Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

প্রকৃতির ছাত্র

Share on Facebook

চলতি বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে কেউ এখন আর পিছিয়ে নেই, গতকাল যার চল ছিল তা অনেক কিছুই এখন অচলের খাতায় নাম লিখিয়েছে। আমাদের আজ শহরের মানুষের সাথে সংস্পর্শ না থাকলে পিছিয়ে পড়ার দলে নাম লেখাতে হয়। চলতি বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে গ্রামের ছায়া নীড় সবুজ সমারহো ত্যাগ করে শহর পানে মানুষ ছুটে আসছে। শহুরে জীবন ত্যগ করে কেউ আর গ্রামের ছায়া নীড়ে ফিরে যেতে চায় না, আর যাচ্ছেও না এটা এখন একটি প্রবনতা। বেশি বেশি করে শহুরে জীবনের দিকে দেশের নাগরিকদের এখন বড় ঝোঁক, নিজেই বহু দিন ধরে শহুরে জীবন যাপন করে চলেছি, অন্য নাগরিকগনও তাই করবেন এটাই স্বাভাবিক, তবে কতটা সময় আমাদের গ্রামে কাটানো দরবার মাঝে মাঝে তাই ভাবি।

ধরা যাক, শহুরে নাগরিক রফিক সাহেব ছয় তালার বারান্দায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে ঢাকা শহর দেখেন অবসরে। খুব ধীরে ধীরে শহরের একটি পরিবর্তন হচ্ছে তা তিনি লক্ষ্য করেন। দুই তালা বা চার তালা বাড়িগুলি ভেংগে ভেংগে সেখানে গড়ে উঠছে বহু তল ভবন। আর রফিক সাহেবের দৃষ্টি সীমা সংক্রচিত হচ্ছে খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। খুব আশ্বার্য মাঝে হয়ে যাচ্ছেন যখন দুরের জলাধার, সবুজ মাঠ যখন আর তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। রফিক সাহেবের মত আমাদেরও একই ভাবে দূরে তাকানোর দৃষ্টি সীমা ছোট্ট হয়ে আসছে।

গ্রামের ছায়া নীড় সবুজ সমারহো যা আমাদের পরাণ কাড়ে, সেখানেও কয়েক মাস পর পর বা ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে গ্রামে, গ্রামে মাঠে পরিবর্তন আসে প্রকৃতির সাথে মিল রেখে। মাঠে কখনো সবুজ, কখনো হলুদ কখনো বাদিমি বা কখনো থৈ থৈ পানিতে একাকার। আবার ফিরে যাওয়া সবুজ মাঠে।

মূল কথায় ফিরে আসি, শহুরে পরিবর্তনে আছে একঘেঁমিয়তা আছে বিরক্তি, হারিয়ে যাওয়ার শংকা, আমাদের গ্রামান্চলের জীবনে আছে বৈচিত্র আছে সজীবতা, আছে প্রান হয়তো সেখানে নেই নাগরিক সুবিধা, তাই প্রাণের টানে আমাদের মনে আর একটি নজীব প্রাণে ছোঁয়া পেতে বার বার আমাদের গ্রামে ছুটে চলা, আর যারা আঁকড়ে থাকছেন শহরে ভাবছেন পাট শাক শুধু শাক খাওয়ার জন্য, রশিতে শুটকি জন্মায়, তারা থাকুক আট্টলিকায়, নেটে, ডিসে আর কম্পিউটারের মনিটরে।

সহজ ও সরল একটি বিশ্বাসের সাথে গ্রামের মানুষদের বসবাস, প্রকৃতির অনেক কিছুর সাথে এখনও তাদের তাল মিলানো এখকনো তাঁদের অ-জানা বিশ্বায়নের এ যুগে কী তাদের চাহিদা বা চাওয়া-পাওয়া।

ছবিটি ভারতের, আগ্রায় যমুনা নদীর ঠিক তীর ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা তাজ-মহলের আংগিনার ছবি, যমুনা সীমানায় তাজ-মহলের দিকে নগর সভ্যতা আর নদীর ওপারে এখনও সবুজের সমারোহ শহুরের ছোঁয়া আসে নি। সেই আদি কাল থেকে শুধুই প্রকৃতির সাথে মিল, প্রকৃতির সাথে রঙ বদল, ঋতু বদলের সাথে সাথে।

যমুনার এ পারে তিন শত, চার শত বা ছয় শত বছর ধরে আর খুব ধীরে ধীরে আগ্রা শহরের একটি পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে, আর তা মাঠ, বাগান বদলিয়ে আজকের আগ্রা শহর। এই শহরের জীবনে যে ক্লান্তি আছে তা বেশ বলা যায়।

শহুরে জীবনটা আমাদের খুব দরকারি কিন্তু মন ক্লান্ত হয় বড় এখানে, মনে চাই সজীবতা তাই গ্রামের কথা কথা ভাবি।

গ্রামের মাঠের ধান থেকে চাল, সেই চাল দিয়ে ভাত খাওয়া, বিল নদীর মাছ খাওয়া, গরু ছাগল, মুরগীর মাংশ, শাক সবজ্বি খাওয়া।

মাঠের ফুল দিয়ে ঘর সাজানো, গাছের কাঠ দিয়ে আসবাব বানিয়ে ঘর সাজানো আর গ্রাম থাকবে আমাদের থেকে বহু দূরে !! এ সব ভাবা এক ধরনের অন্যায় হওয়ার কথা।

আমরা যারা শহুরে আমাদের প্রতিক ইটের মত আমাদেরকে কে বুঝাবে ! নিজেরাই বড় শিক্ষক নিজেদের।

আমরা যারা গ্রাম্য আমাদের প্রতিক কাদা মাটির মত আমাদেরকে বুঝানো যায়, সাজানো যায়, প্রকৃতির ছাত্র আমরা।

তারিখ জুলাই ০৭, ২০১৪

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ