Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের এখন কী হবে (২০১৯)

Share on Facebook

লেখক: মশিউল আলম।

লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে ২ হাজার ৪৮৭ দিন অন্তরীণ থাকার পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গত বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন। লন্ডন পুলিশ একটি বিদেশি রাষ্ট্রের দূতাবাস ভবনের ভেতরে ঢুকে একজন প্রকাশক ও সাংবাদিককে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে গেল। এতে কূটনৈতিক রীতিনীতি ও আন্তর্জাতিক বিধিবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও তা গ্রাহ্য হলো না। কারণ, ইকুয়েডরের সরকার নিজেই লন্ডনের পুলিশকে তাদের দূতাবাসে ডেকে এনেছিল এই বলে যে ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জের কূটনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো টুইটারে লিখেছেন, তাঁর সরকার অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ অ্যাসাঞ্জ বারবার আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও কূটনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দূতাবাস ভবনে বসবাসের ‘ডেইলি–লাইফ প্রটোকল’ লঙ্ঘন করেছেন।

কিন্তু উইকিলিকস কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো অ্যাসাঞ্জের ওপর রুষ্ট হয়েছেন ‘এইএনএ পেপারস’ নামের গোপনীয় নথিসম্ভার ফাঁস করার জন্য, যার ফলে জানাজানি হয়ে গেছে যে ইকুয়েডরে একটা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণকারী এক চীনা কোম্পানির কাছ থেকে প্রেসিডেন্ট মোরেনোর পরিবারের সদস্যরা ঘুষ নিয়েছেন। কিছু সংবাদপ্রতিষ্ঠান লিখেছে, প্রেসিডেন্ট মোরেনো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ঋণ বা আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য অ্যাসাঞ্জকে তাদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন।

অ্যাসাঞ্জকে কূটনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন মোরেনোর ঠিক আগের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া। অ্যাসাঞ্জের গ্রেপ্তারের পর তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘ইকুয়েডর ও লাতিন আমেরিকার ইতিহাসের সেরা বিশ্বাসঘাতক লেনিন মোরেনো অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করার জন্য ব্রিটিশ পুলিশকে লন্ডনে আমাদের দূতাবাসে ঢুকতে দিয়েছেন। মোরেনো একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি, কিন্তু এবার তিনি যা করলেন তা এমন এক অপরাধ, যা মানবজাতি কখনো ভুলবে না।’

লন্ডন পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করেছে জামিন লঙ্ঘনের অপরাধে। গ্রেপ্তারের দিনেই অ্যাসাঞ্জ আদালতে হাজির হতে ব্যর্থতার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তাঁকে যুক্তরাজ্যের কারাগারে ১২ মাস পর্যন্ত থাকতে হতে পারে। একই দিনে লন্ডনের পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের (এক্সট্রাডিশন রিকোয়েস্ট) পরিপ্রেক্ষিতে। এই পদক্ষেপটির ফলে অ্যাসাঞ্জের সামনে এক জটিল ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে; যুক্তরাজ্যে তাঁর জামিন লঙ্ঘনের অপরাধ দৃশ্যত গৌণ হয়ে পড়েছে, মুখ্য হয়ে উঠেছে তাঁর আমেরিকান কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর প্রশ্ন।

জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে শুধু অ্যাসাঞ্জের জন্য নয়, ইকুয়েডর সরকার ও যুক্তরাজ্য সরকারের জন্যও। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচরবৃত্তি–সংক্রান্ত আইনে অ্যাসাঞ্জের বিচার করা হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। কিন্তু ইকুয়েডর সরকার ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জের কূটনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা মঞ্জুর করেছিল এই যুক্তি দেখিয়ে যে এমন এক ব্যক্তি তাদের দেশে আশ্রয় চেয়েছেন, যাঁর সামনে পলিটিক্যাল পারসিকিউশন ও মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকি উপস্থিত হয়েছে। ইকুয়েডর তার ভূখণ্ডে বা কূটনৈতিক মিশনে আশ্রয়প্রার্থী এমন ব্যক্তির অনুরোধ ফিরিয়ে দেয় না, যার ওই ধরনের পরিণতির ঝুঁকি আছে। মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে, এমন কোনো দেশে ইকুয়েডর কোনো ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণও করে না। উপরন্তু ২০১৭ সালে ইকুয়েডর সরকার অ্যাসাঞ্জকে সে দেশের নাগরিকত্ব দিয়েছিল। অর্থাৎ এখন অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হলে ইকুয়েডর সরকারের নিজের বিধান নিজেরই ভঙ্গ করা হবে।

যুক্তরাজ্যও অ্যাসাঞ্জকে আইনত যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করতে পারে না একই কারণে। যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি ও নাগরিক সংগঠনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরোধিতা করে নিন্দা জানাচ্ছে। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন টুইটারে লিখেছেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত ইরাক ও আফগানিস্তানে নৃশংসতার প্রমাণ উন্মোচন করার দায়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করা উচিত।’

জাতিসংঘের স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার অন এক্সট্রা জুডিশিয়াল এক্সিকিউশন্স অ্যাগনেস ক্যালামার্ড অ্যাসাঞ্জের কূটনৈতিক আশ্রয় বাতিলের জন্য ইকুয়েডর সরকারের সমালোচনা করে টুইটারে লিখেছেন, ‘ইকুয়েডর তার দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে বহিষ্কার করার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যকে তাঁকে গ্রেপ্তার করার সুযোগ দিল, তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। এভাবে তাঁকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিল।’

এমনকি সুইডেনে যে দুই নারী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন, তাঁরাও চান না অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হোক। তাঁদের একজন বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হলে তিনি ভীষণ বিস্মিত হবেন এবং দুঃখ পাবেন। তাঁদের আইনজীবী সুইডেনের পুলিশকে অ্যাসাঞ্জের মামলা আবার শুরু করার অনুরোধ করেছেন, যাতে অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে নিয়ে বিচার করা যায়। কিন্তু যুক্তরাজ্যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, সুইডিশ কর্তৃপক্ষ যদি অ্যাসাঞ্জকে তাদের দেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে তারা সেখান থেকে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবে না।

নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) অ্যাসাঞ্জের গ্রেপ্তারের দিনেই নিজেদের ওয়েবসাইটে লিখেছে যে তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারের উদ্যোগের ব্যাপারে সিপিজে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ, সিপিজে জানতে পেরেছে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে যুক্তরাজ্য পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করেছে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিষয়ে একটা সমঝোতার অংশ হিসেবে। সিপিজের ডেপুটি ডিরেক্টর রবার্ট ম্যাহোনি মনে করেন, চেলসি ম্যানিংয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিচার করা হলে সেটার পরিণতি হবে সাংবাদিকতা চর্চার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ, তিনি মনে করেন, অ্যাসাঞ্জ ও ম্যানিংয়ের মধ্যকার সহযোগিতার সম্পর্কটি ছিল একজন সাংবাদিক বা প্রকাশক ও তাঁর সূত্রের (সোর্স) মধ্যকার সম্পর্ক। চেলসি ম্যানিং ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের নৃশংসতা, পৃথিবীর দেশে দেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গোপন অনৈতিক তৎপরতা, ভণ্ডামি ইত্যাদির দালিলিক প্রমাণ পেয়ে সেগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার নৈতিক তাগিদ বোধ করেছিলেন। তিনি সেসব নথিপত্র চুরি করে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বা উইকিলিকসের কাছে সরবরাহ করেছিলেন, হোক না সেগুলো অতিগোপনীয় রাষ্ট্রীয় দলিল।

রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের এমন গুরুতর সব অপকর্ম, যা কোনো রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান জনসাধারণকে জানতে দিতে চায় না, সেগুলো সর্বসাধারণের সামনে অকাট্য দালিলিক প্রমাণসহ প্রকাশ করার ব্রত নিয়েই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও তাঁর বন্ধুরা উইকিলিকস নামে ওয়েবসাইটটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই অ্যাসাঞ্জ ম্যানিংয়ের সরবরাহ করা লাখ লাখ নথিপত্র উইকিলিকসে প্রকাশ করেছেন, গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমস, আল পাইস, ডের স্পিগেল ইত্যাদি মূলধারার সংবাদপত্রের কাছেও সরবরাহ করেছেন। ওই পত্রিকাগুলো সেসব প্রামাণ্য দলিল ব্যবহার করে শত শত সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ করেছে। সিপিজে ও সারা বিশ্বের সাংবাদিকদের বৃহত্তর অংশ মনে করে, এসব প্রকাশ করায় অ্যাসাঞ্জ বা উইকিলিকসের দ্বারা কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়নি, বরং তাঁরা ‘পাবলিক ইন্টারেস্ট’ বা জনগণের স্বার্থেই কাজ করেছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১০ সালে অ্যাসাঞ্জ প্রথমবার গ্রেপ্তার হলে যখন প্রচারিত হয় যে যুক্তরাষ্ট্র সে দেশের এসপিওনেজ অ্যাক্ট বা গুপ্তচরবৃত্তি–সম্পর্কিত আইনের অধীনে তাঁর বিচার করতে চায়, তখন সিপিজে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে একটি চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিল তা যেন না করা হয়, কারণ অ্যাসাঞ্জ যা করেছেন তা সাংবাদিকতার অংশ; উইকিলিকস একটা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর বিরুদ্ধে খোদ যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে জনমত অত্যন্ত প্রবল। কিন্তু এই জনমতের চাপ যুক্তরাজ্য সরকার একটুও অনুভব করছে না, এটা বলা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার ঝুঁকি আছে—এমন প্রচারণা চলতে থাকলে তাঁকে সে দেশে পাঠানো খুব কঠিন হবে। সম্ভবত সেই ঝুঁকির আশঙ্কা দূর করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে বড় করে লেখা হচ্ছে, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ম্যানিংকে কম্পিউটার হ্যাকিংয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সত্য বলে প্রমাণিত হলে অ্যাসাঞ্জের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে; অর্থাৎ তারা যুক্তরাজ্যের সরকারসহ অ্যাসাঞ্জের সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে চাইছে যে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের কোনো ঝুঁকি নেই, তাই তাঁকে সে দেশে প্রত্যর্পণ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের দ্বিধা করা উচিত নয়।

কিন্তু উইকিলিকস কর্তৃপক্ষ ও স্বয়ং জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ আশ্বস্ত হতে পারছেন না। না পারার জোরালো যুক্তি আছে। কারণ, ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে টোটাল সার্ভিলেন্স বা নিশ্ছিদ্র নজরদারির আওতায় আনার প্রবল চেষ্টায় ব্যস্ত আমেরিকান রাষ্ট্রের গভীরে তৎপর শক্তি (ডিপ স্টেট) অ্যাসাঞ্জকে নিছক কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের ষড়যন্ত্রের সহযোগী হিসেবে ছোট করে দেখে না, বরং বিরাট এক বিরুদ্ধ শক্তির শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করে বলে মনে হয়। কারণ, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও তাঁর উইকিলিকস বাহিনীকে এখন পর্যন্ত কেউ পর্যুদস্ত করতে পারেনি। অ্যাসাঞ্জ প্রায় ৯ বছর ধরে বন্দিদশায় আছেন, তবু উইকিলিকস বিভিন্ন রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় তথ্যভান্ডার ফাঁস করে চলেছে।

অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়ে থাকার পুরোটা সময়জুড়ে যুক্তরাজ্য সরকার অনেকবার ইকুয়েডরকে আশ্বাস দিয়েছিল, তারা অ্যাসাঞ্জের বিচার করবে জামিন লঙ্ঘনের দায়ে, তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যপর্ণ করবে না। কিন্তু এখন আমার আশঙ্কা হচ্ছে, যুক্তরাজ্য অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবে এবং সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ সাজানো হবে। শেষ পর্যন্ত হয়তো এসপিওনেজ অ্যাক্টের অধীনেই তাঁর বিচার করা হবে, সে আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে।

তবে সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘ হবে। যুক্তরাজ্যের কারাগারেই অ্যাসাঞ্জের বেশ কিছুদিন কাটবে। আগামী ২ মে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণবিষয়ক ওয়ারেন্টের শুনানি হবে। অ্যাসাঞ্জকে কেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা প্রয়োজন, মার্কিন কর্তৃপক্ষকে তা ব্যাখ্যা করতে হবে ১২ জুনের মধ্যে।

মশিউল আলম প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্যিক

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ এপ্রিল ১৩, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ