কর্ম ক্ষেত্রে যদি বেশ ব্যস্তাতায় থাকা যায় তবে কি লেখা যায় !! নাকি লেখা থেমে থাকে – এই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও এ কথাটি সত্য যে কর্ম ক্ষেত্রে শত ব্যস্তাতায় থেকেও লেখা যায়। যারা খ্যতি পেয়েছেন তাঁরা শত ব্যস্ততায় থেকে লিখেছেন। লেখকদের সাথে সাময়িক লেখকদের মধ্য বড় পার্থক্য হচ্ছে লেখকরা যে কোন পরিস্থিতে লিখতে পারেন, লিখেন […]
বিস্তারিত »দুহাত তোমার স্রোতে, সাক্ষী থাকো,সন্ধ্যানদীজল।
কবি শঙ্খ ঘোষ আজ চলে গেলেন চিরতরে। ফেব্রুয়ারি ২০১৯। তখন বইমেলা চলছে। এর কিছুদিন আগে প্রথমা প্রকাশন থেকে আমার সংকলন ও সম্পাদনায় বেরিয়েছে শামসুর রাহমানের ‘আমার ঢাকা’ আর বেলাল চৌধুরীর ‘আমার কলকাতা’। সেই ফেব্রুয়ারিতে ওই বই দুটো সংকলন ও সম্পাদনার সূত্রে ‘প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমান আমাকে দিলেন নতুন এক প্রস্তাব—কবি শঙ্খ ঘোষের বাংলাদেশ প্রসঙ্গের […]
বিস্তারিত »কবি শঙ্খ ঘোষ চলে গেলেন চিরতরে রেখে গেলেন অনেক ভক্ত (২০২১)
প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ আর নেই। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ৮৯ বছর বয়সে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে বাংলার কবিতার এক যুগের অবসান, বাংলা সাহিত্যের এক যুগের অবসান। শঙ্খ ঘোষ কয়েক মাস ধরে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২১ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালেও ছিলেন কয়েক দিন। এর মধ্যে জ্বর ও পেটের সমস্যা […]
বিস্তারিত »রবীন্দ্রনাথ এবং লালন
ঠাকুর এবং সাঁই : আরশি নগরের দুই পড়শী। লালন সাঁইয়ের আখড়ার জায়গা কুষ্টিয়া জেলায় বিরাহিমপুর পরগণার ছেউরিয়া গ্রাম যদি ঠাকুরবাড়ির জমিদারির মধ্যে না পড়তো, তাহলে লালন ফকিরকে আমরা চিনতাম কিনা – সে সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ এই বাংলার বহু গুণী বাউল ফকিরদের,গম্ভীরা, ভাটিয়ালি আলকাপ ঝুমুর গানের রচয়িতাদের গান কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে, অথবা তাদের রচনা […]
বিস্তারিত »আই অলওয়েজ লাইক ওয়াকিং ইন দ্য রেইন। সো নো ওয়ান ক্যান সি মি ক্রাইং
‘আই অলওয়েজ লাইক ওয়াকিং ইন দ্য রেইন। সো নো ওয়ান ক্যান সি মি ক্রাইং’। মানুষটা নাকি বৃষ্টিতে কাঁদতে ভালোবাসত। যাতে কেউ তাঁর চোখের পানি দেখতে না পায়। চার্লি চ্যাপলিন কখনোই তাঁর চোখের পানি কাউকে দেখাতে চাননি। সেটা সফলভাবে গিলে ফেলে কেবলই হাসাতে চেয়েছেন। চ্যাপলিনের মতে, যে দিনটি হাসা হলো না, সেদিনটি বৃথাই গেল। তাই তিনি […]
বিস্তারিত »ভাষা ভাষাজ্ঞান প্রচুর শ্রম ও নিষ্ঠার ফল – শামসুর রাহমান
ভাষা ভাষাজ্ঞান প্রচুর শ্রম ও নিষ্ঠার ফল। এমনকি মাতৃভাষাকেও আয়ত্তে আনতে হয় শ্রমিকের মত করিয়ে। অনেকের ধারণা, যেহেতু বাংলা আমাদের মাতৃভাষা তাই এ-ভাষা লেখার জন্যে বিশেষ কোনো উদ্যোগের প্রয়োজন নেই, কাঠখড় পোড়ানোর বালাই নেই। মারাত্মক ভুল তাঁদের এই ধারণা। যিনি মনে করেন, ‘আমিতো ভালোই বাংলা জানি, এ আবার নতুন করে শিখবো কী’, তিনি সাধারণ একটি […]
বিস্তারিত »রবীন্দ্র কিছু কথা -পর্ব – দশ
শুধু কবিগুরুই নয়, ছিলেন অ্যাড গুরুও! রেল থেকে বিমান, জনপ্রিয়তা টানতে সে যুগের ভরসা তিনিই। শুধু কবিগুরুই নয়, ছিলেন অ্যাড গুরুও! রেল থেকে বিমান, জনপ্রিয়তা টানতে সে যুগের ভরসা তিনিই! রবি ঠাকুরকে আমরা সাহিত্যিক, কবি এবং গীতিকার হিসেবেই এতদিন চিনে এসেছি। সাহিত্য কিংবা শিল্পে রবীন্দ্রনাথের ছোঁয়া লাগেনি, এমন কোনো দিক হয়ত নেই। তবে এককালে কবিগুরু […]
বিস্তারিত »খুড়োর স্বপ্ন – ফিওদর দস্তয়েভস্কি
“দুর্বল অগভীর প্রকৃতি যাদের, অনবরত অন্যের কাছে নত হয়ে চলা যাদের অভ্যাস তারা কখনো বাঁধন ছিঁড়ে প্রতিবাদ তুললে, অর্থাৎ দৃঢ়তা ও অটলতার প্রমাণ দিলেও অচিরেই একটা সীমায় পৌঁছয়, তাদের দৃঢ়তা ও অটলতার সেইটুকুই গন্ডি। প্রথম দিকে এদের প্রতিবাদ হয় অত্যন্ত জোরালো। চোখ বুঁজে বাধাবিঘ্নের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা, সাধ্যাতিরিক্ত একটা বোঝা কাঁধে তুলে নেয়। কিন্তু […]
বিস্তারিত »রবীন্দ্র কিছু কথা- পর্ব – নয়
ভুতের গল্প: কবির কাছে অনেকেই গল্প শুনতে চান। কেউ কেউ নিমন্ত্রন করে খাইয়ে দাইয়ে কবির কাছে অনুরোধ করেন গল্প শোনাতে। তেমনি একজন ছিলেন কুচবিহারের মহারানী সুনীতি দেবী। তার খুব নেশা কবির মুখে গল্প শোনা। কবি বলছেন, – “দুরাশা, মাস্টারমশাই, মনিমালা ইত্যাদি গল্প আমার কাছ থেকে আদায় করেছিলেন। যা পরে গল্পগুচ্ছে ছাপা হয়েছে। তার আবার ভুতের […]
বিস্তারিত »রবীন্দ্র কিছু কথা – পর্ব-আট
পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি বিদ্বেষী শাসকেরা রবীন্দ্রগান নিষিদ্ধ করে দেয়। স্বৈরাচারী শাসক চিরকালই সমাজবিচ্ছিন্ন এবং কুশিক্ষিত হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানি কর্তাদের কাছে রবীন্দ্রনাথ জুজু হয়ে দাঁড়ালেন। একে তো তিনি বাঙালি মননের সাথে মিলেমিশে একাকার দ্বিতীয় কথা অমুসলিম তাই রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলা জরুরি। ১৯৬০ সয়ালে সৈয়দ আলী আহসান করাচি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বাংলা একাডেমীর পরিচালকের দায়িত্ব নেন ও […]
বিস্তারিত »রবীন্দ্র কিছু কথা- পর্ব- ছয়
রাজকীয় খাওয়া: কবি সদলবলে কুন্নুরে পৌঁছে গেছেন। সেখানে রাজকীয় আতিথ্যের কোনও খামতি নেই। পিঠাপুরমের রাজা তাকে নিজে হাতে বসিয়ে খাওয়ান। কবিরা যে বাড়িতে থাকছেন তার বসার ঘরের ডাইনিং টেবিলে খাওয়ার ব্যবস্থা। এমনিতেই কবি খুব কম খান। কবির সঙ্গীরাও তথৈবচ (কবি, দীনবন্ধু আণ্ড্রুজ, আরিয়াম উইলিয়াম, সস্ত্রীক প্রশান্ত চন্দ মহলানবিশ)। অথচ খাওয়াতে একবারে রাজকীয় ব্যবস্থা মাত্র পাঁচজন […]
বিস্তারিত »ফরেস্ট গাম্প এর অংশ বিশেষ
ফরেস্ট গাম্প – প্রিভিউ পোস্ট উইনস্টোন গ্রুম (চলচ্চিত্র থেকে অনুদিত) ভিয়েতনাম। ১৯৬৭ সাল। ফরেস্ট আর বাব্বা হেলিকপ্টারে করে তাদের নতুন বদলী হওয়া রেজিমেন্টে যাচ্ছে। হেলিকপ্টারের দুদিকে দুইজন সৈনিক মেশিনগান নিয়ে নিচের দিকে সতর্ক দৃষ্টিতে দেখছে। হেলিকপ্টারটি এসে ভিয়েতনামের মেকং ডেলটা নামক স্থানে তার রেজিমেন্টের চতুর্থ প্লাটুনের হেলিপ্যাডে এসে একটা চক্কর দিয়েই নেমে পড়ল। বাব্বা আর […]
বিস্তারিত »রবীন্দ্র কিছু কথা- পর্ব -সাত
এক-একটা দিন, রবি-ঠাকুরের এক-একটা লাইনের ডিম্যান্ড খুব হয়। যেমন ধরুন আজ। ওরে গৃহবাসী’র খুব ডিম্যান্ড। সুবেশ-সুবেশাদের কায়দা করে রঙ লাগানো ছবির উপর ধ্যাবড়া অক্ষরে, “ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল লাগল যে দোল”। কত শুভেচ্ছা এরম পেলাম। তারই একটা ভুতোকে ফরোয়ার্ড করা মাত্র ভুতোর রিপ্লাই… ” দাদা বৌদি, প্রণাম” … এ তো গেল ফার্স্ট পার্ট। তারপর […]
বিস্তারিত »ভাষায় কি এবং কী এর ব্যবহার
বাংলা বানানের বিবর্তন: ‘কি’ বনাম ‘কী’, ও রবীন্দ্রনাথ সরিৎ চট্টোপাধ্যায় আমরা অনেকেই, ‘কি’ ও ‘কী’-এর ব্যবহার করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়ি। আর একথা স্বচ্ছন্দে বলা যায়, এই ঝামেলার জনক স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ নিজেই। আসুন দেখাই যাক এ ব্যাপারে আধুনিক প্রমিত বানানরীতি কী বলে! বলা হয়েছে : “সর্বনাম পদরূপে এবং বিশেষণ ও ক্রিয়া-বিশেষণ পদরূপে ‘কী’ শব্দটি ঈ-কার দিয়ে […]
বিস্তারিত »