Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

নতুন বাস্তবতায় দরকার নতুন দক্ষতা বৃদ্ধি ! (২০২০)

Share on Facebook

কোভিড-১৯ মানুষকে নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করেছে। সংক্রামক এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে শুরু হয় বাড়ি থেকে কাজের চল। গুগল ও ফেসবুকের মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান এখন পাকাপাকিভাবেই ঘর থেকে কাজের সুযোগ দিচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কর্মী ঘর থেকে কাজ করতে অক্ষম। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিবর্তিত বাস্তবতায় কাজ করতে নতুন দক্ষতা রপ্ত করতে হবে। সব ধরনের কর্মীদের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য, বলছে ডব্লিউইএফ।

ফিউচার অব জবস বা ‘কাজের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের মতো উন্নত দেশের ৬০ শতাংশ শ্রমিক পুরোপুরি ঘর থেকে কাজ করতে সক্ষম নন।কোভিড-১৯ মানুষকে নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করেছে। সংক্রামক এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে শুরু হয় বাড়ি থেকে কাজের চল। গুগল ও ফেসবুকের মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান এখন পাকাপাকিভাবেই ঘর থেকে কাজের সুযোগ দিচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কর্মী ঘর থেকে কাজ করতে অক্ষম। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিবর্তিত বাস্তবতায় কাজ করতে নতুন দক্ষতা রপ্ত করতে হবে। সব ধরনের কর্মীদের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য, বলছে ডব্লিউইএফ।

ফিউচার অব জবস বা ‘কাজের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের মতো উন্নত দেশের ৬০ শতাংশ শ্রমিক পুরোপুরি ঘর থেকে কাজ করতে সক্ষম নন।

তবে জরিপের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৪ শতাংশ লকডাউনের সময় ঘর থেকে কাজ করতে পেরেছেন। ২৪ শতাংশ কর্মী বর্তমান ভূমিকায় কাজ করতে পারেননি। ফোরাম বলছে, ঘর থেকে কাজ করার এবং করানোর প্রবণতা বাড়ছে। এতে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন কর্মীরা—নতুন ধরনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, ডিজিটাল সংযোগ, মানসিক ও পারিবারিক জটিলতা ইত্যাদি।

সারা পৃথিবীতেই কাজের ধরন বদলে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছে, সঙ্গে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যুক্ত হয়েছে কোভিড-১৯-এর ধাক্কা, ফলে অটোমেশন প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। শ্রমভিত্তিক বা একই ধরনের কাজ বারবার করার প্রয়োজন পড়ে, এমন কাজের প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশেও টানা করে যেতে হয় এমন প্রকৃতির কাজ হ্রাস পাচ্ছে, অর্থাৎ যেসব কাজে বিশ্লেষণী দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে না, সেই ধরনের কাজ। পাশাপাশি যাঁরা রুটিন কাজ করেন, তাঁদের আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। পক্ষান্তরে, অধিকতর দক্ষতাসম্পন্ন কাজের মজুরি বেড়েছে। ২০০৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে দেশে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে দেশের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর্মী এখনো মাঝারি দক্ষতার কাজে যুক্ত আছেন। আর উচ্চ দক্ষতার কাজে নিযুক্ত আছেন মাত্র ৮ দশমিক ৯ শতাংশ লোক।

এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েমা হক। তিনি বলেন, কোভিডের বাস্তবতায় শ্রমিকের পরিবর্তে অনেক কারখানাই অটোমেশন/ যান্ত্রিকীকরণের দিকে দ্রুত ঝুঁকছে। শ্রমবাজারের গতিপ্রকৃতি ইঙ্গিত দেয়, এই প্রবণতা ভবিষ্যতেও থাকবে। স্পর্শবিহীন কাজের চাহিদা বাড়ার ফলেও উৎপাদন ও সেবাকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, তাই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতির সময়ও কমে গেছে। নতুন উৎপাদনপ্রক্রিয়ার চাহিদা অনুযায়ী শ্রমশক্তিকে দ্রুতই প্রস্তুত করতে না পারলে বেকারত্বের হার বাড়তে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে শ্রমবাজারের নতুন চাহিদার সঠিক সমন্বয়ের জন্য প্রয়োজন কার্যকর নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন।

ডব্লিউইএফ বলছে, মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে শ্রমবিভাজনের কারণে ২০২৫ সাল নাগাদ পৃথিবী থেকে সাড়ে ৮ কোটি চাকরি হারিয়ে যেতে পারে। তবে এ সময়ে নতুন ভূমিকায় ৯ কোটি ৭০ লাখ কাজের চাহিদা তৈরি হতে পারে। সে জন্য বিদ্যমান কর্মীদের নতুন দক্ষতা রপ্ত করতে হবে।

ডব্লিউইএফ সম্পাদক গেইল মার্কোভিৎজ বলেন, লে-অফ বা অটোমেশন করে সাময়িকভাবে নিয়োগদাতারা কিছু টাকা বাঁচাতে পারেন। কিন্তু যাঁরা মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করেন, তাঁরা বোঝেন কর্মীদের নতুন দক্ষতা শেখানোর আর্থিক ও অনার্থিক সুবিধা কী।কর্মীদের দক্ষতা বাড়লে শেষ বিচারে প্রতিষ্ঠানই লাভবান হয়।

সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: অক্টোবর ২৮, ২০২০

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ