Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

সত্যেন্দ্রনাথ বসু: বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের জনক

Share on Facebook

লেখক:বজলুল করিম।

ইদানীং বিজ্ঞানের জগতে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান এবং হিগস বোসন বা ঈশ্বর কণা বহুল আলোচিত বিষয়। বোসন নামটা এসেছে বাঙালি বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সত্যেন বোসের নাম থেকে। যদিও হিগস বোসন আবিষ্কারের সঙ্গে সত্যেন বোসের কোনো সম্পর্ক নেই। সত্যেন বসুর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান। তবে তার একটি গবেষণা থেকেই জন্ম বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের। সেই কাজের সূত্র ধরেই আইনস্টাইন বোস-আইনস্টাইন কন্ডেনসেট নামে পদার্থের এক বিশেষ অবস্থার ভবিষ্যদ্বাণী করেন আইনস্টাইন।

সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৮৯৪ সালের ১ জানুয়ারি কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সুরেন্দ্রনাথ বসু পূর্বভারতীয় রেলওয়েতে একজন হিসাবরক্ষক ছিলেন। আর মা আমোদিনী দেবী ছিলেন আলীপুরের বিখ্যাত মতিলাল চৌধুরীর কন্যা। সত্যেন্দ্রনাথ বসুর শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিউ ইন্ডিয়ান স্কুলে। এরপর তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে পঞ্চম স্থান পেয়ে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯০৯ সালে। এরপর ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে। সেখান থেকে ১৯১১ সালে এফ.এ. পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯১৩ সালে একই কলেজ থেকে গণিতসহ স্নাতক ও ১৯১৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন তিনি।

শিক্ষাজীবনে তিনি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এবং আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মাঝামাঝি সময়ে ডাক্তার যোগেন্দ্রনাথ ঘোষের কন্যা উষাবতী দেবীকে বিয়ে করেন তিনি। ছাত্রজীবনে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পরও তাঁর চাকরি জোটেনি না। সে সময় বহু সরকারি অফিস এবং কলেজে চেষ্টা করেও সুযোগ পাননি তিনি। কৃতী ছাত্রের উপযুক্ত চাকরি নেই বলে তাঁকে জানানো হয়। তাই তিনি টিউশনি শুরু করেন। এ সময় তাঁকে ডেকে পাঠান স্যার আশুতোষ মুখার্জি। তাঁর পরামর্শে তিনি প্রভাষক হিসেবে বিজ্ঞান কলেজে যোগদান করেন। সেখানে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও বন্ধু মেঘনাদ সাহার সাথে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার সুযোগ পান তিনি। এর আগে মেঘনাদ সাহার সঙ্গে তিনি যৌথভাবে জার্মান ভাষা থেকে আইনস্টাইনের ‘জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি’র পেপারগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।

ইতিমধ্যে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। সত্যেন্দ্রনাথ বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে রিডার হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান ও এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর কাজ শুরু করেন তিনি। পরে কাজ করেন প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে। কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আলোকে কণা হিসেবে বিবেচনা করে। প্ল্যাঙ্ক সমীকরণের দুটি অংশ। প্রথম অংশটি আলোকে কণা ধরে নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়। গোল বাধে সমীকরণের দ্বিতীয় অংশটা নিয়ে। দ্বিতীয় অংশটা তড়িৎগতিবিদ্যার ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে ছিল। এটা চিরায়ত বিজ্ঞানের অংশ। কিন্তু প্ল্যাঙ্ক তার সমীকরণ প্রতিষ্ঠা করতে চিরায়ত বলবিদ্যা থেকে বেরিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও নতুন শাখার জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কোয়ান্টাম তত্ত্বের মূল সমীকরণের একটা অংশ তড়িৎগতিবিদ্যা মেনে চলবে, এটা অস্বস্তিকর। কিন্তু এটা এড়ানোর কোনো পথ ছিল না। আইনস্টাইন চেষ্টা করেছেন, আরও অনেকেই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ত্রুটিটা দূর করা যায়নি। বিষয়টা সত্যেন বোসকে ভাবিয়েছিল। রীতিমতো গবেষণা করেন এটা নিয়ে। এক সময় সমাধানটা করে ফেলেন তিনি।

শিক্ষাজীবনে তিনি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এবং আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মাঝামাঝি সময়ে ডাক্তার যোগেন্দ্রনাথ ঘোষের কন্যা উষাবতী দেবীকে বিয়ে করেন তিনি। ছাত্রজীবনে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পরও তাঁর চাকরি জোটেনি না। সে সময় বহু সরকারি অফিস এবং কলেজে চেষ্টা করেও সুযোগ পাননি তিনি। কৃতী ছাত্রের উপযুক্ত চাকরি নেই বলে তাঁকে জানানো হয়। তাই তিনি টিউশনি শুরু করেন। এ সময় তাঁকে ডেকে পাঠান স্যার আশুতোষ মুখার্জি। তাঁর পরামর্শে তিনি প্রভাষক হিসেবে বিজ্ঞান কলেজে যোগদান করেন। সেখানে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও বন্ধু মেঘনাদ সাহার সাথে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার সুযোগ পান তিনি। এর আগে মেঘনাদ সাহার সঙ্গে তিনি যৌথভাবে জার্মান ভাষা থেকে আইনস্টাইনের ‘জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি’র পেপারগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।

ইতিমধ্যে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। সত্যেন্দ্রনাথ বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে রিডার হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান ও এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর কাজ শুরু করেন তিনি। পরে কাজ করেন প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে। কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আলোকে কণা হিসেবে বিবেচনা করে। প্ল্যাঙ্ক সমীকরণের দুটি অংশ। প্রথম অংশটি আলোকে কণা ধরে নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়। গোল বাধে সমীকরণের দ্বিতীয় অংশটা নিয়ে। দ্বিতীয় অংশটা তড়িৎগতিবিদ্যার ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে ছিল। এটা চিরায়ত বিজ্ঞানের অংশ। কিন্তু প্ল্যাঙ্ক তার সমীকরণ প্রতিষ্ঠা করতে চিরায়ত বলবিদ্যা থেকে বেরিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও নতুন শাখার জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কোয়ান্টাম তত্ত্বের মূল সমীকরণের একটা অংশ তড়িৎগতিবিদ্যা মেনে চলবে, এটা অস্বস্তিকর। কিন্তু এটা এড়ানোর কোনো পথ ছিল না। আইনস্টাইন চেষ্টা করেছেন, আরও অনেকেই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ত্রুটিটা দূর করা যায়নি। বিষয়টা সত্যেন বোসকে ভাবিয়েছিল। রীতিমতো গবেষণা করেন এটা নিয়ে। এক সময় সমাধানটা করে ফেলেন তিনি।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ