Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র গ্যাস সরবরাহে হঠাৎ সংকট (২০২২)

Share on Facebook

রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন। আজ রোববার দুপুরের দিকে হঠাৎ প্রায় ৪৫ কোটি ঘনফুট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাসের সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়।

আজ ছিল পবিত্র রমজানের প্রথম দিন। চুলায় গ্যাস না পাওয়ায় ইফতারি তৈরি করতে পারেনি অনেকে। আবার কোনো কোনো এলাকায় ছিল না বিদ্যুৎ।

কূপ থেকে তোলার পর প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পাইপলাইনে বিশুদ্ধ গ্যাস সরবরাহ করা হয়। আর গ্যাসের সঙ্গে আসা নানা উপজাত আলাদা করে ফেলা হয়। পেট্রোবাংলা ও শেভরন সূত্র বলছে, দুপুরে হঠাৎ মৌলভীবাজারের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাসের সঙ্গে বালু উঠে আসে। কোন কূপ থেকে উঠছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। তাই জরুরি ভিত্তিতে ছয়টি কূপের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস প্রক্রিয়াকরণের দুটি ইউনিটে বেলা সোয়া একটা থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে গ্যাসের উৎপাদন কমে গেছে। পুরোপুরি উৎপাদনে ফেরানোর কাজ চলছে। কখন আবার উৎপাদন শুরু হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বিবিয়ানা বর্তমানে সবচেয়ে বড় গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র। হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে গ্যাসের সরবরাহ কমতে থাকে। ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের অভিযোগ কেন্দ্রে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ভোক্তারা অভিযোগ জানাতে থাকেন। মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মগবাজার, কাঁঠালবাগান, কলাবাগান থেকে বারবার ফোন করেন গ্রাহকেরা।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে জানান, বিকেলে চুলায় কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। তাই বাইরে থেকে ইফতারি কিনে আনতে হয়েছে। রাতের রান্নাও হবে না।

দেশে দিনে চাহিদা ৩৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। গড় সরবরাহ ২৮০ কোটি ঘনফুট। বিবিয়ানায় কমেছে প্রায় ৪৫ কোটি ঘনফুট।

সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। উৎপাদনের জন্য গ্যাসের যে পরিমাণ চাপ দরকার হয়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ পাওয়া গেছে। এটা দিয়ে বেশির ভাগ কারখানায় উৎপাদন সম্ভব হয় না।

দেশে দিনে ৩৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও শনিবার মোট গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭৯ কোটি ঘনফুটের মতো। এর মধ্যে বিবিয়ানা থেকে সরবরাহ করা হয় ১১৫ কোটি ঘনফুট। রোববার দুপুরের পর থেকে বিবিয়ানায় উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে যায়। এতে বাসার চুলায়, শিল্পকারখানায় ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমতে থাকে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সরবরাহ কমায় গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কিছুটা কমানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি। ময়মনসিংহসহ কিছু এলাকায় লোডশেড হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে দুঃখপ্রকাশ করে রোববার দুই দফা বিবৃতি দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রথম দফায় বলা হয়, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হতে পারে। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় দফা বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাস সরবরাহ ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: এপ্রিল ০৩, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ