Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

স্কুল বন্ধে মোবাইল ও গ্যাজেট আসক্ত ৬৭% শিক্ষার্থী (২০২১)

Share on Facebook

করোনাকালে গত এক বছরে দেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের মোবাইলসহ গ্যাজেট আসক্তি বেড়েছে। এ কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মাথাব্যথা, হাত-পা ব্যথা, ঘুমের সমস্যা। প্রভাব পড়েছে দৃষ্টিশক্তির ওপরও। ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিষণ্ণ এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া কিংবা অল্পতেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে।

দেশের ২১টি জেলায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ১ হাজার ৮০৩ শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম, মাদ্রাসা, আদিবাসী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান গবেষকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসটিসি ও সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ গবেষণায় অংশ নেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৭ ভাগ শিক্ষার্থী দিনে ২-৪ ঘণ্টা মোবাইলে সময় কাটাচ্ছে, ৯ ভাগ কম্পিউটার স্ক্রিনে ও আট ভাগ ট্যাবে দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে। ২০১৮-১৯ সালে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক সমস্যাগুলোর মধ্যে ডায়রিয়া, চুলকানি, পেট ব্যথা, জ্বর-সর্দির সমস্যা ছিল বেশি। কিন্তু গত দেড় বছরে মাথাব্যথা, দৃষ্টিশক্তি জটিলতা, ঘুমের সমস্যা, বিষণ্ণতা ও খিটখিটে মেজাজ এবং জ্বর সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

গবেষণার তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণ, এসব শারীরিক সমস্যার পেছনে ঘরবন্দি থাকা এবং গ্যাজেটের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে দেশের ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীই শারীরিক কোনো কাজ বা খেলাধুলা করার অবকাশ পায়নি। তাদের ৫০ ভাগ ঘরের বাইরে কোনো শারীরিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ একেবারেই পায়নি। মাত্র ২৫ ভাগ শিক্ষার্থী গ্যাজেট ব্যবহার করেছে নিয়মিত অনলাইন ক্লাসের জন্য। ৪০ ভাগ কার্টুন, নাটক ও সিনেমা দেখার কাজে, ২৭ ভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্য এবং ১৭ ভাগ শিক্ষার্থী গেমস খেলতে মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটার ব্যবহার করেছে। সবচেয়ে বেশি মোবাইল ব্যবহার করতে দেখা গেছে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের এবং সবচেয়ে কম দেখা গেছে মাদ্রাসা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের।

গবেষণার মুখ্য তত্ত্বাবধায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রশিদ বলেন, অতি অল্প বয়সে গ্যাজেট নির্ভরশীলতা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসব সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, তবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একটি বড় অংশের জন্যই তা আশঙ্কার বিষয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল বলেন, এ সমস্যাগুলো দীর্ঘায়িত হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর জন্য পারিবারিকভাবে বিভিন্ন উদ্যোগের প্রয়োজন।

গবেষণায় আরও যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিসার্চের শিক্ষক নাসরিন লিপি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিভাগের প্রধান ডা. ফারহানা আকতার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ড. আদনান মান্নান। সহযোগী গবেষক ছিলেন জান্নাতুল মাওয়া, এমা বণিক, ইয়াসমিন আকতার, আমিনা জাহান, নাভিদ মাহবুব, মফিজুর রহমান শাহেদ এবং জোবায়ের ইবনে দ্বীন। গবেষণা পরিচালনা সহায়তায় ছিল চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডিস সোসাইটি, দৃষ্টি চট্টগ্রাম এবং ডিজিজ বায়োলজি অ্যান্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ চট্টগ্রাম।

সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ অক্টোবর ০৫, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ