Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

আজ বাঙালির শোকের দিন

Share on Facebook

আজ জাতীয় শোক দিবস, বাঙালির শোকের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী। বাংলাদেশ ও বাঙালির বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিবসের প্রায় সবই অর্জনের, গৌরবের; কিন্তু জাতীয় শোক দিবস হারানোর দিন, কলঙ্কের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাসের বর্বরোচিত ও মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে সপরিবারে হত্যা করা হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে। বাঙালি হারায় তার আরাধ্য পুরুষ ও ইতিহাসের মহানায়ককে।

করোনা মহামারিজনিত এ পরিস্থিতিতে একদিকে চলছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর নানা সংক্ষিপ্ত আয়োজন। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হবে সীমিত পরিসরে নানা কর্মসূচি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা।

পঁচাত্তরের সেই রক্তঝরা ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৃশংসভাবে শাহাদাতরণ করেন ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসভবনে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের কূটচক্রান্ত এবং সেনাবাহিনীর এক দল বিপথগামী সদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন আরও প্রাণ হারান তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল এবং নবপরিণীতা দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। তবে প্রবাসে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

আগস্টের মধ্যভাগের সেই নির্মম হত্যাযজ্ঞে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, শিশু পৌত্র সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নিরাপত্তা কমকর্তা ও কর্মচারী। জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্মরণ করবে এই শহীদদেরও।

বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন। গোটা জাতির স্বপ্নের রূপকার এ ব্যক্তিত্ব বাঙালির বিশ্বজয়ের মহানায়ক এবং ঐক্য, প্রেরণা ও স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। তার ইস্পাতকঠিন নেতৃত্ব আর অভীক লড়াকু সত্তা বাঙালি জাতিকে দিয়েছে অধিকার আদায়ের অনিঃশেষ প্রেরণা। পাকিস্তানি শাসকদের ধারাবাহিক শোষণ, দমন-পীড়ন, ঔপনিবেশিক লাঞ্ছনা-বঞ্চনা আর দীর্ঘদিনের নির্যাতন-নিপীড়ন-বৈষম্যের অপমান থেকে বাংলার জনগণকে মুক্তির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন। সেদিন তার বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’- এ অমর আহ্বানেই স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয় নিপীড়িত কোটি বাঙালি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা শুরু হওয়ার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠেই ধ্বনিত হয় মহান স্বাধীনতার অমর ঘোষণা। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এর পর মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস তাকে বন্দি থাকতে হয় পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে। তবে মৃত্যুর খড়গ মাথার ওপর ঝুললেও স্বাধীনতার প্রশ্নে আপস করেননি বাঙালির মহান অকুতোভয় এ নেতা। যে কারণে পাকিস্তানি স্বৈরশাসককেও নতি স্বীকার করতে হয়। মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালির প্রাণের এ নেতাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় তারা। এর পর বীরের বেশে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি জনগণকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করেন বঙ্গবন্ধু। দেশ গড়ার এ সংগ্রামে তার দৃঢ়বিশ্বাস ছিল- দেশের মানুষ কখনও তার ত্যাগ ও অবদানকে ভুলে যাবে না। অকৃতজ্ঞ হবে না। নবগঠিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু তাই সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের সাধারণ বাড়িতেই বাস করতেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তি এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী ও উচ্চাভিলাষী কিছু সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করে সেই চক্রান্ত বাস্তবায়ন কাজে।

বিশ্ব ও মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সেদিন ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধুই নয়; জনগণের হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতা এবং সব মহতী আকাঙ্ক্ষাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে অপপ্রয়াস চালিয়েছিল বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসকেও। কিন্তু খুনিদের সে ষড়যন্ত্র টেকেনি। জাতি ও বিশ্বমানবের মানসপটে বঙ্গবন্ধু আজও সমহিমায় উজ্জ্বল, চিরভাস্বর।

১৫ আগস্টের অভিশপ্ত দিনটিতে বাঙালি জাতির ললাটে যে কলংকতিলক পরানো হয়েছিল; দীর্ঘ ৩৪ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সে কলংক থেকে জাতির দায়মুক্তি ঘটে। বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় অনুযায়ী ওই দিন মধ্যরাতের পর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। এর মধ্য দিয়ে পিতা হত্যা এবং ষড়যন্ত্র ও অবৈধ ক্ষমতা দখলের ঘৃণ্য ও তমসাচ্ছন্ন অধ্যায়ের অবসান ঘটে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাঙালির বিজয়ের অভিযাত্রাও আরেক ধাপ এগিয়ে যায়। তবে পুরো জাতি এখনও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে বঙ্গবন্ধুর বাকি ছয় পলাতক খুনির ফাঁসি কার্যকরের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।

আজ সরকারি ছুটি। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। পোস্টার মুদ্রণ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গ্রোথ সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার স্থাপন ও এলইডি বোর্ডের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকেও তিনটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে।

সূত্র: সমকাল।
তারিখ: আগষ্ট ১৫,২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ