বিএনপির দাবি, আগামীকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ রয়েছে। ওই গণসমাবেশ বানচাল করতে ও বিপুল মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে ‘ষড়যন্ত্র’ করে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল ছয়টা থেকে খুলনায় দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ২৩ অক্টোবর সকাল ছয়টা থেকে গণপরিবহন চালু হবে।
খুলনায় দুই দিনের ‘পরিবহন ধর্মঘটের’ কারণে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। খুলনায় কোনো গাড়ি প্রবেশ ও খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটে গাড়ি ছেড়ে না যাওয়ায় ইজিবাইক, ভ্যানে করে যাতায়াত করছেন অনেকেই। সেগুলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন। এর মধ্যে আজ সকালে নগরের সোনাডাঙ্গা আন্তজেলা বাস টার্মিনাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ক্রিকেট খেলছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। বিভিন্ন রুটের বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা আছে।
গত বুধবার সকালে খুলনা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস মালিক সমিতির বৈঠকের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধভাবে নসিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রশাসন যদি সড়কে ওই অবৈধ যান চলাচল ও কাউন্টার বন্ধ না করে, তাহলে পরবর্তী দুই দিন ২১ ও ২২ অক্টোবর মালিক সমিতির সব রুটের গাড়ি বন্ধ থাকবে।
খুলনা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি হলেন মো. মিজানুর রহমান। তিনি খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের খুলনা মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:অক্টোবর ২১, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,