ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। শহরটি থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর তিনি এ ঘোষণা দিলেন। এ ঘটনাকে আজ শনিবার ইউক্রেনের ‘অসামান্য বিজয়’ আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির
একটি ভিডিও পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লেখেন, ‘স্পেশাল ইউনিটের সদস্যরা ইতিমধ্যে শহরে অবস্থান নিয়েছেন।’ ভিডিওতে জনসাধারণের সঙ্গে সেনাদের জড়ো হওয়া অবস্থায় দেখা যায়।
খেরসন জয়ের পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা জয়ী হচ্ছি। তবে যুদ্ধ অব্যাহত আছে।’ হামলা শুরুর ৯ মাসের মধ্যে মস্কোর নিয়ন্ত্রণে থাকা একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী পুনর্দখল করল ইউক্রেন।
কয়েক মাস হামলা চালিয়েও পার্শ্ববর্তী মিকোলাইভ প্রদেশ দখলে ব্যর্থ হয় রুশ বাহিনী। প্রদেশের গভর্নর বলেন, দক্ষিণের কিনবার্ন ছাড়া পুরো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে ইউক্রেন। টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, ‘এটা এখন দাপ্তরিক—গোটা মিকোলাই অঞ্চল (কিনবার্ন ছাড়া) মুক্ত হয়েছে।’
খেরসন শহর ছেড়ে গেল রুশ সৈন্যরা
খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর গত বৃহস্পতিবার সেখানে দেশের পতাকা ওড়ান ইউক্রেনের এক সেনা।
রুশদের থেকে খেরসন শহর পুনর্দখলকে ইউক্রেনের ‘অসামান্য বিজয়’ হিসেবে প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার কম্বোডিয়া যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘এটি একটি বিশাল মুহূর্ত! এটি ইউক্রেনীয়দের অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা ও দক্ষতার ফল, যার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্রদের নিরলস এবং ঐক্যবদ্ধ সমর্থন ছিল।’
কম্বোডিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা। তিনি সতর্ক করে বলেন, এখনো ইউক্রেনে রাশিয়ার আরও সেনা ও অস্ত্র প্রেরণ লক্ষ করছে কিয়েভ।
খেরসন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার কি পুতিনের জন্য আরেক ধাক্কা
বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার দখলে থাকা খেরসন শহরের দিকে ক্রমশ এগোচ্ছে কিয়েভ বাহিনী
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে বৈঠকে কুবেলা বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, সবাই চায় এই যুদ্ধ যত দ্রুত সম্ভব শেষ হয়। আমরা অবশ্যই অন্য যে কারও চেয়ে এটা বেশি চাই।’ এ সময় সমর্থন অব্যাহত রাখতে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছে, খেরসনে মোতায়েন সব রুশ সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম নিপ্রো নদীর পশ্চিমপার থেকে পূর্বপারে আনা হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, খেরসনে এখন আর একটিও সামরিক সরঞ্জাম অবশিষ্ট নেই।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:নভেম্বর ১২, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,