শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে সিঙ্গাপুর ত্যাগ করেছেন। এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিঙ্গাপুরে গোতাবায়ার স্বল্পমেয়াদি ভিজিট পাসের মেয়াদ গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়। তারপরই তিনি সিঙ্গাপুর ছাড়েন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে সিঙ্গাপুরের ইমিগ্রেশন ও চেকপয়েন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, গোতাবায়া বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর ত্যাগ করেছেন।
গোতাবায়া সিঙ্গাপুর থেকে ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইটে যাত্রা করেন বলে জানা গেছে।
এক দিন আগেই থাইল্যান্ড নিশ্চিত করেছে, তারা শ্রীলঙ্কার বর্তমান সরকারের কাছ থেকে গোতাবায়ার বিষয়ে একটি অনুরোধ পেয়েছে। গোতাবায়াকে যাতে থাইল্যান্ড সফরের অনুমতি দেওয়া হয়, কলম্বো সেই অনুরোধ করেছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা গত বুধবার নিশ্চিত করেন, গোতাবায়া অস্থায়ীভাবে থাইল্যান্ড সফর করবেন। থাইল্যান্ডে অবস্থানকালে তিনি অন্য কোনো দেশে স্থায়ী আশ্রয়লাভের চেষ্টা করবেন। থাইল্যান্ডে থাকাকালে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন গোতাবায়া।
প্রায়ুথ চান-ওচা বলেন, গোতাবায়ার সফরের বিষয়টি মানবিক। তিনি অস্থায়ীভাবে থাকবেন। কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালাতে পারবেন না। এটি তাঁকে আশ্রয় নেওয়ার জন্য একটি দেশ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনাই বলেছেন, গোতাবায়া ৯০ দিন থাইল্যান্ডে থাকতে পারবেন। কারণ, তিনি এখনো কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী।
ডন প্রামুদউইনাই আরও বলেন, গোতাবায়ার এ সফরের বিরোধিতা করেনি শ্রীলঙ্কা সরকার। থাই সরকার তাঁর জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে না। গোতাবায়ার এ সফর কলম্বোর সঙ্গে ব্যাংককের কোনো বিরোধ তৈরি করবে না। থাইল্যান্ডে গোতাবায়ার অবস্থানের একটি শর্ত হলো, তিনি ব্যাংককের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবেন না।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে যান গোতাবায়া। পরদিন ১৪ জুলাই তিনি মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যান।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ১২, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,