Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

দ্বিতীয় এলিজাবেথের রানি হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল (২০২২)

Share on Facebook

লেখা: বিবিসি লন্ডন।

দ্বিতীয় এলিজাবেথ রানি হবেন, এমনটা খুব কমই আশা করতেন। এমনকি যখন তিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন, তখনো তিনি ভাবেননি যে তাঁকে দীর্ঘ সময় রাজদায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর মাত্র ২৫ বছর বয়সে তাঁকে সিংহাসনে বসতে হয়। অথচ তাঁর বাবা ও তাঁর রাজসিংহাসনে আরোহণের সম্ভাবনা কম ছিল। মৃত্যুর আগপর্যন্ত দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৭০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর) ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকারের তালিকায় তৃতীয় ছিলেন। এ তালিকায় প্রথম ছিলেন তাঁর বড় চাচা প্রিন্স অব ওয়েলস অষ্টম এডওয়ার্ড ও তাঁর বাবা ডিউক অব ইয়র্ক আলবার্ট ষষ্ঠ জর্জ।

বিবিসির তথ্যমতে, দ্বিতীয় এলিজাবেথের রানি হওয়াটা একবারে গল্পের মতো। দাদা পঞ্চম জর্জের মৃত্যুর পর তাঁর বড় চাচা অষ্টম এডওয়ার্ড ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি সিংহাসন ত্যাগ করেন। এর পেছনে ছিল প্রেমের সম্পর্ক। মার্কিন সমাজকর্মী ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করতে চাইলে তাঁর সিংহাসনে থাকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কারণ, সিম্পসন ডিভোর্সি নারী ছিলেন। সে কারণে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা একজন ডিভোর্সি নারীকে রাজবধূ হিসেবে গ্রহণ করার ঘোর বিরোধী ছিলেন। ক্ষমতায় থেকে সিম্পসনকে বিয়ে করা অসম্ভব হয়ে উঠলে সিংহাসন আরোহণের মাত্র ৩২৬ দিন পর তা ত্যাগ করেন অষ্টম এডওয়ার্ড। আর এর মাধ্যমে রানি এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জের ক্ষমতা গ্রহণের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। ১৯৩৭ সালে অষ্টম এডওয়ার্ড প্যারিসে গিয়ে সিম্পসনকে বিয়ে করেন এবং বাকি জীবন সেখানে কাটিয়ে দেন।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সিম্পসনকে বিয়ে করার বিষয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের পাশাপাশি বিরোধী ছিল চার্চ অব ইংল্যান্ডও। তারা জানিয়ে দেয়, অষ্টম এডওয়ার্ডের স্ত্রী হওয়ার জন্য সিম্পসন যোগ্য নন। রাজাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজসিংহাসন না সিম্পসন—একটি বেছে নিতে হবে এডওয়ার্ডকে। এর জবাবে এডওয়ার্ড বলেছিলেন, ‘যাঁকে আমি ভালোবাসি, তাঁর সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া রাজা হিসেবে কোনো দায়িত্ব আমি কাঁধে নিতে পারি না।’

অষ্টম এডওয়ার্ডের পদত্যাগের বিষয়টি আধুনিক রাজকীয় ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাংবিধানিক সংকট বলে মনে করা হয়। তবে এ সংকটে ভাগ্য খুলে যায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জের। রাজা এডওয়ার্ডের এ পদত্যাগের ঘটনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনেরও মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

বিবিসির সাবেক সংবাদ প্রযোজক টনি ম্যাকমোহন বলেন, বাবা ষষ্ঠ জর্জ রাজসিংহাসনের অধিপতি হওয়ার পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনের উত্তরাধিকারের শীর্ষে উঠে আসেন। যদি অষ্টম এডওয়ার্ড পদত্যাগ না করতেন, তাহলে ব্রিটিশরাজ পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত।

১৯৪৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গ্রিক ও ডেনমার্কের প্রিন্স ফিলিপকে (ডিউক অব এডিনবরা) বিয়ে করেন। ফিলিপ গত বছরের ৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে মারা যান। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা গেলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে বসেন এবং কমনওয়েলথের প্রধান হন। এলিজাবেথ-ফিলিপ দম্পতির চার সন্তান। তাঁরা হলেন ওয়েলসের যুবরাজ চার্লস (তিনি ব্রিটেনের নতুন রাজা); প্রিন্সেস অ্যান; ইয়র্কের ডিউক যুবরাজ অ্যান্ড্রু এবং আর্ল অব ওয়েসেক্স যুবরাজ এডওয়ার্ড।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: সেপ্টম্বর ০৯, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ