Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

যে কোনো সময় পতন, ধ্বংস হতে পারে বাংলাদেশ: জি এম কাদের (২০২৩)

Share on Facebook

বাংলাদেশ এখন এক ভয়াবহ দুরবস্থার মধ্যে আছে। আগে গর্তের মধ্যে ছিল। এখন বিশাল খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো সময় পতন হতে পারে। বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

রবিবার মুন্সিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের বলেন, সরকারের কাছে কোনো বিদেশি মুদ্রা নেই। যেটা দেখানো হচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর কথা সরকার বলছে, সেটা যদি সত্যিও হয়, তারচেয়ে অনেক বেশি ঋণ বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয়েছে। তার সুদ, আসল সব শোধ করতে গেলে এবং ডেফার্ড পেমেন্টে যেসব জিনিসপত্র আনা হয়েছে সেগুলো শোধ করতে গেলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার করে বাকিতে, অনুনয়-বিনয় করে এনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।

দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়দিন আগে বড় বড় কথা বলেছিলাম। বিশ্বব্যাংক নাকি খারাপ।

(এখন) বিশ্বব্যাংকের কাছে যাচ্ছি, আইএমএফ এর কাছে যাচ্ছি। তাদের কাছে দেন দরবার করছি। তারা কিছু অর্থ দিয়েছে কিংবা ভবিষ্যতে দেবে বলেছে…নইলে সরকার মৃত হয়ে যেতো এতোদিনে। সম্পূর্ণভাবে তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশের মধ্যে দেশীয় মুদ্রাও সরকারের হাতে নেই। দেশের ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে দিয়ে লুন্ঠন করা হয়েছে, হাজার হাজার নয়, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এখন ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। সরকার গলায় গামছা দিয়েও মানুষের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করতে পারছে না।

দেশে বেকারত্ব এখন বড় সমস্যা মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছে না। সরকার মানুষের দিকে দেখছে না। কিন্তু, নিজেরা ধার করে হলেও ঠিকই খরচ করছে, উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট করছে। তারা বলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকাতেই নাকি দেশ স্থিতিশীল আছে, দেশের গণতন্ত্র আছে, দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে! উন্নয়ন কি হয়েছে সেটা আপনারা দেখেছেন, আমরাও দেখেছি।

সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিভিন্ন চিত্র তথ্য সহকারে তুলে ধরে জি এম কাদের বলেন, শতভাগ বিদ্যুতের উৎসব করলেও এখন যখন বিদ্যুৎ নেই তখন বলছে- আমাদেরতো অর্থ নেই, বিদ্যুতের জন্য কয়লা বা তেল কেনার অর্থ নেই। তাহলে এই প্ল্যান্টগুলো কি করেছিলেন জনগণকে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য? টাকা বানানোর জন্য। এই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশের ব্যাংকে জমা করা হয়েছে।

ঋণের টাকায় পদ্মাসেতু করা হয়েছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, পদ্মাসেতুর প্রাক্কলিত ব্যয় ১০ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। লোন নেন নাই বলছেন! সেটা লোনের টাকায় করেছেন। বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প লোনের টাকা ছাড়া হয় না। বাংলাদেশের বাজেট হলো ঘাটতি বাজেট। পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের লোন নেন নাই। কারণ, বিশ্বব্যাংক বলেছে, টাকা নিলে চুরি করতে পারবে না। টাকা নিলে হিসাব আমরা রাখবো। হিসাব রাখলে আমাদের কোনো অসুবিধা আছে?

একতাবদ্ধ জাতির মধ্যে বিভিন্নভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিভাজন সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটি হলো কে আওয়ামী লীগ আর কে আওয়ামী লীগ না। আওয়ামী লীগ করলে সকল সুযোগ সুবিধা আর না করলে কিভাবে গলা কাটা যায় সেই চেষ্টা। আরেকটি বিভাজন হলো- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। জি এম কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বর্তমানে তারা যা করছে তা হলো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা।

নির্বাচনে পুলিশের প্রার্থী কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর পুলিশতো তাহলে একই দল করে।

সূত্র:মানবজমিন।
তারিখ: জুন ১৯, ২০২৩

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ