Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব (২০২২)

Share on Facebook

লেখক:হাসনাইন ইমতিয়াজ।

গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার গড়ে ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৯ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বেড়ে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা হবে। এই প্রস্তাব অনুসারে বাসাবাড়ির দুই চুলার মাসিক বিল হবে দুই হাজার ১০০ টাকা, যা এখন ৯৭৫ টাকা। আর এক চুলার মাসিক বিল হবে দুই হাজার টাকা, যা বর্তমানে ৯২৫ টাকা। শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা এবং ক্যাপটিভে (শিল্পকারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহূত গ্যাস) ১৩ টাকা ৮৫ পয়সার স্থলে ৩০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে একাধিক বিতরণ কোম্পানি। ছয়টি বিতরণ কোম্পানির মধ্যে তিতাস, বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি গত সপ্তাহে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) পৃথকভাবে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এই সপ্তাহে অন্য কোম্পানিগুলো তাদের প্রস্তাব জমা দেবে। পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

‘ভর্তুকির চাপ’ সামলাতে গত মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল। এরপর ৩ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে পাঠানোর জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দেয়। পরে পেট্রোবাংলা থেকে আমদানি করা এলএনজি ও দেশীয় গ্যাসের দাম, ভ্যাট-ট্যাক্স, বিভিন্ন তহবিলের চার্জ ধরে একটা খসড়া হিসাব বিতরণ কোম্পানিগুলোতে ৫ জানুয়ারি পাঠানো হয়। এরপর বিতরণ কোম্পানিগুলো নিজেদের আয়-ব্যয় হিসাব উল্লেখ করে প্রায় একই ধরনের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে পাঠায়। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলো নিজেদের পরিচালন ব্যয় (মার্জিন) বৃদ্ধিরও প্রস্তাব দিয়েছে।

কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ ও সারে ব্যবহূত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে ১০ টাকা (১২৫%) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিল্পে ব্যবহূত ক্যাপটিভে দাম ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা (১১৬) এবং শিল্পে ও চা বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা (১১৬%) করার প্রস্তাব এসেছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা থেকে ৫০ টাকা (১১৭%), ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে ৩৭ টাকা ২ পয়সা (১১৭%), সিএনজিতে ৩৫ টাকা থেকে ৭৫-৭৬ টাকা (১১৪%) এবং আবাসিক মিটারে ১২ টাকা ৬০২ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা (১১৫%) করার প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে তিতাস তার পরিচালন মার্জিন ২৫ পয়সা থেকে বড়িয়ে ৩৮ পয়সা, জালালাবাদ ৫৫.১৮ পয়সা এবং বাখরাবাদ ২৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৬.৮৪ পয়সা করার আবেদন করেছে।

বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের প্রস্তাবে মূল্য নির্ধারণের ব্যাখ্যায় দেখিয়েছে, এলএনজি আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে দেশি-বিদেশি গ্যাস কেনা ও সরবরাহ, পরিচালন ব্যয়, ভ্যাট-ট্যাক্স এবং নানা চার্জ মিলিয়ে ৬৫ হাজার ২২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে বছরে ৮৭৮ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানিতে ৪৪ হাজার ২২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটার এলএনজিতে ব্যয় ৫০ টাকা ৩৮ পয়সা, যার মধ্যে ক্রয়মূল্য ৩৬ টাকা ৬৯ পয়সা, আমদানি পর্যায়ে মূসক ৫ টাকা ৫০ পয়সা, অগ্রিম আয়কর ৭৪ পয়সা, ফাইন্যান্সিং ব্যয় ১ টাকা ৪৪ পয়সা, ব্যাংক চার্জ ও কমিশন ৫৯ পয়সা, রিগ্যাসিফিকেশন ব্যয় ১ টাকা ৮৬ পয়সা, অপারেশনাল ব্যয় ৫ পয়সা এবং ভোক্তা পর্যায়ে উৎসে কর ৩ টাকা ৫২ পয়সা (৭%)। দেশে কার্যরত বিদেশি গ্যাস কোম্পানির (আইওসি) গ্যাস কিনতে ব্যয় হবে প্রতি ঘনমিটারে ২ টাকা ৯১ পয়সা। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি (বিজিএফসিএল), সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি (এসজিএফএল) এবং বাপেক্সের পরিচলন ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতিঘনমিটারে যথাক্রমে ৮৭.৯৮ পয়সা, ৩৩.৮৩ পয়সা এবং চার টাকা ৫৫ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি ঘনমিটারে পরিচলন মার্জিন সঞ্চালন কোম্পানির (জিটিসিএল) ৮৬.৪৮ পয়সা, বিতরণ কোম্পানির ২৭.৪৯ পয়সা ধরা হয়েছে। প্রতি ঘনমিটারে পেট্রোবাংলার পরিচলন ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় পয়সা, গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে ৪৬.১৪ পয়সা এবং জ্বালানি উন্নয়ন তহবিলে ৮৮.৭০ পয়সা চার্জ ধরা হয়েছে। সরকারের হিস্যা হিসাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধরা হয়েছে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল সমকালকে বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে তা যাচাই-বাছাই করে শুনানির আয়োজন করা হবে। গ্যাসের তিনটি বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব পাওয়া গেছে। আরও তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ১ জুলাই সর্বশেষ গ্যাসের দাম বাড়ে। আবাসিক খাতে দুই চুলার খরচ ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা করা হয়। বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন, হোটেল ও রেস্তোরাঁ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প ও চা বাগানে ব্যবহূত গ্যাসের দাম গড়ে ৩২.০৮ শতাংশ বাড়ে।

দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৪৩০ কোটি ঘনফুট। দেশি গ্যাসক্ষেত্র থেকে এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৩৩ কোটি ঘনফুট। বঙ্গোপসাগরে থাকা দুটি ভাসমান এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ টার্মিনালের মাধ্যমে পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে বিদ্যুতে ব্যবহূত হয় ৬৮.৩৭ শতাংশ, সারে ৯.৩৯ শতাংশ, ক্যাপটিভে ৫.৯২ শতাংশ, শিল্পে ৭.০৬ শতাংশ, হোটেল-রেস্টুরেন্টে ০.২৩ শতাংশ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ০.২৮ শতাংশ, সিএনজিতে ৩.০৭ শতাংশ. বাসাবাড়িতে ৫.০১ শতাংশ এবং চা বাগানে ০.৬৭ শতাংশ গ্যাস ব্যবহূত হয়।

সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ জানুয়ারী ১৮, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ