আফগানিস্তানের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
তালেবান কাবুল দখল করে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটির নতুন সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। খবর বিবিসির।
আইএমএফের একজন মুখপাত্র বলেন,আফগানিস্তানে একটি সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্পষ্টতার অভাবের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইএমএফের স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসের (এসডিআর) তহবিল থেকেও আফগানিস্তান কোনো সহায়তা পাবে না বলেও জানান তিনি।
আইএমএফ মুখপাত্র বলেন, সবসময় যেমনটা হয়, আইএমএফ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
২৩ অগাস্ট আইএমএফ থেকে ৩৭ কোটি ডলারেরও বেশি পাওয়া কথা আফগানিস্তানের। এই তহবিল অর্থনৈতিক সঙ্কটে দেওয়া সহায়তার একটি অংশ।
এর আগে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আফগান সরকারের কোনো সম্পদ থাকলে সেটা তালেবান পাবে না।
তালেবান যাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সহায়তা না পায় এক চিঠিতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলনের কাছে সে নিশ্চয়তা চেয়েছেন একজন কংগ্রেস সদস্য। ওই চিঠিতে সমর্থন দিয়ে ১৭ জনের স্বাক্ষর রয়েছে।
এর আগে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান আজমল আহমাদি জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে তার দেশের প্রায় ৭০০ কোটি ডলার থাকলেও সেখানে হাত দিতে পারছে না তার দেশ।
অন্যদিকে আফগানিস্তান ইস্যুতে জি-২০ সামিটের প্রস্তুতি ইতালির প্রধানমন্ত্রীর
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে বিশ্বের সাত ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আফগানিস্তান ইস্যুতে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে। এই বৈঠকে আফগানিস্তান ইস্যুতে আশু করণীয় নিয়ে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেওয়া হবে রয়টার্সকে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আফগানিস্তান ইস্যুতে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সেই মুখপাত্র।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান নীতিতে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় আরও নিবিড় করার পাশাপাশি আফগান শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হবে।
ইংল্যান্ডের ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, গত বিশ বছরে আফগানিস্তানে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, নারী ও শিশুদের অধিকার, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ থেকে নিজেদের রক্ষা করা ও আফগানদের সমর্থন করার ইস্যু নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করবেন।
আফগানিস্তানে সহিংসতার মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় জো বাইডেনের সমালোচনার মুখর হয়েছেন বেশকটি দেশের শীর্ষ নেতারা। জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সব আমেরিকানদের সরিয়ে আনা শেষ না হলে মার্কিন সেনা সেখানে মোতায়েন থাকবে।
সূত্র: সমকাল।
তারিখ: আগষ্ট ১৯,২০২১
রেটিং করুনঃ ,