লেখার সন্ধানে বের হয়ে একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে যে ঠিক কী ধরনের ভালো কথা লেখায় ফুটিয়ে তোলা যায় !!
ধরা যাক, আমি একটি পদ্ধতি রপ্ত করে ফেলেছি, যে পদ্ধতিটার করণে আমার পেশায় দ্রুত উন্নতি করে তরতর করে উপরে উঠে যাচ্ছি, অর্থ প্রাপ্তি, সুনামে একাকার হয়ে যাচ্ছি । আবার যেমন একজনের বিরানী রান্নাতে খুব নাম ডাক। বিরানীর বাবুর্চী তার মশল্লার মিশ্রন, রান্নার প্রনালী যদি অন্যরা জেনে যায়, কিম্বা কোন যাদুকরের যাদুর কৌশলগুলি অন্য কেউ জেনে গেলে যাদুকরের যেমন যাদুর শক্তি লোপ পায়, বাবুর্চীর, যাদুকরের বেলায়ও তাই আর আমার তরতর করে উপরে উঠে যাওয়ারও গুরুত্ব হয়তো লোপ পায়।
শিশুরা কৌশরে উপনিত হওয়ার সময়ে বা শিশুকালে কোন একটা বিষয় রপ্ত করার পর অন্য কাউকে রপ্ত করা বিষয়গুলি শেয়ার করতে বা শিখাতে চায় না। শিশু কিশোরদের উপর দোষ চাপানো কেন এ ক্ষেত্রে বড় কি পিছিয়ে আছে !! মনে হয় না।
সব কিছুকে গানিতিক সূত্রে বাধা যায় না তবে অনুমান করা যায় যে মানুষের একটি বড় অংশ যা সে নিজে বা কোন ভাবে অর্জন করেছে বা নানান ঝড় ঝাপটা সহ্য করে আয়ত্ব করেছে তা আর অন্যকে শিখাতে চায় না নিজের গুরুত্ব কমে যাবে এই ধারণায়। ধরা যাক আমার মধ্যে যা ভালো অর্জন তার দশ ভাগ আমি অন্য শিখিয়ে দিলাম।
এ কথাটির ব্যপক প্রচলন আছে যে যিনি উপদেশ দেয় তিনি নিজেই উপদেশ মানেন না। পাশাপাশি এ কথাটিরও প্রচলন আছে যে ইতিহাস থেকে, মহা মানবদের কাছ থেকে বা ভালো মানুষদের কাছ থেকে প্রচারিত কথা বা বাণী মানুষ শ্রবন করার পর তা মানেন না। যুক্তিতে না এনে সাধারণ ভাবে বলা যায় ভালোর প্রচলন সমাজে খুব কম। ভালো কথা, বাণী ভালো পদ্ধতি আরো বেশি করে আসতে পারতো কিন্তু নানান কারণে তা আসছে না আর যা আসছে তা মানুষ গ্রহন করছে কম সংখ্যক মানুষ।
অনেক পাঠক এ লেখাটি পড়ে হয়তো এক ফাঁকে বলেই ফেলবেন যে লেখক আমাদেরকে জ্ঞান দিতে শুরু করেছে, লেখক কী আমার বা আমাদের থেকে বেশি জ্ঞানী নিজেকে মনে করেন !!
কবি, লেখক, বিজ্ঞানী, শিল্পী, নেতা সব সময়ই চেয়েছে তাঁদের মধ্যে সব ভালো, উন্নত মন ও মননের বিকাশ সবার জন্য বিলিয়ে দেওয়া।
রেটিং করুনঃ ,