বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের পরিবারের ‘দালালদের’ হুশিয়ার করে দিয়ে তাদের শুধরে যেতে বলেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
তিনি বলেন, ‘জিয়া পরিবার পাকিস্তানের। আমরা তাদের চিনি। এদের দালালি যারা করছেন ভালো হয়ে যান, সোজা হয়ে যান। বেগম জিয়া, তারেক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এ দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। যারা ওই তালে আছেন তাল ছাইড়া দেন।’
রোববার বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নিউজ স্টুডিও উদ্বোধন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও বিএফডিসির জন্য বরাদ্দকৃত স্থান পরিদর্শন শেষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় জিয়াউর রহমানকে দোষারোপ করে মুরাদ হাসান বলেন, ‘খুনের ইতিহাস যারা তৈরি করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সেসব খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে হয়েছে। আমার দায়িত্ব একটাই, যারা খুনি বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করেছে, এ জিয়া পরিবারের বিচার বাংলার মাটিতে করতেই হবে- মরণোত্তর বিচার। জীবন দিয়ে হলেও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তাদের মুখোশ উম্মোচন ও বিচার করতেই হবে।’
খালেদা জিয়া নিজেই স্বামী হত্যার ‘বিচার চান না’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘বেগম জিয়া নিজেই চেয়েছেন তার স্বামী মারা যাক। জিয়া হত্যাকাণ্ড না ঘটলে বেগম জিয়ার সাধ পূরণ হত না। বেগম জিয়া কি কখনো তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছে? তার পুত্র লন্ডনে বসে সে কি বিচার চায়?’
‘লুটপাটকারীরাই আজকে সমৃদ্ধ’
নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীরাই কালক্রমে ‘সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশকে সবাই লুটপাট করে খেয়েছে। আজ তারা সমৃদ্ধ। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণের টাকা দিয়ে ফুটানি বন্ধ করতে হবে, বন্ধ করতে হবে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়।’
ডা.মুরাদ হাসান বলেন, ‘দেশের জন্য আমাদের আরও অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আাদর্শ ধারণ করতে হবে; বঙ্গবন্ধু কন্যার মতো ধিরচেতা দেশপ্রেমিক হতে হবে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুরাদ হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাথা উচুঁ করে বাচঁতে শিখিয়েছেন। তিনি সর্বদা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কোনো দুর্নীতিবাজদের তিনি প্রশ্রয় দিতেন না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শাখার পরিচালক জগদ্বীশ এষ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাইল খান, উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া প্রমুখ।
পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ডিজিটাল নিউজ রুম ও স্টুডিও উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিন প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জন্য বরাদ্দ দেওয়া জায়গা পরিদর্শন করেন। নগরের পাহাড়তলী এলাকায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রায় ১০ একর জায়গার মধ্যে এক দশমিক ৩০ একর জায়গা বিএফডিসিকে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ০৫, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,