Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

টেলিকথিকার পরিচালকের কাঁধে ইতিহাসের ভূত (২০২১)

Share on Facebook

লেখক: আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী।

খালেদ মুহিউদ্দীন নামটি আমার কাছে পরিচিত। বিদেশে বাস করি বটে কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তির যুগে দেশের সব খবরই পাই। টকশোগুলোও আগ্রহের সঙ্গে শুনি। বিশেষ করে খালেদ মুহিউদ্দীনের পরিচালনায় যেসব টকশো, পারতপক্ষে মিস করি না। তার নিরপেক্ষ উপস্থাপনা, সময়মতো এক বক্তাকে থামিয়ে দিয়ে অপর বক্তাকে বলতে দেওয়া আমার খুব ভালো লাগে। তারপর তার সমাপ্তিমূলক বক্তব্যও ভালো। তিনি দেশের নানা মিডিয়ায় কাজ করার পর এখন ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান। এতদিন নিশ্চিন্ত ছিলাম, দেশের নানা রাজনৈতিক বিতর্ক সম্পর্কে দেশ-বিদেশের মানুষকে সঠিক পর্যবেক্ষণটি নিবেদনে খালেদ মুহিউদ্দীন একজন পারঙ্গম ব্যক্তি- নিরপেক্ষ সাংবাদিক।

তার রাজনৈতিক মতামত সম্পর্কে আমার জানাশোনা ব্যক্তিদের কাছে জানতে চেয়েছি। কেউ সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি জাসদ ঘরানার সাংবাদিক হতে পারেন। অনেক আগে জাসদ করতেন, পরে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র থেকে দূরে সরে এসেছেন, এমন কিছু তরুণ বুদ্ধিজীবী নিরপেক্ষ সেজেছেন।

তাদের মধ্যে আমার কিছু তরুণ বন্ধু আছেন। তাদের নিরপেক্ষতার আবরণ একটু কিছু হলেই সরে যায়। ভেতরে যে মানুষটিকে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের বাঘের মতো রাগ। আগে রাগটা ছিল শেখ মুজিবের ওপর। এখন সেই রাগটা শেখ হাসিনার ওপর। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসে সব ভালো করছেন, তা কেউ বলবে না। তার সরকার অনেক মন্দ কাজ করেছে, সে জন্য তার সরকারের কঠোর সমালোচনা হওয়া উচিত। আমার কথা, দেশের ইতিহাস-বিশ্নেষণে আমরা যে দলের, যে মতের লোকই হই না কেন, আমাদের কতিপয় ঐতিহাসিক সত্যকে মেনে নিয়ে জাতীয় ঐক্য তৈরি করে যাত্রারম্ভ করতে হবে। আমরা যে ৫০ বছরেও যাত্রারম্ভ করতে পারিনি, তার প্রকৃত কারণ কয়েকটি ঐতিহাসিক সত্যকে মেনে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারিনি। এই সত্যগুলোকে না মানা যে দেশদ্রোহিতা, তাও আমরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। আমরা সিভিকস রাইটস বা নাগরিক অধিকারের আচ্ছাদনে অনায়াসে সেই দেশদ্রোহিতা চালিয়ে যাই এবং দেশে নিরপেক্ষ ও সাহসী বুদ্ধিজীবীর তকমা নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করি।

ভারতেও এরকম একজন অসাধারণ বুদ্ধিজীবী ছিলেন নীরদ চৌধুরী, যার পাণ্ডিত্যের জন্য মৃত্যুর পরও তাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তার পাণ্ডিত্যের মূল সূত্রাধার ছিল ভারতের জাতীয় ইতিহাস ও জাতীয় নেতাদের চরিত্রে কলঙ্ক নিক্ষেপ করা। তিনি ভারতের অতীত সভ্যতা-সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করতেন না। বিশ্বাস করতেন না ভারত অতীতে একটি সভ্য জাতি ছিল। তার মতে, ব্রিটিশ শাসনে ভারত সভ্য হয়েছে। তিনি তার আত্মজীবনীমূলক বইয়ে লিখেছেন, গান্ধী নগ্ন কুমারী মেয়ে নিয়ে শুয়ে তার সংযম সাধনা করতেন। নেহরু ষাটের দশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের জন্য দায়ী। তিনি লেডি মাউন্টব্যাটেনের প্রেমে পড়ে কাশ্মীর ভাগ করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাংলাদেশেও একজন নীরদ চৌধুরী আছেন। তিনি এখন রোগশয্যায় শায়িত বলে নামোল্লেখ করলাম না। তিনি নীরদ চৌধুরীর মতো বড় মাপের পণ্ডিত নন। কিন্তু বিষোদ্গারে সমান পারদর্শী। তার গত পঞ্চাশ বছরের লেখা প্রবন্ধগুলো থেকে একটি প্রবন্ধও কেউ আমাকে দেখাতে পারবেন না, যে প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ তিনি করেননি। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে ছিলেন না। স্বাধীনতা আন্দোলনে তার কোনো অবদান নেই। তিনি ফ্যাসিস্ট-স্বৈরাচারী শাসক ইত্যাদি ইত্যাদি। তার একটি পরমপ্রিয় তত্ত্ব হলো- শেখ মুজিব আপন কর্মফলে নিহত হয়েছেন। এ জন্য জিয়াউর রহমানকে দায়ী করা হয়েছে।

আমি তার বক্তব্যের সব সময় প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু তার পাণ্ডিত্যকে কখনও অসম্মান করিনি। এখন দেখছি, আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট তরুণ প্রজন্মের বুদ্ধিজীবী ও টকশোর সাংবাদিকদের মধ্যেও নীরদ চৌধুরী অথবা জার্মানির গোয়েবলসের বাচ্চাকাচ্চাদের আবির্ভাব। গোয়েবলস কম পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন না। তিনি ছিলেন চটকদার কথাবার্তারও অধিকারী। তিনি মুহূর্তের মধ্যে বাকচাতুর্যে সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানাতে পারতেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় যখন লন্ডনে প্রতি মিনিটে হিটলারের কয়েকটা ভি রকেট পড়ছে, তখন তিনি রেডিওযোগে প্রচার করছিলেন, ব্রিটেনের রাজপরিবার লন্ডন থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতের লালকিল্লায় আশ্রয় নিয়েছে।

প্রচারণাটি ছিল ডাহা মিথ্যা। রাজপরিবারের নিরাপত্তার জন্য তাদের দিল্লিতে পাঠানোর কথা উঠেছিল। কিন্তু রাজপরিবার রাজি হয়নি। এই খবরটি কেউ রংচং মেখে গোয়েবলস প্রচার করেছিলেন, রাজপরিবার ভারতে পালিয়ে গেছে। গোয়েবলস এমন চাতুর্যের সঙ্গে প্রচারণাটি চালিয়ে ছিলেন যে, লন্ডনের অনেক মানুষ পর্যন্ত তা তখন বিশ্বাস করেছিলেন।

একটি ছোট্ট কথা বলার জন্য অনেক বড় পটভূমি টানলাম। সেজন্য পাঠকদের কাছে ক্ষমা চাই। আমি লেখার স্বার্থে এটাকে ছোট্ট কথা বললাম বটে, কিন্তু আমার পাঠকরা তা ছোট্ট কথা বলে মানবেন কিনা সন্দেহ। কারণ, এটা জাতির পিতার হত্যাকারীকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান প্রদর্শন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করা হয়েছে। করেছেন আমার প্রিয় সংবাদ পাঠক ও বিশ্নেষক খালেদ মুহিউদ্দীন। তিনি লিখেছেন অথবা বলেছেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের কোনো অপমানের দায় আমার গায়ে লাগে। আমি মনে করি জিয়াউর রহমানকে অপমান করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে যারা জীবিত মুক্তিযোদ্ধা/ইতিহাসবিদ আছেন, তাদের প্রতিবাদ করতে হবে।’ এত তাড়াতাড়ি খালেদ মুহিউদ্দীনেরও মুখোশ খুলে যাবে তা ভাবিনি।

খালেদ মুহিউদ্দীন এমন নয় যে, তাকে ইতিহাস শেখাব। তিনি জানেন, ইবলিশ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ফেরেশতা ছিল। সব ফেরেশতা তাকে মান্য করত। সেই ফেরেশতা আল্লাহর একটি আদেশ অমান্য করে হয়ে গেল ইবলিশ বা শয়তান। সকল ধর্মশাস্ত্রেই সে স্যাটান বা শয়তান বলে বর্ণিত। কেউ তাকে আর ফেরেশতা বলে সম্মান করে না। খালেদ মুহিউদ্দীন করেন কিনা জানি না। শয়তানকে শয়তান বলে অপমান করার জন্য তিনি গোটা মানব সমাজকেই দায়ী করতে পারেন।

ধর্মীয় উপাখ্যান রেখে জাগতিক ইতিহাসে আসি। ফ্রান্স একবার ভার্দুন যুদ্ধে মহাবিপদে পড়েছিল। ফরাসি সেনারা চূড়ান্ত পরাজয়ের মুখে ছিল। এই সময় মার্শাল পেঁতা যুদ্ধের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং জার্মানদের পরাজিত করেন। ফলে গোটা ফরাসি জাতির কাছে তিনি হিরো হয়ে ওঠেন। তার নাম হয় ভার্দুন-বিজয়ী মার্শাল পেঁতা। ফরাসি গভর্নমেন্ট তার নামে প্যারিসে একটি মিউজিয়াম তৈরি করে। এই মিউজিয়ামে ভার্দুন যুদ্ধে ব্যবহূত সব সমরাস্ত্র রাখা হয়। সেই সঙ্গে মার্শাল পেঁতার একটি প্রতিমূর্তি স্থাপন করা হয়। এই মিউজিয়ামে হাজার হাজার বিদেশি পর্যটকের ভিড় হয়।

কয়েক বছর আগে আমি যখন প্যারিসে যাই, তখন ভার্দুন যুদ্ধের এই মিউজিয়াম দেখতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি, ভার্দুন-বিজয়ী মার্শাল পেঁতার মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জিজ্ঞেস করতেই মিউজিয়ামের কর্তারা ঘৃণায় নাসিকা কুঞ্চিত করলেন। বললেন, ওই বিশ্বাসঘাতক দেশদ্রোহীর নাম উচ্চারণ করবেন না। আমরা তার নাম আমাদের জাতীয় ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলেছি।

মার্শাল পেঁতা ছিলেন ফরাসিদের কাছে জাতীয় বীর। এখন ফরাসিদের কাছে ঘৃণ্য মানুষ। ভার্দুন-বিজয়ী খেতাবটিও তার নাম থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কারণ, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ফ্রান্সের পতনের পর এই পেঁতা হিটলারকে আনুগত্য জানিয়ে একটি তাঁবেদার সরকার গঠন করেছিলেন। তার নাম ছিল ভিসি সরকার। এই সরকার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হিটলারের নাৎসি সৈন্যদের সহায়তা নিয়ে যুদ্ধ চালায়। ফ্রান্সকে হিটলারের কবলমুক্ত করার জন্য জেনারেল দ্য গলের নেতৃত্বে যে মুক্তিবাহিনী তৈরি হয়েছিল, তার বহু সদস্যকে পেঁতার নির্দেশে হত্যা করা হয়।

ফ্রান্স নাৎসি অধিকারমুক্ত হওয়ার পর পেঁতাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জেলে ঢোকানো হয়। হিটলারের সহযোগীদের বিচার হয় জার্মানির নুরেমবার্গ আদালতে। কিন্তু পেঁতার একক বিচার হয় ফ্রান্সের আদালতে। পেঁতা বয়োবৃদ্ধ ছিলেন। আদালত তার বয়স বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পেঁতা দীর্ঘকাল কারাদণ্ড ভোগ করার পর বার্ধক্যের জন্য একেবারেই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তখন তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বাতিল করে তাকে ক্ষমা প্রদর্শনের জন্য তার পরিবার আদালতে আপিল করেছিল। আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে লিখেছিলেন- ‘এত বড় বিশ্বাসঘাতককে ক্ষমা বা অনুকম্পা প্রদর্শনের কোনো অবকাশ নেই।’ পেঁতোর মৃত্যু হয় কারাগারে। সেখান থেকে তার মৃতদেহ এক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সমাধিস্থ করা হয়।

জেনারেল ফ্রাঙ্কো স্পেনকে দুর্নীতিপরায়ণ রাজতন্ত্র থেকে মুক্ত করেছিলেন। পরে নিজেই বাংলাদেশের জিয়াউর রহমানের মতো স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হন। মৃত্যুর পর রাজধানী মাদ্রিদের সেন্ট্রাল পার্কে তাকে সমাহিত করা হয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকার তার মৃতদেহ কবর থেকে তুলে রাজধানীর বাইরে সরিয়ে কবর দেয়। তার পরিবার-পরিজনের আপত্তি সরকার কানে তোলেনি।

এরকম উদাহরণ অনেক আছে। পেঁতা ও ফ্রাঙ্কো তাদের জাতির কাছে যে অপরাধ করেছেন, জেনারেল জিয়াও সেই একই অপরাধ করেছেন তার জাতির কাছে। এ কথা যেমন সত্য তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন; তেমনি সত্য ক্ষমতা হাতে নিয়ে তিনি কর্নেল তাহেরসহ শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। এখন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে, জেল হত্যাকাণ্ডে ও খালেদ মোশাররফের হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্নিষ্টতা ছিল। সবচেয়ে বড় অপরাধ, তিনি ক্ষমতা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মুছে ফেলে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানাতে চেয়েছেন। পাকিস্তানে পলাতক গোলাম আজমের মতো যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের উচ্চপদে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।

অপরাধের তালিকা তৈরি করলে দেখা যাবে ফ্রান্সের পেঁতা এবং স্পেনের ফ্রাঙ্কো এবং ভিয়েতনামের সিংম্যানরির চেয়েও বাংলাদেশের জিয়াউর রহমানের অপরাধ ও দেশদ্রোহিতা অনেক গুরুতর। তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় বহুদিন আগে মুছে গেছে। এখন তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা গোটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান। প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশদ্রোহী জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দেননি এবং তার কবর চন্দ্রিমা থেকে স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করেছেন।

এই কাজ আওয়ামী লীগ সরকারের বহু আগে করা উচিত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গুছিয়ে উঠতে পারেনি বলে করেনি। এখন স্বাধীনতাবিরোধী কিছু চক্র ছাড়া গোটা জাতির অনুমোদন রয়েছে হাসিনা সরকারের এই কার্যক্রমের পেছনে। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে স্বৈরাচারী জিয়া এবং এরশাদের শাসনকাল অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের উচিত, মুক্তিযুদ্ধের পতাকা আবার দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা এবং মুক্তিযুদ্ধের শত্রুদের নাম-নিশানা মুছে ফেলা। জিয়াউর রহমান এখন মুক্তিযুদ্ধের শত্রুদের তালিকায় পড়েন। তাকে যারা মুক্তিযোদ্ধা ভাবেন এবং মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দিতে চান, তাদের সম্পর্কে প্রাচীন কবির ভাষায় বলতে হয়- ‘ইহারা কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।’

খালেদ মুহিউদ্দীন বয়সে তরুণ, দেখতে স্মার্ট, একজন সুবক্তা। তার কাঁধে মৃত জিয়াউর রহমান কী করে ভর করেছেন তা জানি না। জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান না দিয়ে শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করেননি; বরং তাদের সম্মান দেখিয়েছেন। জিয়ার হাতে যে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মা শান্তি পেয়েছে। ইতিহাসের বিচার মাত্র শুরু হয়েছে। তার চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হতে দেরি হবে না।

লন্ডন, ১৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২১

সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ১৮, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ