Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

মাদক চোরাচালানের তিনটি অঞ্চলের কেন্দ্রে বাংলাদেশ (২০২২)

Share on Facebook

লেখক:আহমদুল হাসান।

মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ মাদকের বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এশিয়ার গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল, গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ওয়েজ নামে পরিচিত মাদক চোরাচালানের তিনটি প্রধান অঞ্চলের কেন্দ্রে বাংলাদেশের অবস্থান। তাই আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিরাও বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে সহজে ব্যবহার করতে পারছেন।

বাংলাদেশে মাদক আসার পথ (রুট) নিয়ে গবেষণা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। সেখানে তিনটি অঞ্চলের মধ্যে আছে মিয়ানমার, লাওস ও থাইল্যান্ডের সীমানা মিলে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল। এটি বাংলাদেশের পূর্বে অবস্থিত। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সীমানা রয়েছে। মাদক উৎপাদন ও চোরাচালানের পথ হিসেবে ইরান, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানকে একত্রে বলা হয় গোল্ডেন ক্রিসেন্ট। এই অঞ্চল বাংলাদেশের পশ্চিমে। আর গোল্ডেন ওয়েজ হচ্ছে ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, নেপাল ও ভুটানের কিছু অংশ। এই অংশ বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত।

এ তিন অঞ্চলের কেন্দ্রে থাকা বাংলাদেশের ওপর চার দশকের বেশি সময় ধরে মাদক কারবারিরা চোখ রাখছেন। শুরুর দিকে চোরাচালানির তালিকায় হেরোইন ও ফেনসিডিলের আধিক্য থাকলেও পরবর্তী সময়ে অন্য মাদকও যুক্ত হতে থাকে। এর মধ্যে গত এক দশকে দেশে ইয়াবার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। আর ইয়াবা তৈরির মূল উপাদান মেথঅ্যাম্ফিটামিন আসছে বছর দুই ধরে।

বাংলাদেশে মেথঅ্যাম্ফিটামিন আইস বা ক্রিস্টাল মেথ নামে পরিচিত। ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ ও ‘গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’ অঞ্চলে এ আইসের উৎপাদন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মূলত ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উৎপাদন বৃদ্ধির এ প্রবণতা ব্যাপক। বিশ্বে আইসের যে বাজার তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে এ দুটি অঞ্চল অন্যতম। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের অন্তর্ভুক্ত মিয়ানমার যে ছয়টি দেশের বাজার সামনে রেখে আইস উৎপাদন করছে, এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে বলে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক সংস্থা ইউএনওডিসির সর্বশেষ বৈশ্বিক মাদক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দুই বছর ধরে দেশে আইসের চালান আসছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বলছে, গত বছর অভিযানে আইসের ২২টি চালান জব্দ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে এ মাদকের বাজার ঢাকা ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। ইয়াবার মতোই এটি সারা দেশে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আইস বা ক্রিস্টাল মেথ ইয়াবার চেয়েও ভয়ংকর মাদক। কারণ, ইয়াবা তৈরির মূল উপাদান মেথঅ্যাম্ফিটামিন হলেও ইয়াবায় মেথঅ্যাম্ফিটামিন থাকে মাত্র ১৫ শতাংশ। আর আইস বা ক্রিস্টাল মেথের ৯৬ শতাংশই এ মেথঅ্যাম্ফিটামিন। এটি দেখতে স্বচ্ছ কাচের (ক্রিস্টাল) মতো। এ মাদক সেবনে নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিভ্রম, মস্তিষ্কবিকৃতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে এ মাদক সেবনে ওজন হারানো, কিডনি ও হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা এবং বিষণ্নতা ও স্ট্রোকের মতো বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।

বাংলাদেশ যেহেতু মাদক চোরাচালানের তিন প্রধান অঞ্চলের কেন্দ্রে, তাই আন্তর্জাতিক মাদক চক্র এ দেশে সক্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা ও নাইজেরিয়ান চক্র বেশি সক্রিয়। তারা বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার করছে। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইয়াবার তিনটি কারখানার তথ্য পায় ডিএনসি। গত অক্টোবরে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ভারতকে এসব কারখানার তালিকাও দিয়েছে সংস্থাটি। ওই বৈঠকে কর্মকর্তারা ভারতকে জানিয়েছেন, কয়েকটি রাজ্য হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা ও আইস আসছে। এ কাজে ভারতীয় সমুদ্রপথকেও ব্যবহার করছেন মাদক পাচারকারীরা। এ বৈঠকে ভারত থেকে নানা নামে ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা ও ব্যুপ্রিনরফিন ইনজেকশনের মতো মাদক আসছে বলেও তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশ।

আশির দশকের শুরু থেকেই ভারতীয় সীমান্ত এলাকার কারখানায় ফেনসিডিল উৎপাদন করে বাংলাদেশে পাঠানো শুরু করেন মাদক কারবারিরা। এ কারণে তখন থেকেই দেশে ফেনসিডিল সহজলভ্য হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এখনো তেমন আছে। ডিএনসির আশঙ্কা, এখন ইয়াবা যদি ভারতে তৈরি হয়, সেটা হবে বাংলাদেশের জন্য চরম উদ্বেগের।
এশিয়ায় আইসের বিস্তার

আইস আগে উত্তর আমেরিকার দেশে উৎপাদিত হতো। ২০১৫ সাল পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা ছিল আইসের মূল উৎপাদনকারী অঞ্চল। কিন্তু সেই উত্তর আমেরিকার দেশ ছাড়িয়ে তা এখন এশিয়াতেও উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আইস ল্যাব স্থাপনের প্রবণতা বেড়েছে। এ দেশগুলোর মধ্যে ইরান, চীন, আফগানিস্তান ও মিয়ানমারে আইসের উৎপাদন বাড়ছে। পাশাপাশি এশিয়ায় আইসের বড় বাজারও তৈরি হয়েছে।

বিশ্বে যেসব আইসের ল্যাব পাওয়া গেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তর আমেরিকার তিনটি দেশে। ইউএনওডিসির প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালে খোঁজ পাওয়া ল্যাবের মধ্যে ৫৬ শতাংশই (৮৯০টি) উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোপন ল্যাবের খোঁজ পাওয়া যায়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইরানের গোপন ল্যাবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আইসের ১০ শতাংশ আফগানিস্তানে পাচার করা হতো। এখন আফগানিস্তানেও তা উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১৯ সালের মে মাসে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে ৬৮টি আইস ল্যাব ধ্বংস করা হয়।

গত বছরের অক্টোবরে লাওস পুলিশ একটি ট্রাক আটক করে ৫ কোটি ৫০ লাখ ইয়াবা বড়ি ও ১ দশমিক ৫ টন আইস জব্দ করেছে বলে ইকোনমিস্ট–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এর এক সপ্তাহ আগে দেশটির পুলিশ একই এলাকায় দুটি অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করে। লাওসের ওই সীমান্ত অঞ্চলটি গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নামেও পরিচিত। মিয়ানমারের শান প্রদেশ থেকেই লাওসে এসব চালান পাচার করা হয়।
মিয়ানমার নিয়েই বেশি শঙ্কা

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, লাওস, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের বাজার লক্ষ্য করে আইস তৈরি করছে মিয়ানমার। শুধু এসব দেশ নয়, ইউএনওডিসি আরও বলছে, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াতেও আইসের বাজার তৈরির চেষ্টা করছে মিয়ানমার।

গত বছর দেশে ৩০ কেজির বেশি আইস জব্দ করা হয়। এগুলোর উৎস মিয়ানমার। ইয়াবার রুট ধরেই দেশে আইসের চালান আসছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ফরেনসিক ল্যাবে ২২ বছর ধরে মাদক পরীক্ষা–নিরীক্ষা ও গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন ডিএনসির প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুই বছর ধরে আইসের চালান বেশি আসছে। তাঁর আশঙ্কা, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে ইয়াবার মতোই আইসের বিস্তার ঘটতে পারে।

মূলত মিয়ানমার থেকে স্থল ও সমুদ্রপথে এ দেশে মাদক আসে। এত দিন এ পথেই ইয়াবা আসত। ইয়াবার বিস্তার সামাল দিতেই সংশ্লিষ্টদের হিমশিম অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে ইয়াবার চেয়ে ভয়ংকর মাদক আইস আসছে, যা নতুন উদ্বেগের কারণ। এখনই তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আরও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ডিএনসির কর্মকর্তারা। তাঁরা মিয়ানমার থেকে মাদক আসার ১৫টি পথও চিহ্নিত করেছেন।

মাদকসংক্রান্ত বিষয়ে ভারত, মিয়ানমার ও ইরান ছাড়া আর কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ নেই। ইউএনওডিসি বিভিন্ন সময় সভা-সেমিনারের আয়োজন করলে সেখানে আঞ্চলিক দেশগুলো তাদের মাদক পরিস্থিতি তুলে ধরে। তখন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএনসির উপপরিচালক (অপারেশনস) বজলুর রহমান।

মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ইয়াবা ও আইস আসার বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তবে বাস্তবে মিয়ানমার মাদক নিয়ন্ত্রণে কতটা আন্তরিক, সেটা ভাববার বিষয়—এমনটাই জানিয়েছেন ডিএনসির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজুল ইসলাম।

ভৌগোলিকভাবেও বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে উল্লেখ করে আজিজুল ইসলাম বলেন, মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন বছর থেকে তিন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে ডিএনসি। এগুলো হচ্ছে ব্যাপক আকারে সাধারণ মানুষকে মাদকের বিষয়ে সচেতন করতে প্রচার–প্রচারণা; মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নতুন কৌশলে অভিযান এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসার মাধ্যমে পুনর্বাসন করতে বিশেষ উদ্যোগ।

সীমান্ত পেরিয়ে আসছে মাদক

গত তিন বছরে আইস ছাড়াও দেশে কয়েক ধরনের অপ্রচলিত মাদক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফেনইথাইলামিন (দেখতে কোকেনের মতো), এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড), ডায়মিথাইলট্রিপ্টামাইন বা ডিএমটি, ম্যাজিক মাশরুম এবং খাত (ইথিওপিয়ার উঁচু ভূমিতে জন্মানো একধরনের উদ্ভিদের পাতা)। খাত ছাড়া বাকিগুলো কৃত্রিম মাদক। দেশের সীমান্তবর্তী প্রায় ৩২টি জেলা দিয়ে প্রচলিত-অপ্রচলিত মাদক আসছে।

দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাদক উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে আকাশ, স্থল ও নৌ যোগাযোগ অনেক সহজ। আর বাংলাদেশ ট্রানজিট হওয়ার কারণে পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমার থেকে সহজেই মাদক আসছে। দেশের তিন দিকে ভারতের সীমান্ত থাকার কারণেও অনায়াসে মাদক আসছে। মাদক চোরাচালানের পথ নিয়ে ডিএনসির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য মাদক কারবারিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে মাদক পাচারে সহায়তা করে। এ কারণে মাদক কারবারিরা কোনো ভয় ছাড়াই মাদক পাচার করতে পারছে।

কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে নানা কৌশলে চোরাকারবারিরা ইয়াবা ও আইস নিয়ে আসছেন। তবে মাদক প্রতিরোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদি হোসাইন কবির।
মাদকের বাহক নারী ও শিশু, আসক্তিতে তরুণেরা

ডিএনসির এক গবেষণার তথ্য বলছে, দেশের প্রায় ১০ লাখ মানুষ মাদক কারবারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এর মধ্যে মাদক পাচারে এক লাখ নারী ও শিশুকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যেসব নারী ও শিশুকে মাদকের বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই দরিদ্র। সামান্য অর্থের বিনিময়ে তাদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর মাদকাসক্তদের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগই তরুণ। তাঁদের অধিকাংশ আবার শিক্ষার্থী।

মাদকে তরুণ বয়সীরা বেশি ঝুঁকছেন। এতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁদের স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি লেখাপড়ায় ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে মাদকের বিস্তার ঘটতে থাকলে মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ ধীরে ধীরে কমে আসবে। সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসার ঘটবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে মাদক নিয়ে গবেষণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশঙ্কা।

মাদকবিষয়ক গবেষক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম ইমদাদুল হক মনে করেন, ‘মাদক চোরাচালানে বহুমাত্রিকতা এসেছে। চোরাচালানকারীরা এখন “ডার্কওয়েব” ব্যবহার করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে কোনো ধরনের তথ্য পাচ্ছে না। লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বিটকয়েন। এ কারণে মাদক চক্রকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। মাদক কারবারিরা যে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করছেন, সে অনুযায়ী আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা নেই। সক্ষমতা অর্জনে উদ্যোগ না নিলে দেশে আরও বেশি মাদকের ঝুঁকি তৈরি হবে।’

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ জানুয়ারী ০৬, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ