Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বড় ব্যবসায়ীরা বিদেশে যায়, সঙ্গে টাকাও চলে যায় (২০২১)

Share on Facebook

বড় ব্যবসায়ীরা বিদেশে যায়, সঙ্গে টাকাও চলে যায় – পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

দ্বিতীয় প্রণোদনা তহবিলের কথা আসছে। নতুন করে তহবিলের ঘোষণা দিলে সেটিও কি আগের মতো ব্যাংকের ঋণনির্ভর হবে? তবে ছোটদের কাছে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই ব্যাংকের বাইরেও ভাবতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বেশ জোরালোভাবেই এ কথা বলছেন। বাংলাদেশের জন্য কোনটা ভালো? সর্বাত্মক লকডাউন নাকি ঢিলেঢালা? অর্থনীতির জন্য কোনটা ভালো? ঢিলেঢালা লকডাউন নাকি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি? লকডাউন এক সপ্তাহের নাকি দুই সপ্তাহের? অনেক প্রশ্ন? আসলে অর্থনীতির মানুষেরা কী চান? কী তাঁদের বিশ্লেষণ? নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ, উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী—এ নিয়ে মতামত দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

বড় ব্যবসায়ীদের প্রণোদনার টাকা দেওয়ার চেয়ে তুলনামূলক ছোটখাটো খাতে যারা কাজ করে, তাদের টাকা দেওয়া অনেক ভালো। কারণ, এদের টাকা দেশের বাইরে যাবে না। দেশের ভেতরেই ঘুরপাক খাবে। মুড়ির জন্য টাকা দিলে হয়তো মুড়ির পেছনে খরচ হবে না। হয়তো মেয়ের বিয়ে দেবে। ঘর–সংস্কার করবে। তবু টাকাটা দেশের ভেতরেই থাকবে। বাজারও চাঙা হবে। এরা পালিয়ে যাবে না। অন্যদিকে বড় ব্যবসায়ীর টাকা বাজার চাঙা করে না। তাদের তো বিদেশে যাওয়ার পথ আছে। নিজেও চলে যায়। টাকাও চলে যায়। এবার যদি প্রধানমন্ত্রী কোনো প্রণোদনা দেন, তাহলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দেওয়া উচিত।

তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে প্রণোদনার টাকার শতভাগ স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। আপনাদের মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও প্রণোদনার টাকায় অনিয়ম হয়েছে। সেখানে মৃত মানুষের নামে চেক ইস্যু হয়েছে। ইংল্যান্ডেও হয়েছে। তাদের তুলনায় তো আমরা অনেক দুর্বল দেশ। এটা মানতে হবে, করোনা সংক্রমণের পর গত এক বছরে আমাদের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় দায়িত্ববোধ বেড়েছে।

দ্বিতীয় দফায় লকডাউন দেওয়া নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। যাঁকে (প্রধানমন্ত্রী) সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাঁর জন্য বিষয়টা বেশ কঠিন। এক অজানা–অদেখা–অচেনা সম্পূর্ণ বায়বীয় ভাইরাস আমাদের সংক্রমণ করছে। আমরা বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ নই। আপনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর দিকে তাকান। ওই সব উন্নত ও প্রাচীন দেশগুলোতেও লকডাউন দিয়ে হিমশিম খেয়েছে। আমি যুক্তরাষ্ট্রে দেখেছি, সেখানে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা পারেনি।

লকডাউন নিয়ে আলোচনা হবে, সমালোচনা হবে। লকডাউনের বিকল্প ছিল না। দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের আক্রমণ আমাদের ওপর এসেছে। এটা ছিল অপ্রত্যাশিত। অকল্পনীয়। অচিন্তনীয়। আমাদের সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বাস্তবতা আমাদের লকডাউন দিতে বাধ্য করেছে।

কিন্তু মানুষ লকডাউন মানছে কোথায়? মানার কোনো লক্ষণই নেই। এই দেশের সাংস্কৃতিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আধুনিক প্রজাতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রয়োগ এটা কেউ পারবে কি না সন্দেহ আছে। এই মুহূর্তে পারা যাবে না। আরও দীর্ঘ পথ যেতে হবে।
আমি মনে করি, লকডাউনের কারণে অর্থনীতি বন্ধ হবে না। তবে বিশাল একটা ধাক্কা খাবে। লকডাউন একটা প্রতিক্রিয়া। যদি করোনাভাইরাসে সংক্রমণে উন্নতি না দেখি তাহলে আমাদের আরও কঠিন করতে হবে। এটা দমন করতেই হবে। দ্বিতীয় ধাক্কার পর তৃতীয় ধাক্কা যে আসবে না তার নিশ্চয়তা নেই। এরই মধ্যে কোনো কোনো বিজ্ঞানী করোনার তৃতীয় ধাক্কার কথাও বলেছেন। আবার কেউ কেউ প্রতিবছর টিকা দেওয়ার কথাও বলছেন। প্রতিবছর দেশের কোটি কোটি মানুষকে টিকার ব্যবস্থা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব?

প্রণোদনার টাকা সবচেয়ে বেশি পাওয়ার প্রয়োজন হলো যাদের একদম কিছুই নেই। কিন্তু তাদের কাছে আমরা প্রণোদনার টাকা পৌঁছাতে পারি না। কারণ দুটি। এক, তাদের রাজনৈতিক শক্তি নেই। দুই, তাদের কণ্ঠস্বর নেই। তারা অপরিচিত। প্রধানমন্ত্রী চান, ওই সব মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে। কিন্তু কীভাবে? আমাদের যে সিস্টেম মাঠে আছে—ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যাঁরা তৃণমূলে আমাদের পক্ষে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের মানুষের কোনো যোগাযোগই নেই।

আমরা চেষ্টা করছি, ছোট ছোট খাতে যারা ব্যবসা করছে তাদের কীভাবে সাহায্য করা যায়। তাদের এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তালিকায় নাম নেই। ব্যাংকের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগই নেই। তাদের যোগাযোগ আছে গ্রামীণ মহাজন ও এনজিওর সঙ্গে। আমরা যে কম সুদে কোটি কোটি টাকা দিলাম; কিন্তু গরিবদের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, ওষুধশিল্পের সঙ্গে যেসব শ্রমিক আছে তাদের তালিকা আছে। কিন্তু বাকি শ্রমিকদের তো কোনো তালিকা নেই। তাদের পক্ষে বলার কেউ আছে? আমাদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। করোনা যদি না যায় তাহলে কতবার সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে?

লেখক: এম এ মান্নান, পরিকল্পনামন্ত্রী
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: এপ্রিল ১৯, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ