Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

সাংবাদিকদের মনে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতেই নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব (২০২১)

Share on Facebook

মনে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতেই সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে বলে মনে করছেন সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবেন।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব সমাবেশ কর্মসূচির কথা জানান।

কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর শীর্ষ ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব চেয়ে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে। আজকের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের পেশাদার সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর নির্বাচিত নেতাদের ব্যাংক হিসাব এভাবে তলব করা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের সব সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকতা পেশাকে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এতে সাংবাদিকদের মনে নানা ধরনের আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিএফআইইউর এই পদক্ষেপকে সাংবাদিকদের মনে ভয়ভীতি সৃষ্টির কৌশল বলেও মনে করছেন।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, সাংবাদিক নেতারাও এমনটি মনে করেন কি না। জবাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, ‘অবশ্যই মনে করছি। আমরা মনে করছি এটি নিশ্চয়ই উদ্দেশ্যমূলক। এটি স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের প্রতি হুমকি। এটি দুরভিসন্ধিমূলক মনে করছি। এ বিষয়ে আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই।’ পরে তিনি আগামীকালের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তাঁদের সন্দেহ জাগে এটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ কি না। কারণ, কেউ কিছু বলতে পারে না। তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জানতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরা বলেছেন কিছুই জানেন না। এ জন্য বিষয়টি উদ্বেগের। তিনি বলেন, আজকের এই বক্তব্য কারও ব্যক্তিগত নয়, এগুলো সংগঠনের কথা।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হতেই পারে। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশায় প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের নামে ঢালাওভাবে এই ধরনের পদক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক। তাঁরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও প্রতিকার দাবি করেন। তাঁরা মনে করছেন এতে করে সরকার ও গণমাধ্যমকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে, যা কারও কাম্য নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের একাংশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, বিএফইউজের আরেকাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সভাপতি মোরসালীন নোমানী প্রমুখ।

এর কিছুদিন আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকসহ উল্লেখিত চারটি সংগঠনের ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে সরকারের একটি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। এই তালিকায় থাকা ১১ জন সাংবাদিক নেতা হলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি (আওয়ামী লীগ–সমর্থিত) ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক (বিএনপি–সমর্থিত) ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি (বিএনপি–সমর্থিত) কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক (আওয়ামী লীগ–সমর্থিত) সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) (বিএনপি–সমর্থিত) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

ব্যাংকগুলোর উদ্দেশে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, ‌আপনাদের শাখায় এই ১১ সাংবাদিকের নামে কোনো ধরনের ব্যাংক হিসাব বর্তমানে বা আগে পরিচালিত হয়ে থাকলে সব হিসাবের যাবতীয় তথ্যের সফট কপি (যাবতীয় কাগজপত্রসহ হিসাবগুলোর তালিকা), হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, প্রোফাইল ফরম, টিপি ও অনুরূপ দলিল ও হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী ১৩ সেপ্টেম্বর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ১৮, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ