আফগানিস্তানে বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় দেশটি থেকে পালানোর চেষ্টারত লোকজন সীমান্তগুলোতে গিয়ে জড়ো হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর ব্যাংক, হাসপাতাল ও সরকারি প্রশাসন সচল রাখায় মনোনিবেশ করছে তালেবান। এর মধ্যেই বুধবার ব্যাংকগুলোতে লম্বা লাইন দেখা গেছে। খবর রয়টার্সের।
এখন কাবুল বিমানবন্দর অকার্যকর থাকায় যেসব আফগানরা তালেবানের প্রতিশোধের শঙ্কায় আছেন তাদের নিরাপদে সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ায় সহায়তা করতে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। চারদিকে স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরান, পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সীমান্ত রয়েছে।
খাইবার গিরিপথের পূর্ব পাশে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং তোরখামে একজন পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলেন, “আফগানিস্তানের পাশে বিপুল সংখ্যক লোক সীমান্তের গেইট খোলার অপেক্ষায় আছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যে থাকা ইসলাম কালা সীমান্ত পোস্টেও কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে।
সোমবার এক প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যারা আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করছে তাদের নিরাপদে দেশটি ছাড়ার অনুমতি দিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে প্রস্তাবে কোনো ‘সেইফ জোন’ তৈরির কথা বলা হয়নি, যার পক্ষে ছিল ফ্রান্স।
আফগানিস্তানে গত ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের সময় যারা বিদেশি বাহিনীগুলোর সঙ্গে কাজ করেছেন তাদের সবার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে তালেবান। তালেবান নেতারা মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আফগানদের দেশে ফিরে পুনর্গঠনে সহায়তা করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: সমকাল।
তারিখ: সেপ্টম্বর ০১, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,