Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

ইউরোপের বিরুদ্ধে চড়াও রাশিয়া (২০২২)

Share on Facebook

পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে রাশিয়া

ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির মুদ্রা রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধ না করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার সেনাদের মোকাবিলায় ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে জার্মানিতে সম্মেলন করার এক দিন পর আজ বুধবার ইউরোপের বিরুদ্ধে এ কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা দিল মস্কো। তবে ইইউ বলেছে, ইউক্রেনকে সমর্থনকারী দেশগুলোকে মস্কো জ্বালানিকে ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এসব নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইউরোপে গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি রাশিয়ার সবচেয়ে শক্ত পদক্ষেপের একটি বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া আজ যুক্তরাজ্যের সাবেক ও বর্তমান ২৮৭ জন আইনপ্রণেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। আইনপ্রণেতাদের মধ্যে দেশটির সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী রয়েছেন।

আজ এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত রাশিয়ার জ্বালানি সংস্থা গাজপ্রম বলেছে, তারা পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। কারণ, এ দেশ দুটি রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে অর্থ প্রদান করতে অস্বীকার করেছে। গত মাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জারি করা একটি নির্দেশনার বিষয়টি উল্লেখ করে গাজপ্রম জানিয়েছে, তারা চলতি মাসের শুরু থেকে রুবলে গ্যাসের কোনো অর্থ পায়নি।

পোল্যান্ডের গ্যাস কোম্পানি পিজিএনআইজি জানিয়েছে, তাদের বলে দেওয়া হয়েছে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে আর গ্যাস দেওয়া হবে না। বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, গতকাল থেকে তাদের দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হয়, অবন্ধুসুলভ দেশগুলোকে জ্বালানি নিতে হলে অবশ্যই রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে তাদের গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া ওই শর্ত মানতে অসম্মতি জানায়।

গাজপ্রমের ওই বিবৃতির পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রেতা ইইউর অন্য দেশগুলোকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধে অস্বীকৃতি জানালে ইউরোপের অন্য সব দেশেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা তারই একটি সতর্কবাণী বলে উল্লেখ করেন পেসকভ।

পেসকভ আরও বলেন, রাশিয়া তার ক্রেতাদের কাছে জ্বালানি সম্পদের একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী ছিল এবং এখনো আছে। রাশিয়া সব সময় চুক্তির বাধ্যবাধকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যখন অর্থ প্রদানের সময় কিছু ক্রেতা যদি নতুন নিয়মের অধীনে অর্থ প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন অবশ্যই প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা প্রয়োগ করা হবে। তবে ঠিক কতগুলো দেশ রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছে, এ বিষয়ে কিছু বলেননি পেসকভ।

ইউরোপীয় দেশগুলো রুবলে গ্যাসের দাম দিতে অস্বীকার করলে রাশিয়া অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, সব হিসাব করা হয়েছে। সব ঝুঁকির বিষয়ে ভাবা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিবিসি জানায়, গাজপ্রমের ঘোষণার পর ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া একটি আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ, সেটাকে ইইউ ব্ল্যাকমেলের একটি ধরন হিসেবে মনে করে। তবে গাজপ্রমের ওই সিদ্ধান্ত ইউরোপের ক্রেতাদেশের ওপর কমই প্রভাব পড়বে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে স্থানীয় সময় আজ বুধবার এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংসে যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপের কড়া ও দ্রুত জবাব দেওয়া হবে।
আরও শহর ও গ্রাম রুশ সেনাদের দখলে

আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দনবাসের দুটি শহর শহর ও কিছু গ্রাম নিজেদের দখলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভের পক্ষ থেকেও এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, দনবাসের দুটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন রুশ সেনারা।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, রুশ সেনারা দোনেৎস্কের উত্তরে তাদের আক্রমণের অংশ হিসেবে জারিচন শহর দখলে নিয়েছেন।

রাশিয়ান সেনারা নভোতোশকিভস্কে শহরে প্রবেশ করেছেন। ওই শহরের ওপর দিয়ে ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত অংশগুলোকে কিয়েভনিয়ন্ত্রিত শহর লিসিচানস্কের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কটি রয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ বাহিনী উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের দুটি গ্রামও দখল করেছে।

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ