Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

“কাঙ্গালের কথা বাসি হলে খাটে।” – – দীনবন্ধু মিত্র।

Share on Facebook

আমি তখনি বলেছিলাম, কর্ত্তা মহাশয়, আর এদেশে থাকা নয়, তা আপনি শুনিলেন না। কাঙ্গালের কথা বাসি হলে খাটে।” – ‘নীলদর্পণ’ নাটক থেকে – দীনবন্ধু মিত্র।

আজ উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যদিনে সকল বাঙালীর পক্ষ্য থেকে আমাদের অনেক অনেক শ্রদ্ধা।

দীনবন্ধু মিত্র নাটক লিখেছেন সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে, বাংলা নাটকের প্রাথমিক যুগে যা ছিল অপ্রত্যাশিত। দরিদ্র কৃষক, সমাজের তথাকথিত নিম্ন স্তরের মানুষ তাঁর লেখায় জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে। কবি ঈশ্রচন্দ্র গুপ্তের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দীনবন্ধু মিত্র ছাত্রাবস্থা থেকেই সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। তবে তিনি খ্যাত হন নাট্য অঙ্গনের বলিষ্ঠ পদচারণায়। বাংলার আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু মিত্র মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্যরচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। এই ধারায় তিনিই হয়ে ওঠেন পরবর্তীকালের নাট্যকারদের আদর্শস্থানীয়। নীলদর্পণ (১৮৬০) তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক এবং শ্রেষ্ঠ রচনা। নীলকরদের অত্যাচারের দলিল হিসাবে জাতীয় চেতনা সৃষ্টিতে এই না্টকেরঐতিহাসিক ভূমিকা আছে এবং এর রচনাশৈলীতেও ছিল নতুনত্ব। দীনবন্ধু সমকালীন হিন্দুসমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রহসন রচনা করেও খ্যাতি অর্জন করেন।

প্রখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র ১৮২৯ সালে (তাঁর জন্ম তারিখ নিয়ে মতবিরোধ আছে) অধুনা নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতৃদত্ত নাম গন্ধর্বনারায়ণ। দীনবন্ধু মিত্রের পিতার নাম কালা চাঁদ মিত্র। পরে তিনি নিজে এই নাম পরিবর্তন করে দীনবন্ধু মিত্র রাখেন। গ্রাম্য পাঠশালা উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৮৪০ সালে পিতা- কালা চাঁদ মিত্রের তদবিরে স্থানীয় জমিদারের সেরেস্তায় মাসিক ৮ টাকা বেতনে চাকুরী লাভ করেন।

নানা বাঁধা অতিক্রম ও জীবন সংগ্রাম করে ১৮৫০ সালে কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা না দিয়েই চলে যান পাটনায় আর পোস্টমাস্টার পদে চাকরী নেন ১৫০ টাকা বেতনে। কাজের দক্ষতার বলে দেড় বছর পর ইন্সপেক্টর পদে উন্নীত হন। একই সাথে নদীয়া ও ঢাকা জেলার দায়িত্ব পালন করেন।

১৮৭৩ সালের ১ নভেম্বর দীনবন্ধু মিত্র মৃত্যু বরণ করেন, আজ তাঁর ১২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের চির শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তারিখ: নভেম্বর ০১, ২০১৮

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ