Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৪% (২০২১)

Share on Facebook

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবার উচ্চ প্রবৃদ্ধির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরও বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সরকার জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের ‘মোড় পরিবর্তন: ডিজিটাইজেশন ও সেবানির্ভর উন্নয়ন’ শীর্ষক এই নতুন প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত ২০২০–২১ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ভবিষ্যতে এদেশের অর্থনীতি আরও চাঙা হবে। তবে এই চাঙা হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে, টিকা দেওয়ার গতির ওপর। সংস্থাটি বলছে, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, করোনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে যেসব আঘাত এসেছে, তা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে তাহলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়বে।

তবে সংস্থাটি মনে করে, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা কমতে পারে। আবার বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদাও কমতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হতে পারে মালদ্বীপের। দেশটির জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হলো ১১ শতাংশ। এর পরেই ভারতে সাড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থাকবে তৃতীয় স্থানে। সমষ্টিগতভাবে এই অঞ্চলে গড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, করোনায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে, কিন্তু পথ হারায়নি। এই সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে প্রবৃদ্ধির নতুন গতিপথ ঠিক করতে হবে। ইতিমধ্যে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা খাতের প্রসার হচ্ছে। তবে উৎপাদন খাত এখনো চাপে আছে।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময়) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক। সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে এখনো ঝুঁকি আছে। অর্থনীতির মোড় ঘুরানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তিনি এ–ও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অব্যাহত আছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা খাত প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিটি দেশেই শক্তিশালী নীতি–সহায়তা লাগবে। কারণ, এই খাতটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে।
টিকা দেওয়ায় বাংলাদেশ পিছিয়ে

বিশ্বব্যাংক মনে করে, গত দুই মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে টিকা কার্যক্রমে বেশ ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সাত নম্বর আছে। বাংলাদেশ শুধু আফগানিস্তানের আগে আছে। গত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হিসাবে, বাংলাদেশের প্রতি এক শ’ জনের মধ্যে ১৪ জন কমপক্ষে এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। অন্যদিকে ভুটান ও মালদ্বীপের ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে। ভারতের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে ১৫ শতাংশ মানুষ।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ অক্টোবর ০৭, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ