লেখার সন্ধানে হেঁটে হেঁটে হয় তো অনেক লেখা হলো, অনেক লেখা জমা হলো একটি বইও হয়তো ছাপানো হলো। এই ভাবেই হয় তো লেখার পথে যাত্রা শুরু হলো।
পাথরের যুগ থেকে – পাথর খুঁদে খুঁদে লেখা হত আর আজ লেখা হচ্ছে ছাপার বই-এ, ই-বুকে এ সব কাহিনী সবারই জানা, এ সব নুতন কিছু নয়।
লেখার যে প্রাণ আছে তা বেশ ষ্পষ্ট হচ্ছে। আর প্রাণ অনেকটাই অ-মরণের মত, সহজ ভাষায় যা অমর।
লেখার যে প্রাণ আছে তা সহজ ভাবে বললে বলা যায় কবি হোমার যা লিখে গেছেন কয়েক হাজার বছর আগে তা বই এর পাতায় তাঁর লেখা গুলি আজো জ্বল জ্বল করেছে আর তাঁর লেখা গুলির, কাহিনীগুলির ছাপার কাজ বা তাঁর পাঠকদের পড়াও থেমে নেই। এশিয়া অন্চলের ছাপায় খানায় হোমারের বা সেক্সপিয়রের বা আর্নেষ্ট হেমিংওয়ের যখন কোন বই ছাপা হচ্ছে তখন হয় তো আমেরিকা মহাদেশে রাতে ছাপায় খানা বন্দ, আবার আমেরিকা মহাদেশের পাঠকরা যখন হোমারের বা সেক্সপিয়রের বা আর্নেষ্ট হেমিংওয়ের যখন কোন বই হাতে নিয়ে পাঠকরা মগ্ন তখন হয় তো এশিয়া অন্চলের পাঠকরা কেবল লেখা পাঠ সমাপ্ত করে ক্লান্ত হয়ে নিদ্রায়।
বিশ্বের কোথাও না কোথায় ছাপা খানায় কবি লেখকদের বই ছাপার কাজ চলছে, কোন সেকেন্ডেরও জন্য বিরতী নেই। পাঠকরাও কোন সেকেন্ডের জন্যে বিরতীতেও যাচ্ছেন না প্রিয় লেখক কবিদের পাঠ থেকে।
লেখা যে একটি প্রাণ, চলমান বিষয়, থেমে থাকে না কখনো এ সব ভেবে লেখার প্রতি আগ্রহ যেমন বেড়ে চলেছে তেমন মনে হচ্ছে আর একটি প্রাণের সাথে আর একটি জীবনের সাথে যুক্ত হয়ে ছুটে চলেছি যেন বিজয়ের পথে।
নিজের স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে – জন্মের স্বীকৃতি, বেঁচে থাকার স্বীকৃতি। লিখে যাওয়া, এটাই হয়তো জীবনের বড় একটি সার্থকতা।
রেটিং করুনঃ ,