লেখার সন্ধানে বের হয়ে পথিক হওয়াটা বড় একটি বিষয়, আর যদি কেউ হতে চাই লেখার পথিক। নানান পথ চলে পথিক হতে হয়। ঘরে হাঁটা হাঁটি করে পথিক হওয়া চলে না বরং ওটাকে শরীর চর্চা বলা যেতে পারে। লেখার সন্ধান করার করার ইচ্ছা থাকলে ঘর থেকে বের হতে হয়, পথে চলতে হয়, নানান পথে চলে হয় যে চলাটি পায়ে হেঁটে, মনের মধ্যে হেঁটে, মাথায় হেঁটে হতে পারে।
কুৎসিত বিষয় বস্তু লেখার তেমন একটা ভালো বিষয় নয়, তবে কুৎসিত বিষয়টিকে সৌন্দর্য দিয়ে ঢেকে দিলে বা কুৎসিত বিষয়টি থেকে সৌন্দর্য বের করে আনলে কলম যে বিরতি হীন ভাবে লিখতে থাকবে তা প্রায় নিশ্চিত। লেখার জন্য চাই সৌন্দর্য, আমাদের লেখার একটি অংশের লেখালেখি সৌন্দর্যকে ভর করে চলে এটি বেশ বুঝা যায় কবিতায়, সাহিত্যের পাতায়।
সৌন্দর্যের বড় একটি রূপ হলো সরলতা যেটাকে আমরা বলি প্রাকৃতিক আর সেখান থেকে লেখা বের হয়ে বা চলে আসে খুব সহজে। নদীর স্রোতে, ঝর্ণার ধারায়, আকাশে মেঘের চলাচলে, বনের মধ্যে পাখির কিচির মিচির ডাকে এগুলিকে সরলতা মনে হয় এখানে সৌন্দর্য হাতছানি দেয় লেখা চলে আসে স্বাভাবিক গতিতে।
এখন মনে হচ্ছে লেখার একটি গতি হয় তো পেয়ে যাচ্ছি, লেখার কলম হয় তো আর থামবে না, কলমে লেখা চলে আসবে ঝর্ণা ধারার মত আকাশে চিলের চলচলের মত, আকাশে মেঘের চলাচলের মত।
লেখার সন্ধানে বেড়িয়ে কলমে যদি লেখার ধারা আসতেই থাকে তবে শুধুই কী লিখতেই হবে !!
অধিক ভোজন শরীরের ক্ষতি করে থাকে, যতটুকু লেখা ভালো হবে ততটুকুই লেখার ধারা হয় আর সেই ধারা নিয়ে আমাদের লেখাই প্রকৃত লেখা।
চর্বি জাতিয়, বেশি মশল্লা যুক্ত, তৈলাক্ত খাবার, মজাদার খাবার গুলি থেকে বিরত থাকতে বলেন ডাক্তাররা লেখার বিষয়ে একই কথা খাটে, যত খানি সঠিক লেখা আসে ততখানি লেখাই উত্তম। শরীরে যতটা খাবার ভালো হজম হবে ততটা যেমন আহার, তাতে যেমন শরীরে লাবন্য থাকে মন তরতাজা থাকে, লেখাও তেমন লাবন্য নিয়ে, তরতাজা হয়ে আসুক লেখার কলমে।
রেটিং করুনঃ ,