Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হঠাৎ কেন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেন (২০২৫)

Share on Facebook

রয়টার্স ওয়াশিংটন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহান্তে যখন বি২ বোমারু বিমান পাঠিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালেন, তখন তিনি বাজি ধরেছিলেন, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে না জড়ানোর পুরোনো অঙ্গীকার বজায় রেখে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে তিনি মিত্র ইসরায়েলকে সাহায্য করতে চান।

বাংকার-বিধ্বংসী ওই বোমা হামলার ঠিক কয়েক দিন পর গতকাল সোমবার ট্রাম্প সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তাঁর এই ঘোষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি হয়তো তেহরানের শাসকদের আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতেই বোমা নিক্ষেপ করেছেন।

কিন্তু বড় বড় অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি। বিশেষ করে এই প্রশ্ন নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে, ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে আদৌ কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কি না বা টিকবে কি না।

দুই শত্রু দেশের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা ছায়াযুদ্ধ সম্প্রতি আকাশযুদ্ধে গড়িয়েছে। ১২ দিন ধরে দেশ দুটি একে অপরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও দুই পক্ষের মধ্যে কী শর্তে সমঝোতা হয়েছে; যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ব্যর্থ পারমাণবিক আলোচনা আবার শুরু করবে কি না কিংবা ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুতের ভবিষ্যৎ কী হবে—সেসব বিষয় উল্লেখ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে বিষয়টি এখনো অজানাই রয়ে গেছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা করলেও ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম নিরাপদে রয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা জনাথন প্যানিকফ বলেন, ইসরায়েল তাদের যুদ্ধ লক্ষ্যের অনেকটাই পূরণ করেছে। আর ইরান সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজছিল।

জনাথন প্যানিকফ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করছে যে এটিই শেষের শুরু। তবে এরপর কী হবে, তা নিয়ে কোনো কৌশল আছে কি না—এটাই এখন চ্যালেঞ্জ।

দুই দেশ আসলে কী সমঝোতা করেছে, তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে। এরপরও ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সংঘাতের অবসান নিয়ে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে।

ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর। উভয় দেশকে তা লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানান তিনি। সর্বশেষ গতকাল তিনি তাঁর মালিকানাধীন সোশ্যাল ট্রুথে এক পোস্টে ইরানে হামলা না চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে একজন ইরানি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছিলেন, তেহরান যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে। কিন্তু দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ইসরায়েল হামলা না থামালে সংঘাত বন্ধ হবে না।

কিন্তু এ কথা ট্রাম্প ও তাঁর অনুগতদের আটকে রাখতে পারেনি। তাঁরা এটিকে এমন এক পররাষ্ট্রনীতির ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে প্রচার করছেন, যেটিকে তাঁরা শক্তির মাধ্যমে শান্তি বলে অভিহিত করেন।

ইসরায়েল লম্বা সময় ধরে বলে আসছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে আছে। যদিও তেহরান বরাবরের মতোই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বছরের শুরুতে বলেছিল, তাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। আর মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র গত সপ্তাহে রয়টার্সকে জানিয়েছে, সেই মূল্যায়ন এখনো পরিবর্তন হয়নি।

ইরানের পরিমিত প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে ইরান কাতারে একটি মার্কিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাংকার-বিধ্বংসী বোমা হামলা চালায়। জবাবে ইরান ওই মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়।

মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার বিষয়ে অবগত কয়েকটি সূত্র জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা যাতে না বৃদ্ধি পায়, সে হিসাব করে গত সোমবার দিবাগত রাতে ইরান মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। এটি ছিল একটি পরিমিত পদক্ষেপ।

ইসরায়েল ও ইরানকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান ট্রাম্প। আর হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যতক্ষণ না ইরান নতুন করে হামলা চালায়, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল।

ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইরান ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা আর কোনো হামলা চালাবে না।

ট্রাম্পের বড় জুয়া

দীর্ঘদিন ধরে বড় কোনো বিদেশি যুদ্ধে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ না করার অঙ্গীকার করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই অঙ্গীকার ভুলে তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নিজের প্রেসিডেন্ট মেয়াদের সবচেয়ে বড় এবং সম্ভবত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে ট্রাম্প বাজি ধরেছিলেন, তিনি ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা ফর্দো ধ্বংস করতে পারবেন এবং এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নামমাত্র প্রতিশোধ নেবে ইরান।

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ