Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

প্রবাসী আয়ে ৭ম স্থানে থাকবে বাংলাদেশ (২০২১)

Share on Facebook

বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপ-নোম্যাড

২০২১ সালে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হবে। তবে প্রবৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে আসবে। এক প্রতিবেদনের পূর্বাভাস, এ বছর দেশে প্রবাসী আয় আসবে ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। তাতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬ শতাংশের মতো। তাতে প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের স্থান হবে সপ্তম। ২০২০ সালে একই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ৭ম স্থানে ছিল।

এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাবে ভারত ৮৭ বিলিয়ন ডলার। এরপর ৫৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে চীন। একই পরিমাণ প্রবাসী আয় পাবে মেক্সিকো। এ বছর পাকিস্তানে প্রবাসী আয় আসবে ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বব্যাংক ও নোম্যাডের যৌথ প্রতিবেদন ‘কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার: আয়নায় অভিবাসন’-এ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় অভিবাসনের সম্ভাব্য অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সোয়া কোটির মতো প্রবাসী ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১.৭৪ বিলিয়ন) ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে পাঠিয়েছিলেন ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

তবে চলতি বছর টানা কয়েক মাস দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমেছে। এতে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা অনেকটাই সত্যি প্রমাণিত হতে শুরু করেছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাসী আয়ে ভাটার টান লক্ষ করা যাচ্ছে। জুলাই মাসে এসেছে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্ট মাসে আসে ১৮১ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার আর অক্টোবর মাসে আসে ১৬৪ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৭০৫ কোটি ৫০ লাখ (৭.০৫ বিলিয়ন) প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৮৮১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ হিসাবে এই চার মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ২০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক নেওয়ার হার কমে গেছে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে সৌদি আরব ১২ শতাংশ কম কর্ম ভিসা দিয়েছে। সেই একই সময়ে ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা প্রাপ্তি কমেছে ১৫ শতাংশ গত বছরের একই সময়ের তুলনায়। মালয়েশিয়ায় কয়েক বছর ধরেই চলছে ধরপাকড়। তার সঙ্গে আরও বড় শঙ্কার কারণ হলো, করোনার শুরুতে যে প্রবাসী শ্রমিকেরা দেশে ফিরে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক এখনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেননি। সবকিছুই মূলত নির্ভর করছে গ্রহীতা দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ওপর, যা আবার নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের প্রকোপের ওপর। শঙ্কার কথা হলো, ইউরোপে এখন করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এরপর তা যদি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা হবে অনেকটা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। এটাই এখন বিশ্লেষকদের প্রধান শঙ্কা।

বাংলাদেশ থেকে মূলত অদক্ষ শ্রমিকেরা বিদেশে কাজ করতে যান। সে কারণে তাঁদের মজুরিও কম। প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, বর্তমানে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশি কায়িক শ্রমিকদের গড় মাসিক মজুরি ২০৩ ডলার। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানি শ্রমিকদের মজুরি ২৭৬ ডলার, ভারতীয়দের ৩৯৬ ডলার, ফিলিপাইনের শ্রমিকদের ৫৬৪ ডলার ও চীনা শ্রমিকদের মজুরি ৫৩৩ ডলার। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বৃদ্ধি করতে দক্ষ শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানোর হার বাড়াতে হবে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

শীর্ষ ১০ দেশের প্রবাসী আয় তালিকা: বিলিয়ন ডলারে।
ভারত: ৮৭
চীন: ৫৩
মেক্সিকো: ৫৩
ফিলিপাইন: ৩৬
পাকিস্থান: ৩৩
মিশর: ৩৩
বাংলাদেশ ২৩
নাইজারিয়া: ১৮
ভিয়েতনাম: ১৮
উইক্রেন:১৬

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ নভেম্বর ২০, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ