তোমাকে আজ হৃদয়ের এক্সরে রিপোর্টটা দেখাব বলে রাত জেগে আছি। তুমি কখনও ডাক্তার হতে চাও নি, চেয়েছিলে প্রেমিকা হতে। তারপরও এক্সরে রিপোর্টটা দেখলে পূর্ণিমার নরম আলোর চাঁদের গায়ের মত চরকা কাটা বুড়ি বলো, কলঙ্ক বলো, গর্ত, খাদ যাই বলো না কেন ! ওগুলি যে গাঢ়্ প্রেমের চিহ্ন তা তুমি বুঝে যেতে অনায়াশে- তুমি চেয়েছিল প্রেমিকা […]

কোন কিছু না বুঝে, উদাস ভাবনায় সখ করে, কারণ না খুঁজে, তোমায় ডাকতাম তেপান্তিরিনী নাম ধরে, কেউ যায় নি যেথায়, যা রূপকথার যাদু বিদ্যা পাঠ, বুঝিয়ে বলেছি তোমায়, কোথায় ! সেই তেপান্তরের মাঠ। আজ সত্যি তুমি ঠিক, সেই তেপান্তিরিনী হলে সময় গাড়িতে নির্ভিক, তেপান্তরের মাঠে গেলে চলে বহু বছর গত হলো সত্যি করে বলো তো […]

শূন্য ছাদে- এ বসন্তে অনেক বসন্ত কেটেছে এই বাড়িটিতে, এই ছাদে– তখনও ঝড়া পাতা ঝরে পড়েছে। ছাদের পাশে মুকুলে ভরেছিল আমের গাছগুলি ফুলের ঝুড়ি নিয়ে সজনা গাছ উঠেছিল দুলি সেই শিউলি গাছ, সেই মেহেদী পাতা দাঁড়িয়ে থাকা গাছের সাথে নানান কথা বলা, এই বাড়িটিতে, এই বাড়িটির ছাদে। শূন্য ছাদে- আজ বসন্তের এই দিনে একটি ঝড়া […]

আগামীকাল খুব ভোরে – কোথায় যেতাম আমরা !! কটা রজনী গন্ধা, দুই একটা গোলাপ ফুল হাতে !! দেখা হত, হয় তো যাওয়ার পথে, অথবা ফেরার পথে বা শহীদ মিনারে, খালি পায়ে, ওড়নায় ঢাকা তুমি। দেখা হতই অথবা চোখের কথায় জানা হত। একটি দৃঢ় উজ্বল দিনে কথা, একটি প্রত্যয়ী গম্ভির ভোরের কথা। প্রাণের বাঙলা ভাষায় – […]

মেঘ যেমন জানে নাই, কোথায় পড়ে তাঁর ছায়া, কোথায় যায় বারিধারা। সুখ যেমন জানে নাই কেমন দুঃখের জমাট কণা। চৈত্রের দুপুর যেমন দেখে নাই শিশির কণা- তেমন করে তুমি জান নাই, কেন এসে জানালায় দাঁড়াও – ক্ষণিক সময় দুর আকাশে হারাও। ব্ড় জোড় ভাবা যায় মহা-সাগরে এক খানি তরী ভাসিয়ে চলেছ একা। আমিও তেমন কিছু […]

এই বই মেলায় এসো এসেছি এবার কবিতা হাতে নিয়ে তোমাকে নিয়ে লেখা কবিতা — দেখ তো চিনতে পারও নাকি !! এই বই মেলায় কত পাঠকের কন্ঠে তুমি উচ্চারিত হলে, আবৃত্তির সুরে- সুরে – দূর সে – দূর কেটে গেল নিমিষে। একবার ভেবে দেখ কবিতায় আঁকা আছো তুমি, সেই তুমি আজও আছো সেদিনের তুমি !! হাজার […]

সাদামাটা একজন প্রেমিক হতে চেয়েছিল বদরুল, যেমন অনেকে হতে চায় !! কবিতা লিখত সে খুব। একদিন বদরুল বলেছিল – পাথর গলিয়ে কাঁদা মাটি দিয়ে সে, আকাশিকে গড়ে তুলবে যেমন করে মা গড়ে তুলে শিশুকে। একদিন আকাশি আকাশ ভেংগে, সব কসম গুলিয়ে খেয়ে, বদরুলকে বলল ‘আমি যদি করি বরের ঘর, কতটুকু সুখি হবে তুমি বদরুল !! […]

আমি মাঝে মাঝে কবিতা লিখি এটা তোমার পছন্দ না, বরং সারাক্ষণ আমার পাশে থেকে আমাকে দিয়েছো কবিতার নানান সংজ্ঞা। অলসরা কবিতা লিখে, লিখলেই কবিতার লাইনগুলি অদ্ভুত অর্থ বের করে যা সমাজে অচল। আমি অবাক হই তোমার কবিতার সংজ্ঞা শুনে। বললে আজ কি তোমার অলস দিন ! তাহলে সারা দিনমান তুমি কবিতা লিখবে তাই না !! […]

সেই সেরা প্রশ্নটা…….. !! হঠাৎ মনে হলো তার কথা যুগের অধিক কাল তো হবেই, সেদিনে বর্তমানকে কেন যেন হেলা-ফেলা করে ! অতীত হলো সব। তবে সবই আজ শক্তিশালী অতীত। তাই বার বার ফিরে যেতে চাই, সেই অতীতে তার ছোঁয়া পেতে – লাভ বা ক্ষতির হিসাব এখনকার হাটে আর বসে না। স্মৃতি আজ বড় একটি খাতা […]

প্রশান্তের কখনও প্রেমে পড়া হয় নি- নিজেকে একদিন প্রশ্ন করল ! তরুণ- তরুণী কিম্বা যুবক-যুবতী ছাড়া কি – এই ধরায় আর কি কোন প্রেমের ঠাঁই নেই !! মানবতার প্রেম, প্রকৃতির প্রেম এইসব ! প্রশান্তের বই পড়ার প্রেমে পড়েছিল, কবিতার বই – যে বই গুলিতে প্রেমের কথা বেশি লেখা। টুকটাক এক দুই লাইন লেখা শুরু হলো, […]

কবিতার অর্থ পুত্র শুধাইলো, ” পিতা ” পিতা শুধাইলো কি জানতে চাও ! পুত্র বলে, শুনেয়াছি- তোমাদের কালে কঠিন কবিতা রচিত কবিগন যেমন, “সহোদর রক্ষশ্রেষ্ঠ ? –শূলী-শম্ভূনিভ কুম্ভকর্ণ ? ভ্রাতৃপুত্র বাসব বিজয়ী ? ” তোমরা বুঝিয়া কি না বুঝিয়া হুমড়ি খাইয়া তাহা পড়িতে, জপিতে ! এখনকার কবিরা আরো তো দূর্বোধ্য লিখে তবে তোমার হাতে কবিতার […]

ক্ষুদে দার্শণিক ভাবনা কতটুকু দেখা হয়েছে এ বিপুল সম্ভারের পৃথিবী ! দেখার তুলনায় অদেখা কতটুকু ! তা হবে হয় তো কয়েক শত কোটির এক ভাগ মাত্র ! নিজেকে তুচ্ছ জেনেও কেন যেন জ্ঞানের ভাব আসে নানান চিন্তা চেতনা, কল্পনা মনের আকাশে ভাসে সেখান থেকে ক্ষাণিক যায় উড়ে কিছু পড়ে থাকে অলস ঘুমের ঘোরে আর ক্ষাণিকটা […]

জগতের সমস্তু সুখগুলির একটি তালিকা তৈরী করে নিলাম এক এক করে সব সুখের ধরণ নিজের তৈরী করা লৌহ সিন্ধুকে ভরে আটকিয়ে রাখলাম, সহসা যাতে বেড়িয়ে আসতে না পারে, আমার মনের আকাশে।। নিজে বন্দীত্ব নিলাম আপাতত এক যুগের বন্দী বাস। শূণ্য বন্দীশালা ঘর, পাকা দালানের খুব উপরে ছোট্ট দুটি জানালা দিন না রাত নির্ধারণের নির্নায়ক‌ও বলা […]

আমি দুঃখী বেশ তবে দুঃখীনি করি নি কাউকে কখনও আদালতের এজলসে কথাটা বলতে পারি বেশ। আমি কাউকে দুঃখীনি করতে যাব কেন ! দুঃখ যত, সম্পদ তত আমার বহু যুগের অর্জন থেকে – কে তবে বিলাবে দুঃখ নিজ ভান্ডার খালি করে ! নিজেকে ক্ষয় করে ! সে সুখি হলে বরং কিছুটা দুঃখ কমে বিশাল দুঃখ বৃক্ষ […]