Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

২০১৯ এ দেশে মাথাপিছু আয় মাসে ৩৯৪০ টাকা (২০১৯)

Share on Facebook

দেশের একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা আয় করেন। আর প্রতি পরিবারের মাসিক গড় আয় ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপের চূড়ান্ত ফলাফলে এই চিত্র ওঠে এসেছে।

আগের ছয় বছরের ব্যবধানে মাসিক মাথাপিছু আয় ও পরিবারের আয়—দুই ক্ষেত্রেই বেড়েছে। ২০১০ সালে এ দেশের একজনের প্রতি মাসে আয় ছিল ২ হাজার ৫৫৩ টাকা। ছয় বছরের ব্যবধানে ব্যক্তির গড় আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। আর পরিবারের আয় বেড়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। তবে এই আয় কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের একক আয় নয়। সব মানুষ ও পরিবারের আয়কে মানুষ ও পরিবারপ্রতি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিবিএস এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১৬–এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিবিএসের জাতীয় হিসাব শাখার পরিচালক জিয়া উদ্দীন আহমেদ, খানা আয় ও ব্যয় জরিপ প্রকল্পের পরিচালক দিপংকর রায়।

জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, ২০১৬ সালে এ দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিবিএস প্রক্ষেপণ করেছে যে ২০১৮ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে হতদারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালে নেমে এসেছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে। ২০১৮ সালে তা আরও কমে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। ২০১৬ সালের পর বিবিএস আর কোনো খানা আয় ও ব্যয় জরিপ করেনি।

এই বিষয়ে কৃষ্ণা গায়েন বলেন, এর আগে প্রাথমিক ফলাফল দেওয়া হয়েছিল। এখন চূড়ান্ত ফলাফল দেওয়া হলো। প্রাথমিক ফলাফলের সঙ্গে চূড়ান্ত ফলাফলের খুব বেশি পার্থক্য নেই।

এবার আসি, এ দেশের মানুষ আয়ের কত অংশ কোথায় খরচ করেন। একটি পরিবার প্রতি মাসে ভোগ ব্যয়ে খরচ করে ১৫ হাজার ৪২০ টাকা। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ এখন যত আয় করেন, তার অর্ধেকের বেশি খাদ্যবহির্ভূত পণ্য কিনতে খরচ করে থাকেন।

>

২০১৬ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ। তাতে বলা হয়েছে, ছয় বছরে মাথাপিছু মাসিক আয় ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

জরিপের ফল অনুযায়ী, খাদ্যপণ্য কিনতে এ দেশের মানুষ আয়ের ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ খরচ করেন। এ ধরনের চিত্র প্রথমবারের মতো পাওয়া গেছে। অন্য খানা আয় ও ব্যয় জরিপগুলোতে দেখা গেছে, আয়ের অর্ধেকের বেশি খরচ করতে হতো খাদ্যপণ্য কিনতে। যেমন, ২০১০ সালে জরিপ অনুযায়ী, আয়ের ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ খরচ করতেন খাদ্যপণ্যে। এর আগের জরিপে অর্থাৎ ২০০৫ সালে আয়ের ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ খরচ হতো খাদ্যপণ্যে। অবশ্য মানুষের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যপণ্যের চেয়ে অন্য পণ্যে বেশি খরচ করে থাকেন।

আয় ও ভোগ ব্যয় বাড়লেও মানুষের ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমেছে। এ দেশের মানুষ খাবারের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ২২১০ ক্যালরি গ্রহণ করে। ২০১০ সালেও ২৩১৮ ক্যালরি গ্রহণ করত।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসছে। এখন ভাত খাওয়ার প্রবণতা কমেছে। জরিপের ফল অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি দৈনিক গড়ে ৩৬৭ গ্রাম ভাত খায়। ২০১০ সালে দৈনিক ৪১৬ গ্রাম ও ২০০৫ সালে ৪৪০ গ্রাম ভাত খেত। তবে মাছ-মাংস, ডিম, শাকসবজি, ডাল খাওয়া বেড়েছে। কমেছে ফল ও দুধ খাওয়া।

কৃষি পেশার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। এ দেশের ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মজীবী কৃষির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাকিরা অন্য খাতের পেশায় আছেন। ছয় বছর আগে কর্মজীবীদের ৩৬ শতাংশের মতো কৃষি খাতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

মানুষের জীবনযাত্রায়ও বেশ পরিবর্তন এসেছে। পাকা ঘরে বসবাস যেমন বেড়েছে, তেমনি সুপেয় পানি, স্যানিটারি ব্যবস্থারও উন্নতি হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী দেশের ৮৪ শতাংশ ঘরে টিনের ছাউনি। আর অর্ধেক পরিবারের ঘরে ইটের দেয়াল। তবে এখনো ৩৫ শতাংশের মানুষ কাঁচা পায়খানা ব্যবহার করে। পাকা পায়খানা ব্যবহার করে ৬১ শতাংশের বেশি মানুষ। খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে প্রায় ৩ শতাংশ মানুষ। আর ৮৫ শতাংশ মানুষ টিউবওয়েলের পানি পান করে। দেশের ৭৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় এসেছে।

দরিদ্র পরিবারের ৯০ শতাংশ শিশুই স্কুলে যায়। আর দারিদ্র্যসীমা পার হওয়া পরিবারের যায় ৯৫ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক দিপংকর রায় বলেন, এই জরিপটির মাধ্যমে দারিদ্র্যের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়। এসডিজির প্রথম লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য নির্মূল করা। এই লক্ষ্যটা কতটা অর্জিত হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করতে এই ধরনের জরিপ অব্যাহত রাখতে হবে। এ ছাড়া সরকারের নানা ধরনের নীতিনির্ধারণে জরিপটি কাজে লাগবে।

সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: মে ১৭, ২০১৯

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ