Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

আজ পহেলা চৈত্র- শুভ হোক বাংলায় আগমন।

Share on Facebook

আজ পহেলা চৈত্র, বসন্ত ঋতুর ২য় মাস অর্থাৎ যে মাসের মধ্য দিয়ে বসন্ত ঋতুর বিদায় পর্ব, চৈত্র বা চৈৎ বাংলা সনের দ্বাদশ ও সমাপনী মাস।

বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি শনিবার। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আবার এদিন বাংলা বর্ষেরও শেষ দিন। চৈত্র সংক্রান্তির পরের দিন পয়লা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এই আহ্বান জানাবে বাঙালি।

আবহমান বাংলার চিরায়িত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন।

কথিত আছে চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।

শিমুল-পলাশ-অশোকের শাখায় শাখায় রঙিন ফুলের পসরা সাজিয়ে আর মলিন পাতা ঝরিয়ে আবারও এল ঋতুরাজ বসন্ত সেই সাথে তার ২য় মাস চৈত্র। গাছে গাছে আজ ফুলের সমাহার। কোকিলের কুহু কুহু ডাক। টিয়ে, বুলবুলি ও বসন্তবাউরির কলকাকলিতে মুখর চারদিক। গাছের শাখায় নতুন পাতার উদ্‌গম, যেন নতুন হয়ে উঠছে পুরোনো পৃথিবী।

শিমুল-পলাশ-অশোকের শাখায় শাখায় রঙিন ফুলের পসরা সাজিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে মলিন পাতার রাশি ঋতুরাজ বসন্ত এল আবার। আজ শনিবার পয়লা ফাল্গুন। কবিগুরু লিখেছেন, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।/ তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/ কোরো না বিড়ম্বিত তারে।’

প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে বিদায় নিয়েছে শীত। ঋতুরাজ বসন্ত তার নিজস্ব উষ্ণতায় প্রাণ সঞ্চার করছে প্রকৃতিতে। মাঝে মাঝেই বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া। তাতে মিশে আছে মন উচাটন করা কোকিলের কুহু কুহু গান। গাছে গাছে অজস্র ফুলের সমাহার। শাখায় শাখায় নতুন পাতার উদগম, যেন নতুন হয়ে উঠছে পুরোনো পৃথিবী। সে কারণেই যুগে যুগে বসন্ত বিপুল নন্দিত জীবনের জয়গানে।

প্রাণস্পন্দনে জেগে ওঠা প্রকৃতির নীরব উচ্ছ্বাস, বুনো ফুলের গন্ধমাখা দমকা হওয়া, এই চনমনে রোদ, আমের মুকুলে মুকুলে ভ্রমরের গুঞ্জন, বাঙালির হৃদয়ের গভীরেও জাগিয়ে তোলে এক অনির্বচনীয় ব্যাকুলতা। নতুন প্রকৃতির মতোই উজ্জ্বল সাজে সজ্জিত হয়ে পথে নামে পুরবাসী নর-নারী। খুলে যেতে চায় মনের বন্ধ দুয়ার। হৃদয়ের না বলা কথাটি প্রিয়তম কোনো জনের কাছে মধুর স্বরে বলতে আকুল হয়ে ওঠে চিত্ত। হৃদয়ের এ কূল ও কূল দুকূল ভাসানো আবেগের প্লাবনে ঘুচে যায় দ্বিধা-সংকোচ। অনুভূতি পেয়ে যায় তার প্রকাশের ভাষা। বসন্ত তাই ভালোবাসার ঋতু বলেও সমাদর পেয়েছে বাঙালির কাছে।

এই ইটপাথরের কৃত্রিম নগরে বসন্তের লাবণ্যময় স্পর্শ কি লাগে কোথাও? নিসর্গে বসন্তের বর্ণচ্ছটা শহরে তেমন সুলভ নয়। তবে মানবহৃদয় বসন্তের প্রভাব এড়াতে পারে না বলেই হয়তো আজ এই যান্ত্রিক নগরেও দেখা যায় নাগরিকদের বেশভূষায়, উৎসব আয়োজনে ঋতুরাজের আগমনী-উচ্ছ্বাস।

পয়লা চৈত্র বাংলা পঞ্জিকার দ্বাদশ ও সমাপনী মাস, চৈত্রের প্রথম দিন ও বসন্তের মধ্য-বর্তি সময়কাল। বাংলার এই অঞ্চলে, প্রাচীন আমল থেকেই বসন্ত উৎসব পালিত হচ্ছে। হিন্দুদের পৌরাণিক উপাখ্যান ও লোককথাগুলোতে এই উৎসবের উল্লেখ পাওয়া যায়। হিন্দু বৈষ্ণবরা এটি বেশ আয়োজনের সাথে পালন করে থাকেন।

সূত্র: প্রথম আলো এবং উইকিপিডিয়া
ছবি নেট থেকে
তারিখ: মার্চ ১৪, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ