Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ক্রিমিয়ার পর আরও দুই শহর নিজের মধ্যে যুক্ত করছে রাশিয়া (২০২২)

Share on Facebook

ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাদের হাতে সবার আগে পতন হয়েছিল দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বন্দরনগরী খেরসনের। শহরটিকে যত দ্রুত সম্ভব নিজের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে মস্কো। পাশাপাশি জাপোরঝিয়া শহরকেও নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে যুক্ত করতে চায় তারা।

এদিকে ইতালি সতর্ক করে বলছে, রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলোকে উন্মুক্ত না করলে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ খাদ্যাভাবে মারা যেতে পারে। এ অবস্থায় রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে যাওয়া বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের পণ্য বাইরে পাঠানোর বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে মস্কো। তবে ইউক্রেন বলছে, জাতিসংঘের মাধ্যমে এর সমাধান চায় তারা। খবর বিবিসির

ক্রেমলিনের কর্মকর্তা সের্গেই কিরিয়েঙ্কো বলেন, ক্রিমিয়ার মতোই খেরসনকেও পুরোপুরি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ক্রিমিয়ার খুব কাছেই খেরসন শহরের অবস্থান। রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করেছিল।

কিরিয়েঙ্কো বলেন, খেরসন শহরে শিগগিরই রুশ পাসপোর্ট সরবরাহ শুরু করা হবে। খেরসনের প্রত্যেক বাসিন্দাকেই রাশিয়ার নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
গত মার্চের শুরুতে রুশ বাহিনীর হাতে পতনের পর থেকে খেরসনে গণভোটের কথা বলা হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা গত মাসে সতর্ক করে বলেন, গণভোটে প্রায় নিশ্চিত কারচুপি করা হতে পারে। এতে মস্কো শহরটির ওপর তার নিয়ন্ত্রণকে বৈধতা দিতে পারে।

যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের সেনারা এখনো খেরসনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে কিছু সাফল্যও পেয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে ইনগুলেটস নদীর পূর্বাঞ্চলে কিছু এলাকা পুনর্দখলের বিষয়টিও।

এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকাকেও নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে রাশিয়া। জাপোরঝিয়ায় ক্রেমলিনের নিযুক্ত এক কর্মকর্তা রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সেখানে গণভোট হবে। তবে এ ভোটের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ৫০ শতাংশ ভোট পড়লেই তা বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অবশ্য পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, যেসব অঞ্চলে এখনো যুদ্ধ চলছে, সেখানে বিশ্বাসযোগ্য ভোটের সম্ভাবনা কম।

ইতিমধ্যে ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে চলমান লড়াইয়ে দেশটির সেনারা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেছে মস্কো। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দনবাসের সেভেয়াটোগোরস্ক শহর নিয়ে তিন দিনের লড়াইয়ে ইউক্রেন ৩০০ সেনা, ছয়টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান হারিয়েছে। জাপোরিঝিয়াতেও ৩২০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। মাইকোলাইভ অঞ্চলে ইউক্রেনের দুটি জেট বিমান ও হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভের বিভিন্ন কারখানা ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে।
খাদ্যসংকট নিয়ে উদ্বেগ

ইউক্রেন থেকে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর নেতা এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইগি ডি মাইয়ো। তিনি বলেন, ‘শস্য রপ্তানি বন্ধ করার অর্থ লাখ লাখ শিশু, নারী ও পুরুষকে জিম্মি করে হত্যা করা।’

বিশ্বের শীর্ষ খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি ইউক্রেন। লুইগি ডি মাইয়ো আরও বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ তাঁর এই মন্তব্য ইউক্রেনের স্বাভাবিক হারে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করতে না পারার কারণে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক উদ্বেগের সর্বশেষ প্রতিফলন। অবশ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে বিশ্বে খাদ্যসংকটের সৃষ্টি হয়েছে, সে কথা মস্কো অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের বন্দরসমূহ থেকে জাহাজ চলাচলে সেখানকার মাইন অপসারণ করাটা ইউক্রেনের দায়িত্ব।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও মস্কোর ওপর পশ্চিমা অবরোধের কারণে এ দুটি দেশ থেকে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের ৩০ শতাংশ গম সরবরাহ করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ ইউক্রেনের পণ্য রপ্তানিতে বন্দর ব্যবহার করা নিয়ে আলোচনা করতে তুরস্ক সফর করছেন। বিবিসি বলছে, দুই দেশের আলোচনা কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে।

সেনাদের মরদেহ কিয়েভ পৌঁছাল

ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের আজভস্তাল এলাকার সুরক্ষা দিতে গিয়ে যে কজন ইউক্রেনীয় সেনা মারা গেছেন, তাঁদের কয়েকজনের মরদেহ কিয়েভে পৌঁছেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সমঝোতার অংশ হিসেবে মৃতদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।
আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় রুশ সেনাদের কাছে কয়েক সপ্তাহ অবরুদ্ধ ছিলেন ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যরা। মে মাসে তাঁদের বন্দী করা হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব ইউক্রেনীয় সেনা জীবিত আছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর। লুহানস্কের গভর্নর শেরহি হাহদাই বলেন, সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে কোনো ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করবেন না। সেখানে রুশ সেনারা সামনে এগোতে পারছেন না।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: জুন ০৮, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ