমি পাইনি। ইশ্বরের সাথে আমার সম্পর্কের পর আমার সবচেয়ে বড় আবিষ্কার এটি। নিয়মটি খুব সাধারণ: কেউ যদি নেতিবাচক চিন্তা করে, তার ফলাফল নেতিবাচক হবে। আর কেউ যদি ইতিবাচক চিন্তা করে, তবে তার ফলাফল ইতিবাচক হবে। এটি খুব সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু এটাই আবার জীবনে সাফল্য ও উন্নতির সবচেয়ে বড় শর্ত। বিশ্বাস করো এবং সফল হও।“

নরম্যান এর পুরো জীবন মূলত এই দর্শন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই কেটেছে। আর তাঁর এই দর্শন পূর্ণতা পেয়েছে তাঁর “দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং” বইয়ে। মনের মধ্য থেকে ভয়, সন্দেহ, আশঙ্কা, নেতিবাচকতা দূর করার এক দারুন গাইড লিখে গেছেন তিনি। যা তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরও মানুষকে নেতিবাচকতা থেকে বেঁচে সুন্দর জীবন গঠনে সাহায্য করছে।

পজিটিভ থিংকিং আসলে কি?
পজিটিভ থিংকিং বা ইতিবাচক চিন্তার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে লেখক বলেছেন – “ইতিবাচক চিন্তার সংজ্ঞা দেয়ার বদলে আমি ইতিবাচক চিন্তা করা মানুষের সংজ্ঞা দিতে চাই। এটাই সহজ হবে। ইতিবাচক চিন্তাকারী (positive thinker) এমন একজন মানুষ, যিনি নেতিবাচক বা খারাপ বিষয় গুলো দেখতে পান। কিন্তু তিনি সব সময়ে মনে রাখেন, তিনি তাঁর নিজের চেষ্টায় এই নেতিবাচক বিষয়গুলো মোকাবেলা করে ভালো কিছু করতে পারবেন”

এখানে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করুন: লেখক কিন্তু বলেননি যে, একজন পজিটিভ থিংকার নেতিবাচক বা খারাপ বিষয়গুলো এড়িয়ে যান, বা সেগুলো নিয়ে চিন্তা করেন না। তিনি সেগুলোর অস্তিত্ব স্বীকার করেন। কিন্তু এটাও বিশ্বাস করেন, তাঁর পক্ষে এসব নেতিবাচক বিষয় বা ঘটনা মোকাবেলা করে ভালো কিছু করা সম্ভব।

যাঁরা মনে করেন, পজিটিভ থিংকিং বা ইতিবাচক চিন্তা করার মানে নেতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি চোখ বন্ধ রাখা – তাঁরা আসলে ভুল করেন। নেতিবাচক বিষয়গুলোকে পুরোপুরি এড়িয়ে গেলে বরং বিপদ আরও বেড়ে যাবে। পজিটিভ থিংকার হতে হলে আপনাকে নেতিবাচক বিষয়গুলো মেনে নিয়েই সেগুলোকে ইতিবাচক চিন্তা ও কাজ দিয়ে মোকাবেলা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং বুক রিভিউ:
দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং বইটি ১০টি অধ্যায়ে বিভক্ত। এই অধ্যায়গুলোতে লেখক ধাপে ধাপে ইতিবাচক চিন্তা কিভাবে মানুষের জীবনকে সুন্দর করে, এবং কিভাবে এটা কাজে লাগানো যায় – তা বর্ণনা করেছেন। চলুন একে একে অধ্যায় গুলোর মূল বক্তব্য সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক:

০১. নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন
পজিটিভ থিংকিং

নিজের প্রতি বিশ্বাস মানে লেখক বুঝিয়েছেন, নিজের যোগ্যতার ওপর বিশ্বাস রাখার কথা। আপনি যদি কিছু না জানেন বা না পারেন – তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি বিশ্বাস করুন আপনার শেখার যোগ্যতা আছে। শিখুন, শিখে নিলে কাজের যোগ্যতাও আপনার হয়ে যাবে।

লেখক বলেন, নিজের যোগ্যতার ওপর বিশ্বাস করা ছাড়া সফল ও সুখী হওয়া সম্ভব নয়। নিজের ওপর বিশ্বাস বা আত্মবিশ্বাস মানুষকে আশা করার সাহস যোগায়। আত্মবিশ্বাস আর আশার ওপর ভর করে একজন হতদরিদ্র মানুষ বিরাট ধনীতে পরিনত হতে পারে; একজন দুর্বল মানুষ অনেক বড় বিজয় লাভ করতে পারে; একজন মূর্খ মানুষ বিরাট জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

নিজের যোগ্যতার ওপর সত্যিকার বিশ্বাস থাকলে কোনও ধরনের নেতিবাচক অবস্থা আপনাকে বিচলিত বা দুর্বল করতে পারবে না। কাজেই, সব সময়ে নিজের যোগ্যতার ওপর বিশ্বাস রাখুন। যে পরিস্থিতিতেই পড়েন না কেন – বিশ্বাস করুন তা মোকাবেলা করার যোগ্যতা আপনার আছে। তাহলেই দেখবেন সামনে অনেক পথ খুলে যাচ্ছে।

০২. মনের শান্তি আপনাকে শক্তিশালী করবে

লেখক বলেন, মানুষের অনেক বাস্তব সমস্যাই আসলে তার মনের চিন্তার ফসল। এই কারণে মনকে নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্ত করতে হবে। লেখক বলেন – এটা করার জন্য বিশ্বস্ত মানুষের কাছে নিজের অশান্তিগুলোর কথা বলাটা বেশ ভালো একটি উপায়। কাছের মানুষের কাছে নিজের মনের দু:খ ও আশঙ্কাগুলো শেয়ার করলে মন অনেকটা হাল্কা হয়। আমাদের চেপে রাখা নেতিবাচক চিন্তা গুলো আমাদের মনকে বেশি প্রভাবিত করে। কাজেই নেতিবাচক বা হতাশাজনক কোনও চিন্তা এলে, বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, অথবা কাছের বন্ধুর কাছে মনের কথা খুলে বলুন।

০৩. কিভাবে শক্তি ধরে রাখবেন

এই অধ্যায়ে লেখক বলেন, আমাদের মনের অনুভূতি আমাদের শরীরের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। আপনি যদি মনে করেন আপনি দুর্বল – তবে আপনার শরীরও কাজের বা পরিশ্রমের সময়ে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। আর যদি আপনি মনে করেন আপনি অনেক পরিশ্রম করতে পারেন, তবে আপনার শরীরও সেভাবেই সাড়া দেবে। কাজেই শরীরকে শক্তিশালী করার জন্য মনকে শক্তিশালী করুন। সব সময়ে নিজেকে বলুন, আপনি শক্তিশালী ও পরিশ্রমী। দেখবেন আপনার শরীরও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে পারছে, এবং দ্রুত ক্লান্ত হচ্ছে না।

০৪. প্রার্থণার শক্তি

এই অধ্যায়ে লেখক চিকি‌ৎসকদের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে, তাঁরা অনেক সময়েই মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য “প্রেয়ার থেরাপি” বা প্রার্থণা চিকি‌ৎসা ব্যবহার করেন।

প্রার্থণা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস মানুষের মনে অন্যরকম একটি প্রশান্তি এনে দেয়। যখন সব দিক অন্ধকার, তখন বিশ্বাস ও প্রার্থণা মানুষকে নতুন করে আশা করার সাহস যোগায়।

বর্তমান সময়ের আরেকটি বেস্ট সেলিং সেলফ ডেভেলপমেন্ট বই মিরাকেল মর্নিং এও একই ধরনের কথা বলা হয়েছে। কেউ যদি প্রার্থণা ও সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দিন শুরু করে – তবে তার দিনটা অনেক বেশি শান্তিতে কাটে।

০৫. কিভাবে নিজের মধ্যে সুখ সৃষ্টি করবেন

লেখক বলেন, নিজের মনের সুখের জন্য অন্য কোনও মানুষের ওপর নির্ভর করবেন না। কে আপনাকে নিয়ে কি ভাবে – এটা নিয়ে বিচলিত হবেন না। যদি আমরা নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকি, তাহলে কোনও মানুষ বা পরিস্থিতি আমাদের সুখী হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবে না। অন্যের কিছু একটা আছে, কিন্তু আপনার নেই – একারণে কখনও মন খারাপ করবেন না। আপনার যা আছে, তা অনেকের কাছেই নেই। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ইউনিক। এবং প্রত্যেকেরই এমন যোগ্যতা ও গুণ আছে – যা অন্য কারও নেই।

অন্য মানুষ আপনাকে নিয়ে কি ভাবে, তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হবেন না। শুধু কারও ক্ষতি না করলেই হল। বিনিময়ে কিছু পাওয়ার আশা না করে অন্যের মন্তব্য যেন আপনার আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শান্তি নষ্ট না করে। সব সময়ে নিজের কাজে মন দিন। নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোতে মন দিন। তাহলেই দেখবেন নিজের মধ্যে একটা শান্তির অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে।

০৬. অস্থির হবেন না
পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং

কিছু মানুষ আছেন যারা একটুতেই অস্থির হয়ে যান। ঘটনা ঘটার আগেই দু:শ্চিন্তায় অস্থির অথবা অসুস্থ হয়ে যান। পরীক্ষার এক মাস বাকি থাকতেই পরীক্ষার টেনশনে অস্থির হয়ে যায় অনেকে। এতে করে ঠিকমত পড়াই হয়না। ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগেই নার্ভাস হয়ে যান অনেকে। যার ফলে ইন্টারভিউটাই ঠিকমত দেয়া হয় না।

যা ঘটেনি তা নিয়ে আগে থেকে অস্থির হওয়ার কোনও মানে হয় না। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে মাথা ঠান্ডা রাখুন, এবং যত ভালো ভাবে পারা যায় প্রস্তুতি নিন। টেনশন করার বদলে প্রস্তুতির পেছনে সময় দিলে মনের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। এবং সেইসাথে কাজের ফলাফলও ইতিবাচক হয়।

০৭. সবচেয়ে ভালোটা আশা করুন এবং তার জন্য কাজ করুন

এই অধ্যায়ে লেখক এক যুবকের কাহিনী বলেছেন যে তার সব কাজেই ব্যর্থ হচ্ছিল। তার ব্যর্থতার কারণ কেউ বুঝতে পারছিল না। কারণ, তার সব ছিল। তার জন্ম হয়েছিল একটি প্রভাবশালী পরিবারে। তার শিক্ষা ছিল খুবই উন্নত মানের। ভালো ভালো সব জায়গায় তার দারুন যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তারপরও সে কিছুতেই সফল হতে পারছিল না। যে যা-ই করছিল, তাই নষ্ট হচ্ছিল। বহু চেষ্টার পরও সে সফল হতে পারছিল না। চেষ্টা করতে করতে একটা সময়ে সে তার ব্যর্থতার কারণ বুঝতে পারল। এবং এটা বুঝতে পারার পর তার জীবন বদলে গেল। অবশেষে সে সাফল্যের দেখা পেল। তার স্বভাবও বেশ বদলে যেতে লাগলো।

লেখক যখন সেই যুবককে তার সাফল্য ও তার ব্যক্তিত্বের হঠা‌ৎ পরিবর্তনের কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যুবকটি উত্তর দিয়েছিল: খুব সাধারণ একটি জিনিস তার জীবন বদলে দিয়েছে। জিনিসটা হল, বিশ্বাস। সে বলেছিল, বিশ্বাস জাদুর মত কাজ করে। কেউ যদি বিশ্বাস করে তার সাথে খারাপটা ঘটবে, তাহলে বেশিরভাগ সময়েই তার সাথে খারাপটা ঘটে। আর ভালোটা বিশ্বাস করলে ভালোটা ঘটে।

দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং এ লেখক বলেন, এটা আসলে জাদু নয়। মানুষ যখন ভালোটা আশা করে কাজে নামে, তখন তার আচরণে পজিটিভ ভাব প্রকাশ পায়। সে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করে, এবং অন্যরাও তাকে পছন্দ করে। আমাদের উচি‌ৎ সন্দেহ ও শঙ্কার ওপর ফোকাস না করে, আশা ও সম্ভাবনার দিকে ফোকাস করা। তাহলেই আমাদের আচরণ ও কাজের ফলাফল বদলে যাবে।

০৮. হেরে যাওয়ায় বিশ্বাস করবেন না

লেখক বলেন, সত্যিকার পজিটিভ থিংকাররা পরাজয়ে বিশ্বাস করেন না। একজন মানুষ যদি কোনও ঘটনার পর ধরে নেয় সে পরাজিত হয়ে গেছে – তাহলে সে আর নতুন করে চেষ্টা করবে না।

একজন মানুষ যখনই পরাজয় মেনে নেয়, তখনই আসলে সে ব্যর্থ হয়। কিন্তু পরাজয় মেনে না নিয়ে যদি সে বার বার চেষ্টা করে যায় – তবে তার জয়ের সম্ভাবনা থাকে। একজন মানুষ যদি বিশ্বাস করে যে, পরাজয় বলে কিছু নেই – তবে সে সব সময়ে পজিটিভ থেকে জেতার চেষ্টা করে যাবে।

০৯. ভয় পাওয়া একটি অভ্যাস

দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং এর এই অধ্যায়ে লেখক আলোচনা করেছেন, ভয় আসলে মানুষের একটি অনুভূতি। দীর্ঘদিন ধরে ভয় পাওয়ার কারণে এটি মানুষের অভ্যাসে পরিনত হয়। মানুষ কারণে অকারণে ভয় পায়। লেখক বলেন, মানুষ এই অভ্যাস নিয়ে জন্মায় না। ধীরে ধীরে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে যেতে এই অভ্যাস গড়ে ওঠে। আর অন্য যে কোনও অভ্যাসের মতই এই অভ্যাস দূর করা সম্ভব। যে কাজ করতে ভয় পান, নিয়মিত মনে মনে কল্পনা করুন, সেই কাজ আপনি খুব সুন্দর ভাবে করতে পারছেন। এবং একটু একটু করে সেই কাজ করার চেষ্টা করুন। ভয় করলেও চেষ্টা করুন ভয়কে পাত্তা না দিয়ে কাজ শুরু করার। ধীরে ধীরে মন থেকে ভয় দূর হয়ে যাবে।

১০. নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করুন

পজিটিভ থিংকাররা যে কোনও সমস্যাই আগে নিজে সমাধান করার চেষ্টা করেন। কোনও সমস্যায় পড়লে প্রথমেই একজন পজিটিভ থিংকার ভাবেন, তিনি নিজে এই ব্যাপারে কি করতে পারেন?

আপনি যখন নিজেকে প্রশ্ন করবেন যে, “আমি এই ব্যাপারে কি করতে পারি?” – তখন আপনার মস্তিষ্ক সমস্যার সমাধান পদ্ধতি বের করার জন্য কাজ শুরু করে দেবে। আর যদি চিন্তা করেন, “আমি মনেহয় পারবো না” – তাহলে আপনার মস্তিষ্কও সমাধান খোঁজা বন্ধ করে দেবে।

পজিটিভ থিংকিং এর একটি মূল বিষয়ই হল এমন ভাবে চিন্তা করা, যাতে মস্তিষ্ক এ্যাকটিভ হয়। সব সময়ে মনে রাখবেন, সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকবে। সমাধান ছাড়া পৃথিবীতে কোনও সমস্যা নেই। কিছু সমাধান হয়তো খুবই সহজ, কিছু হয়তো কঠিন। কিন্তু সমাধান ঠিকই আছে। এবং একজন মানুষ যদি বিশ্বাস করে যে সে কোনও সমস্যা সমাধান করতে পারবে – তখন তার মস্তিষ্ক কোনও না কোনও ভাবে সমাধান খুঁজে বের করে।

ব্যাপারটিকে যদি এভাবে চিন্তা করতে পারেন, তবে কোনও সমস্যাই আপনাকে আটকে রাখতে পারবে না।

পরিশিষ্ট:
দি পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং বইয়ে লেখক একটি মূল জিনিসই বার বার বোঝাতে চেয়েছেন, ইতিবাচক চিন্তা ও বিশ্বাস মানুষকে ইতিবাচক বাস্তবতার দিকে নিয়ে যায়। ইতিবাচক চিন্তা করার অভ্যাস আপনাকে বড় লক্ষ্য ঠিক করার ও তা অর্জন করতে কাজ করার আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

এই বুক রিভিউটির মাধ্যমে আমরা আপনাকে দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচক থাকার কিছু আইডিয়া দেয়ার চেষ্টা করেছি। লেখক বলেছেন, বইয়ের টেকনিক গুলো অনুসরন করলে মানসিক প্রশান্তি, শারীরিক সুস্থতা ও এনার্জি আপনার মাঝে বজায়ে থাকবে। দৈনন্দিন জীবনের নেতিবাচকতা গুলো আপনাকে দুর্বল করতে পারবে না বা পেছনে টেনে রাখতে পারবে না। ফলে আপনি প্রতিদিনই একটু একটু করে আপনার কাঙ্খিত সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবেন।

সূত্র: নেট থেকে সংগৃহীত ( লড়াকু)
তারিখ: অক্টোবর ০৯, ২০

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ