Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া – পর্ব – ১ (আপনি বস) সংগ্রহিত -৩

Share on Facebook

আপনি বস।
আপনি বস। বলছি না, এর মানেই হলো অফিসের সবচেয়ে আরামের চেয়ারটা আপনার দখলে। বসেরও বস আছে! আপনি হয়তো অফিসের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তা নন, কিন্তু আপনার তত্ত্বাবধানে কাজ করে এক দল কর্মী। তাঁদের কাছে ব্যক্তি হিসেবে ‘আপনি’ কেমন? কর্মীরা কি বস হিসেবে আপনাকে পেয়ে খুশি? নাকি মাঝরাতে আপনি তাঁদের দুঃস্বপ্নে হানা দেন?
এমনও হতে পারে, এসব প্রশ্ন আপনার কাছে একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। কর্মীরা কে কী ভাবল, তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি বোঝেন কেবল কাজ, ‘ডেডলাইন’, ‘প্রফিট’, ‘পারফরম্যান্স’, ‘উপস্থিতি’…এসব। তাহলে বস, আপনার জন্য দুঃসংবাদ। আপনি ইতিমধ্যেই ‘মন্দ বস’ হয়ে বসে আছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিষ্ঠানের সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকখানি নির্ভর করে কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর। ভালো মানুষ মাত্রই ভালো বস, কাজ জানেন মানেই তিনি নেতৃত্ব দিতে জানেন—এমনটা নয়।

বিল গেটস একবার মজা করে বলেছিলেন, ‘স্কুলে তোমার শিক্ষককে যদি খিটমিটে মনে হয়, কর্মক্ষেত্রে বসের সঙ্গে দেখা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করো!’ সত্যিই কি তাই? বসের সঙ্গে স্কুলশিক্ষকের মিল খুঁজে পান বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক রুবিনা খানও। বলছিলেন, ‘স্কুলে অনেক টিচার পড়াটা ভালোমতো না বুঝিয়েই বকাঝকা শুরু করতেন। তখন মনে হতো সব যদি বুঝতামই, তবে তো আর স্কুলে পড়তাম না। কর্মক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সে রকম। অনেক বস ভাবেন, কর্মীরাও তাঁর মতো করেই সবটা জানবে, বুঝবে। তিনি জানেন বলেই তিনি অমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছেন। কর্মীরা তাঁর মতো বুঝবে না, এটাই তো স্বাভাবিক।’ একটু অন্য দৃষ্টিভঙ্গির কথাও বলছিলেন তিনি। ‘প্রথম দিকে আমার একজন বসকে ভালো মনে হতো না। কিন্তু তাঁর চাপে পড়েই অনেক কাজ শিখেছি। এখন বুঝি, বস হিসেবে তিনি চমৎকার ছিলেন।’

বিজনেস ইনসাইডার, টাইম ম্যাগাজিন ও হিউম্যান রিসোর্স ডটকমের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে ‘খারাপ বস’-এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য। নিজের সঙ্গে একঝলক মিলিয়েই দেখুন!
. খারাপ বসের প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে তিনি কর্মীদের প্রশংসা করতে জানেন না। উৎসাহ দেওয়াটা তাঁর অভ্যাসে নেই। . প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের কথা বলতে গেলে তিনি ‘আমি’ শব্দটা ব্যবহার করেন। আবার ব্যর্থতার কথা বলতে গেলে ‘আপনাদের’ বা ‘তোমাদের’ ব্যবহার করতে ভুল হয় না। যদি কর্মীকে তাঁর প্রাপ্য কৃতিত্বটুকু দিতে না জানেন, তার মানে বস হিসেবে আপনি কম খারাপ নন!

. বস সব সময় ঠিক, এমনটা নয়। কর্মীদের মতামতও যৌক্তিক হতে পারে। সব সময় টেবিলের এক প্রান্তে বসে বস কথা বলবেন আর অন্যরা মাথা দোলাবে, এটাও দুর্বল নেতৃত্বের লক্ষণ। আপনি যদি চান কর্মীরা প্রতি মুহূর্তে আপনার ভয়ে থরকম্প হয়ে থাকুক, তাতে আখেরে কাজেরই ক্ষতি হবে। ‘কর্মীরা আমার মতো করে ভাববে, কাজ করবে, আমার পছন্দটাই পছন্দ করবে, আমার অপছন্দে সায় দেবে’—এমন ভাবাটা মন্দ বসের বৈশিষ্ট্য।

. ক্রমাগত সিদ্ধান্ত, লক্ষ্য, দৃষ্টিভঙ্গি বদলও কর্মীদের কাছে আপনাকে অজনপ্রিয় করে তুলবে। আপনি কী চান আর কী চান না, সেটা নির্দিষ্ট করে না বলে শুধু অধস্তন কর্মীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমনটা ভাবা ভুল।

. একজন খারাপ বস কখনো কর্মীকে ‘বড় হওয়ার’ সুযোগ দেন না। কর্মীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চান না। পরিবার, স্বজনের খোঁজখবর নেন না।
. পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ খারাপ বসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি অফিসে আত্মীয় কিংবা কাছের মানুষদের অগ্রাধিকার দেন, ভুল করলেও ছাড় দেন। সব কর্মীর প্রতি তাঁর আচরণ সমান হয় না। অনেকে নারী কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে দুর্বল মনে করেন। আবার উল্টোটাও হয়। অনেক পুরুষ বস নারী কর্মীদের প্রতি কিছুটা ‘বাড়তি আগ্রহ’ দেখান। এসবও বসকে অপছন্দ করার কারণ হতে পারে।
. প্রতিষ্ঠানের বাইরে দেখা হলে এড়িয়ে যাওয়া, প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা না করা, যখন তখন এমনকি ছুটির দিনেও ফোনে তটস্থ রাখা, সব সময় ধমকের ওপর রাখা কিংবা কথার গুরুত্ব না দেওয়া—এসবও মন্দ বসের লক্ষণ।

April 22, 2015

কার্যকরী ও দক্ষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা বস হতে হলে অধস্তন কর্মীদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত উচ্চ মাত্রার ফলাফল অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে। খুব কমসংখ্যক প্রতিষ্ঠানই একজন বসের লোকবল ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। ফলে অনেক বসই তাঁদের দল পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। বসদের আরও কার্যকরী ও দক্ষ হওয়ার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে।
. প্রত্যেক বসকে নিজের সফলতার সঙ্গে কর্মী পরিচালনার ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করলে নিজের প্রকৃত অবস্থা অনুধাবন করা সম্ভব।
. কর্মীদের কাছ থেকে শোনার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, সে জন্য কর্মীর কাছ থেকেই সম্ভাব্য সমাধান বের করে আনতে হবে।
. নিয়মিত কর্মীর কাজের ফলাফল পর্যালোচনা করা এবং সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ফিডব্যাক কর্মীকে জানানো। এটি অবশ্যই সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। একজন বস কর্মীদের শক্তিশালী দিকগুলো পর্যালোচনা করে সেভাবে বিভিন্ন কাজ ও দায়িত্ব বণ্টন করে থাকেন।
. কর্মীকে তাঁর অর্জনের জন্য প্রশংসা করা শিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশংসাপত্র, সনদ বা যেকোনো ধরনের মৌখিক স্বীকৃতি কর্মীকে অনেক উদ্দীপ্ত করে থাকে।
. বস হিসেবে কর্মী উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের জন্য সব রকমের প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতা করতে হবে।

. একজন দক্ষ বস তাঁর দলের সঙ্গে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলতে সব সময় সচেষ্ট থাকেন।
. কর্মীর কাজের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকলে বসকে উদ্যোগ নিয়ে তা অপসারণে এগিয়ে যেতে হবে।

. বসকে তাঁর কাজে সততা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে, যা তাঁর দল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় হয়।
. কার্যকরী বসরা জানেন কীভাবে দলকে অনুপ্রাণিত করতে হয়। দলের সবারই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের প্রয়োজন থাকতে পারে।

এসব বিবেচনায় রেখে কর্মীদের উদ্দীপ্ত ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বিভিন্ন পন্থা ও কৌশল প্রয়োগ করতে হবে।

. প্রতিষ্ঠানে অনেক ধরনের চাপ ও ঝক্কি-ঝামেলার মধ্যে কাজ করে যেতে হয়। পেশাদারত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, যাতে ইতিবাচক মানসিকতা বজায় থাকে। বস ইতিবাচক থাকলে কর্মীদেরও ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা সম্ভব হয়।
সর্বোপরি, একজন বস দল পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি গড়ে তোলায় স্বকীয় থাকেন। মনে রাখতে হবে, কর্মীর উন্নতি ও সামনে এগোনোর মধ্য দিয়ে একজন বসের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

****প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্রো এন এক্সেল

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ